ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া ফয়সালার টেস্ট

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ১১ জুন ২০১৫

উইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া ফয়সালার টেস্ট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জ্যামাইকায় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্ট শুরু আজ। মাত্র তিনদিনেই প্রথম ম্যাচ জিতে ১-০তে এগিয়ে আছে সফরকারী অসিরা। সিরিজ বাঁচাতে তাই জিততেই হবে দিনেশ রামদিনের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয়দের। বিপরীতে ড্র করলেও চলবে অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবছেন না অতিথি সেনাপতি মাইকেল ক্লার্ক। প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করে এ্যাশেজের জন্য প্রস্তুত হতে চান তিনি। সঙ্গীদের মাঝে সেই মন্ত্রই ছাড়িয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক। ‘প্রথম টেস্টে জয়ের পর সতীর্থদের চেহারা দেখেই বুঝেছি ওরা দারুণ খুশি। আমি বলেছি, সামনে আরও ভাল কিছু পাওয়ার সুযোগ। ঘরের মাটিতে উইন্ডিজকে হালকাভাবে নেয়ারও সুযোগ নেই। লক্ষ্য পরিষ্কার। জ্যামাইকাতেও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে ২-০তে সিরিজ জয়। র‌্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতির পাশাপাশি আসন্ন এ্যাশেজ সিরিজে যা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অসিরা যেভাবে খেলছে, তাতে মনে হচ্ছে তারা আসলে এ্যাশেজের প্রস্তুতিটাই সেরে নিচ্ছে! প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও যোগ করেন, ‘সামনে বড় সিরিজ। এ্যাশেজের মতো সিরিজের আগে প্রস্তুতিটা ভাল হওয়া জরুরী। তাই এই এখান থেকেই সবকিছু শিখে নেয়া উচিত। আক্রমণাত্মক ধারাটা বজায় থাকলে, এ্যাশেজে কাজে আসবে।’ প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেয়নি ক্লার্ক বাহিনী। প্রথম ইনিংসের শুরুর ব্যাটিং-কোলাপসের সত্ত্বেও ৯ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় তারা। অভিষেকেই চমৎকার সেঞ্চুরি উপহার দিয়ে নায়ক বনে যান এ্যাডাম ভোগস। প্রত্যাশা মতোই ভাল করেন তিন পেসার মিচেল জনসন, জস হ্যাজলউড ও মিচেল স্টার্ক। সফর শেষে ইংল্যান্ডে উড়ে যাবে অস্ট্রেলিয়া। অংশ নেবে মহাগুরুত্বপূর্ণ এ্যাশেজ সিরিজে। কার্ডিফে ৮ জুলাই প্রথম ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে কুলীন দু’দেশের মর্যাদার টেস্ট লড়াই। ওই সিরিজ খেলে অবসর নেবেন ক্রিস রজার্স। কিন্তু ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় আজও মাঠে নামতে পারছেন না তিনি। ওপেনিংয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গী হচ্ছেন শন মার্শই। তবে অধিনায়ক ক্লার্ক আশাবাদী এ্যাশেজের আগেই ফিট হয়ে উঠবেন রজার্স। ওদিকে মাত্র তিনদিনে প্রথম টেস্ট হারলেও ওই ম্যাচ থেকেই ইতিবাচক অনুপ্রেরণা নিয়ে জ্যামাইকায় ভাল করতে চায় স্বাগতিকরা। ক্যারিবীয় অধিনায়ক দিনেশ রামদিন যেমন বলেন, ‘সার্বিকভাবে ডমিনিকায় আমাদের ব্যাটিং মোটেও ভাল হয়নি। তবে বোলাররা চমৎকার করেছে। স্পিনে বিশু ছিল অসাধারণ। সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় টেস্টে ভাল করতে যা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে!’ এই অস্ট্রেলিয়াকে রুখতে তাদের মতোই আক্রমণাত্মক জবাব দিয়ে খেলতে হবে বলেও মনে করেন স্বাগতিক অধিনায়ক। রামদিন আরও যোগ করেন ‘তারা (অস্ট্রেলিয়া) দল হিসেবে অনেক ভাল। দারুণ ঐক্যবদ্ধ একটি দল। তাই তাদের বিপক্ষে আমাদের আরও আক্রমণাত্মক খেলতে হবে।’ ১৯৩০ থেকে দু’দল মোট ১১২ টেস্টে মুখোমুখি হয়। অস্ট্রেলিয়ার জয় ৫৫ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩২টিতে। টাই ১, ড্র ২৪। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট মানেই অসিদের একচ্ছত্র আধিপাত্য। যেখানে ক্যারিবীয়রা সর্বশেষ টেস্ট জিতেছিল ২০০৩ সালে, সিরিজ ১৯৯৩ এ! তার ওপর এবার নেই অভিজ্ঞ শিবনারায়ণ চন্দরপল। ক্যারিবিয়ান তারকার বাদ পড়া নিয়ে রয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।
×