ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রেকর্ড জয়ে শুরু ইংলিশদের

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ১১ জুন ২০১৫

রেকর্ড জয়ে শুরু ইংলিশদের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে কি হয়? ‘ডু অর ডাই’Ñ করেই দেখাল ইংলিশরা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারী কিউইদের স্রেফ উড়িয়ে দিয়ে ইয়ন মরগানের দল তুলে নিল নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় (২১০ রান) জয়। বার্মিহামে বিশ্বকাপ ফাইনালিস্টদের নিয়ে ছেলে খেলার পথে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকালেন দুই স্বাগতিক উইলোবাজ জো রুট (১০৪) ও ম্যাচের ‘নায়ক’ জস বাটলার (১২৯)। সপ্তম উইকেট জুটিতে ১৭৭ রান তুলে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন বাটলার ও আদিল রশিদ! ফল ৯ উইকেটে ৪০৮ রানের পাহাড়ে ইংল্যান্ড। জবাবে ১৯৮ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড। রানের হিসাবে ইংলিশদের আগের বড় জয়টি ছিল ১৯৭৫ সালে, লর্ডসে ভারতের বিপক্ষে ২০২ রানে। টস জিতে ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম ফিল্ডিং বেছে নিলে কিউইদের সম্প্রতি আত্মবিশ্বাসই ফুটে ওঠে। ৫০ রানের মধ্যে প্রতিপক্ষের দুই ওপেনারকে তুলে নিয়ে ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন কিউই বোলাররা। ওখানেই শেষ, বাকি গল্পটা কেবলই ইংলিশ ব্যাটিংয়ের। যেখানে নেতৃত্ব দিয়েছেন রুট-বাটলার। ফর্মের তুঙ্গে থাকা রুট সাজঘরে ফেরার আগে তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। ৭৮ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১০৪ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া বাটলার থামেন ১২৯ রানে। ৭৭ বলের ইনিংসটি সাজান ১৩ চার ও ৫ ছক্কা দিয়ে। মাত্র ৬৬ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির নজির স্থাপন করেন তিনি। মজার বিষয়, দেশটির হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির (৬১ বলে) রেকর্ডটিও বাটলারের দখলে। দেশের পক্ষে দু-দুটি দ্রুত সেঞ্চুরির এমন নজির আছে কেবল সনাথ জয়সুরিয়া, এবি ডি ভিরিয়ার্স, বিরাট কোহলি, বিরেন্দর শেবাগ ও সাকিব আল হাসানের। রান পেয়েছেন মরগানও। ৪৬ বলে ৫০ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংসে ১ চার ও ৩ ছক্কা হাঁকান ইংল্যান্ড অধিনায়ক। তৃতীয় উইকেটে মাত্র ১৫ ওভারে ১২১ রান যোগ করেন তারা। এরপর চিত্তাকর্ষক ব্যাটিং উপহার দেন বাটলার-রাশিদ। ৫০ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় আক্রমণাত্মক ৬৯ রানের পথে সপ্তম ওয়ানডেতে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মূলত স্পিনার হিসেবে দলভুক্ত হওয়া রশিদ। ১৭.৩ ওভারে ১৭৭ রান যোগ করেন তারা। গড়েন ওয়ানডেতে সপ্তম উইকেটে নতুন বিশ্বরেকর্ড। যেটি আগে ছিল এ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ও হিথ স্ট্রিকের দখলে, ২০০১ সালে হারারেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩০ রান করেছিলেন দুই সাবেক জিম্বাবুইয়ান। সপ্তম উইকেটে ইংল্যান্ডের আগের সর্বোচ্চ ছিল ১১০ রান। পার্থে ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পল কলিংউড ও ক্রেইগ হোয়াইট করেছিলেন ওই রান। পরশু ব্যাটিং-তা-বে অন্যদের যোজন পেছনে ফেলে নয়া নজির স্থাপন করলেন বাটলার-রশিদ। ফল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৪০৮ রানের পাহাড় ইংল্যান্ডের। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে ইংলিশদের এটাই দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। আগেরটি ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৯১, ২০০৫ সালে। ইংল্যান্ডের মাটিতে ৫০ ওভারের ম্যাচে ৪শ’ বা তার বেশি রানের প্রথম ঘটনাও এটি। বড় রানের জবাব দিতে নেমে একদমই সুবিধার করতে পারেনি কিউইরা। ৩১.১ ওভারে ১৯৮ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড। সর্বোচ্চ ৫৭ রান রস টেইলরের। ইংল্যান্ডের হয়ে স্টিভেন ফিন ও রশিদ নেন ৪টি করে উইকেট। কিংস্টন ওভালে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে শুক্রবার।
×