ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ১১ জুন ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

ফেসবুক নিয়ন্ত্রণ করুন ফেসবুক অধিকাংশ কিশোর-কিশোরী ও উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের জীবন নষ্ট করে দিচ্ছে। প্রতিদিনই অভিভাবকদের মুখে শুনতে পাই, সারারাত ধরে ছেলেমেয়েরা ল্যাপটপ, মোবাইল নয়ত কম্পিউটারে ফেসবুক ব্যবহার করে রাতের অধিকাংশ সময় পার করছে। ফেসবুক ছাড়া এখন এরা কিছুই বুঝতে চায় না। এদিকে কতিপয় বিকারগ্রস্ত ফেসবুকে মেয়েদের আপত্তিকর ছবি আপলোড করে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ফেসবুককে ব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। এ জন্য ফেসবুকের ওপর নিয়ন্ত্রণ আইন থাকা প্রয়োজন। লিয়াকত হোসেন খোকন রূপনগর, ঢাকা। কর্মমুখী শিক্ষানীতি প্রয়োজন একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং অগ্রগতির ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে শিক্ষা। শিক্ষিত এবং দক্ষ জনশক্তি পারে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থায় যদি ত্রুটি থাকে তাহলে কিভাবে দেশের উন্নয়ন সম্ভব? আমাদের দেশে বর্তমানে যে শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলিত আছে তার মাধ্যমে আমরা শিক্ষিত জনগোষ্ঠী পাচ্ছি ঠিকই কিন্তু দক্ষ জনগোষ্ঠী পাচ্ছি না। আর দক্ষ জনগোষ্ঠী পাচ্ছি না বলে আমরা আমাদের মানবসম্পদের সঠিক ব্যবহার করতে পারছি না, যার ফলে দেশের কাক্সিক্ষত উন্নয়নও সম্ভব হচ্ছে না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে ৫টি শিক্ষা কমিশন এবং ৩টি শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করলেও এসব শিক্ষানীতি দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। আমাদের দেশের আর্থনীতির একটি বড় অংশ আসে বৈদেশিক রেমিট্যান্স হতে। আমরা যদি দেশের জনগণকে দক্ষ করে তুলতে পারি তাহলে বেশি বেশি জনশক্তি রফতানি করতে পারব আর দেশ পাবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক রেমিট্যান্স, দেশের আর্থনীতির চাকা ঘুরতে থাকবে, বেকার সমস্যারও সমাধান হবে। স্বাধীনতার পর ৭ কোটি মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে পারতাম না, কিন্তু আজ ১৬ কোটি মানুষের খাবারের অভাব নেই। এটি সম্ভব হয়েছে কৃষি শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে। কৃষি শিক্ষার মতো কর্মমুখী শিক্ষা যদি ছড়িয়ে দেয়া যায়, তাহলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অবশ্যই ত্বরান্বিত হবে। আমরা যদি কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটাতে পারি, তাহলে চাকরি না পেয়ে আর কাউকে হতাশ হয়ে বসে থাকতে হবে না। নিজের অর্জিত শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে নিজের কাজের ব্যবস্থা নিজেই করতে পারবে, সে সঙ্গে আরও কয়েকজনের কাজের সুযোক সৃষ্টি করতে পারবে। এজন্য প্রয়োজন শিক্ষিত এবং দক্ষ জনগোষ্ঠী। আর তা সম্ভব হবে তখনই, যখন একটি বাস্তবসম্মত শিক্ষানীতি প্রণয়ন এবং তা প্রয়োগ করতে পারব। শাকিল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ। টেন্ডার বাণিজ্য সম্প্রতি দৈনিক পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে যে, টেন্ডার বাণিজ্যের সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে পড়ছেন জেলা পর্যায়ের নেতারা। ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দল-উপদলে কোন্দলও হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ, শিক্ষা প্রকৌশল, সড়ক ও জনপথ দফতর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুতসহ প্রায় সকল বিভাগের টেন্ডার নিয়ে হানাহানি, এমনকি দল-উপদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে খুনাখুনির ঘটনাও ঘটছে। খোদ আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘাত হচ্ছে চাঁদাবাজি ও টেন্ডার বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে। এমন নাজুক অবস্থায় গণতান্ত্রিক সরকারের ভাবমূর্তি বহুলাংশে ব্যাহত হচ্ছে। টেন্ডার বাণিজ্যে স্বচ্ছতা আনতে সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সর্বস্তরে টেন্ডার চালু করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সরকার। একই সঙ্গে দল ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা যারা টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিতে জড়িত তাদের কঠোর হস্তে দমন করে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কাজিমদার ওয়ালিউল হক নওগাঁ। ক্ষুদ্রঋণ ॥ সাফল্য ও ব্যর্থতা কিছুদিন পূর্বে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের ওপর একটি প্রতিবেদন পড়েছিলাম। প্রতিবেদকের বক্তব্য এই রূপ যে, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমটি মানুষের দারিদ্র্য বিমোচন তো করছেই না বরং দরিদ্র মানুষ ক্রমাগত ঋণের জালে আটকে যাচ্ছে। আমার ২১ বছরের অভিজ্ঞতায় আমি প্রতিবেদকের এই বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত হতে পারছি না। বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের প্রথমদিকে আমরা দরিদ্র মানুষকে মানবিক ও দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে মানব সম্পদে পরিণত করেছি। অতঃপর তার গৃহীত প্রকল্পে ঋণ প্রদান করেছি। যার কিস্তি ছিল ফসল উৎপাদনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ক্ষুদ্রঋণের এই রূপ সঠিক ও পরিকল্পিত ব্যবহারে দেশের বহু দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব হয়েছে। নব্বই দশকের শেষের দিকে দ্রুত ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এনজিওগুলো পিকেএসএফের ঋণ নিয়ে বিতরণ ও আদায়ের ব্যাপক লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মুনাফার লোভে যখন গ্রামে-গঞ্জে দরিদ্র অপ্রশিক্ষিত মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল তখন থেকেই এই কার্যক্রমটি তার সঠিক পথ হারিয়ে ঋণে জর্জরিত করেছে দরিদ্রদের। বাকের আহমেদ ঢাকা।
×