ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘আমার জন্য বড় পরীক্ষা’

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ৮ জুন ২০১৫

‘আমার জন্য বড় পরীক্ষা’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ছিলেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু খেলার সুযোগ হয়নি। এবার ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে খেলার সুযোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বলতে গেলে লিটন কুমার দাসের কথা-বার্তা শুনে মনে হয়েছে, টেস্টে খেলবেন। এবং মুশফিকুর রহীমের পরিবর্তে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব নিতেও প্রস্তুত। তাতে যে কঠিন পরীক্ষারই সম্মুখীন হতে হবে, তাও জানেন লিটন। নিজেই বলেছেন, ‘আমার পরীক্ষাই হবে।’ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এতদিন অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। রবিবার থেকে যেখানে টেস্ট হবে, সেই ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করার শুরু করেছে মুশফিক, তামিম, সাকিবরা। টেস্ট ভেন্যুতে অনুশীলন করা শুরু করেছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। প্রথম দিনেই লিটন জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি প্রস্তুত।’ খেলার বিষয়ে লিটন বলেন, ‘পরিকল্পনাতেই থাকে যেকোন সময় যে কোন পরিস্থিতিতে খেলা। একজন খেলোয়াড় হিসেবে সব সময় লক্ষ্যই থাকে ম্যাচ খেলার। যদি এটা হয় আমার জন্য খুব ভাল। সৌভাগ্যবান যে এত বড় দলের সঙ্গে খেলব। টেস্টে সব সময় ভাল পর্যায়ে থাকে তারা, টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে এক থেকে তিনে থাকে তারা। এই দলের সঙ্গে খেলতে পারলে নিজেকে সুখী মনে করব।’ পরিকল্পনা কী? জানতে চাইলে অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের জানান, ‘এটা তো একটা বড় সুযোগ আমার জন্য। বড় দল ভারত। সেখানে যদি আমি ভাল পারফর্মেন্স করতে পারি এর থেকে আর ভাল কিছু হবে না।’ লিটন সাধারণত ওপেনিংয়েই খেলেন। ওপেনার হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু সেই সুযোগ তার সামনে নেই। ওপেনিংয়ে তামিম-ইমরুল থাকছেন। তিন নম্বরে থাকছেন মুমিনুল হক। এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ খেলেন। কিন্তু ইনজুরির জন্য ছিটকে পড়েছেন। এখন সেই স্থানে মুশফিকুর রহীম খেলতে পারেন। এরপর আছেন সাকিব আল হাসান। তার মানে ৬ নম্বর পজিশনের উপরে খেলার কোন সম্ভাবনাই নেই। কোন পজিশন পছন্দ? লিটন জানান, ‘এমন কিছু নাই। দল যেখানে যে জায়গায় চাইবে, দলের যতটুকু দরকার শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করব। আমার মনে হয় যে, ওপেনার হিসেবে যখন লং ইনিংস খেলি তখন স্পিন মোকাবেলা করতে হয়। একটা ইনিংস গড়তে গেলে তাকে স্পিন-পেস বৈচিত্র্য নিয়ে খেলতে হয়। আমার মনে হয় না ওপেনার হলেও পেছনে খেলতে আমার কোন সমস্যা হবে।’ তবে যখন লীগ খেলা শুরু করেন, তখন কিন্তু ৫, ৬, ৭ নম্বর পজিশনেই খেলতেন লিটন। তাও মনে করিয়ে দিলেন, ‘আগে যখন শুরু করেছি (লীগে) তখন ৫, ৬, ৭ এ তিন জায়গায় খেলতাম। আমি চেষ্টা করব শতভাগ দেয়ার, বাকিটা ওপর আল্লার ইচ্ছা।’ লিটন এটাও জানালেন, উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় থাকা আর ফিল্ডিং করা একই বিষয়। জানালেন, ‘আমি যদি কিপিং না করতাম তাহলে আমাকে ফিল্ডিং করতে হতো। সেটা ৫০ ওভার হোক, টেস্ট বা যেটাই হোক না কেন। ফিল্ডিং করা এবং কিপিং করা প্রায় এক কাজই।’ টেস্ট সম্পর্কে লিটনের ধারণা একটাই, ‘ধৈর্যের খেলা’। সেই খেলা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তাকেও যে পরীক্ষা দিতে হবে, তা জানান, ‘ক্রিকেটের মূল খেলাটাই হচ্ছে টেস্ট। শুরুটাই হয়েছে টেস্ট দিয়ে। প্রতি খেলোয়াড়ের লক্ষ্য থাকে টেস্ট খেলা। আমার যদি হয়ে যায় তাহলে আমি অনেক লাকি। টেস্ট নিয়ে আমার চিন্তা ধারা হচ্ছে টেস্ট অনেক ধৈর্যের খেলা। আসল নাম হচ্ছে টেস্ট, আমার এখানে পরীক্ষাই হবে।’ যদি লিটন উইকেটরক্ষকের ভূমিকাতে থাকেন, তাহলে টেস্ট অধিনায়ক ও নিয়মিত উইকেটরক্ষক মুশফিকের সামনেই তা করতে হবে। তা কতটা চ্যালেঞ্জিং? লিটন বললেন, ‘আসলে এটা আমার মাথায় নেই। কাজ আমার ফিল্ডিং করা, আমি ফিল্ডিং করব।’ ক্রিকেট যখন খেলছেন, তখন লিটনের নিশ্চয়ই দেশে-বিদেশে আদর্শ ক্রিকেটারও আছে। কিন্তু দেশে লিটনের কোন আদর্শ ক্রিকেটারই নেই! তাই জানালেন, ‘সত্যি কথা বলতে, দেশে আমি সেভাবে কাউকে অনুসরণ করি না।’ বাইরে তার আদর্শ ক্রিকেটার আগে ছিলেন মার্ক বাউচার, এখন মাইকেল ক্লার্ক। নিজেই বললেন, ‘বাইরের অনুসরণ করি। আমার ফেবারিট উইকেটরক্ষক ছিলেন মার্ক বাউচার। তিনি অবসর নিয়েছেন। এখন মাইকেল ক্লার্ক।’
×