ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মোদি রামকৃষ্ণ মিশনে যাচ্ছেন আজ সকালে

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৭ জুন ২০১৫

মোদি রামকৃষ্ণ মিশনে যাচ্ছেন আজ সকালে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আজ রবিবার ঢাকার মতিঝিল এলাকায় রামকৃষ্ণ মিশনে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সকাল সাড়ে নয়টায় মিশনের গেটে তাঁকে বরণ করে নিতে উপস্থিত থাকবেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুহিতানন্দ। সঙ্গে থাকবেন ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে জনসংযোগের ভারপ্রাপ্ত স্বামী শুভকরানন্দ। তবে বাংলাদেশ সফররত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিডিউল পরিবর্তনের কারণে শনিবার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন পরিদর্শনে যাননি তিনি। এ মিশন পরিদর্শনের মাধ্যমে সফরের কর্মসূচী শুরুর কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সেটি বাতিল করা হয়। এর ফলে বাংলাদেশ সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে তার সফর শুরু হয়। শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় মমতার রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শনের কথা ছিল। তার পরিদর্শন ঘিরে সব আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতোমধ্যে মিশনকে জানিয়ে দিয়েছেন, স্বল্প সময়ের সফরে এবার তাঁর যাওয়া হয়ে উঠছে না। এ বার না হলে পরে নিশ্চয়ই যাবেন। তবে মিশনের অধ্যক্ষের জন্য রেশমের উত্তরীয় উপহার ইতোমধ্যেই পাঠিয়েছেন মমতা। আর শেখ হাসিনাও তাঁকে থেকে যেতে অনুরোধ করছেন। অবশ্য মোদি মিশন পরিদর্শনে আসার খবরে ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনে এখন সাজ সাজ রব। স্বামী বিবেকানন্দের বিশাল কাটআউট ও তাঁর বাণীতে সাজানো তোরণ বসছে মিশনের মূল ফটকে। এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে, প্রথমে গর্ভমন্দিরে অর্ঘ্য দেবেন মোদি। পরে বেলুড় মঠের মতোই এখানেও কিছুক্ষণ ধ্যানে বসার কথা তাঁর। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি দেখা করবেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে। মোদির মাতৃভাষা গুজরাটিতে লেখা স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী উপহার দেয়া হবে তাঁকে। সঙ্গে থাকবে শ্রীরামকৃষ্ণের প্রসাদী ধুতি, উত্তরীয় এবং প্রসাদ। এ দিনই ঢাকেশ্বরী মন্দির দর্শনেও যাওয়ার কথা রয়েছে মোদির। সেখানে তিনি মন্দির পরিদর্শন ছাড়াও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। মোদির এই রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শনের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল গত ১০ মে তাঁর বেলুড় মঠ দর্শনের সময়েই। বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরা মোদিকে বাংলাদেশ সফরের সময়ে ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনে যেতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তখনই রাজি হয়ে যান মোদি। সেই পরিকল্পনা মতোই আজ ঢাকার মতিঝিলে রামকৃষ্ণ মিশনে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ১৮৯৯ সালে ঢাকায় তৈরি হয়েছিল রামকৃষ্ণ মিশনের এই শাখা। যশোর, বরিশাল, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশে মোট ১৪টি জায়গায় শাখা রয়েছে আরকে মিশনের।
×