ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভারত থেকে আনা বুলেট প্রুফ গাড়িতে চড়বেন মোদি

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ৬ জুন ২০১৫

ভারত থেকে আনা বুলেট প্রুফ গাড়িতে চড়বেন মোদি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে রাজধানীতে থাকছে হাইটেক সিকিউরিটি। নরেন্দ্র মোদির যাতায়াতের রাস্তা, যেসব জায়গায় যাবেন এবং অবস্থান করবেন তার অন্তত আধকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনী। যাতায়াতের স্থানসহ আশপাশের এলাকাগুলো পুরোপুরি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। আর আশপাশের উঁচু ভবনগুলোর ছাদে বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। টাওয়ার থেকে এক কিলোমিটার দূরের জিনিসের ওপরও নজর রাখা হচ্ছে। রাজধানীতে গত কয়েকদিন ধরেই বাড়তি চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চলছে। যদিও বাংলাদেশ সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত থেকে আনা একটি বুলেট প্রুফ গাড়িতে চড়বেন। গাড়িটি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লী থেকে ঢাকায় এসেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির নিরাপত্তায় সামনে ও পেছনে থাকবে ভারতের বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী এসপিজির (স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপ) সদস্যরা। নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের জন্যও ভারত থেকে বিশেষ গাড়ি আসছে। নয়াদিল্লী থেকে একটি বিশেষ চার্টার বিমানে চড়ে ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে স্মরণকালের নজিরবিহীন নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। পুরোপুরি হাইটেক নিরাপত্তা থাকছে। নিরাপত্তায় বাংলাদেশের প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হচ্ছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। নরেন্দ্র মোদির খুব কাছে থেকে নিরাপত্তা দিবে ভারত থেকে আসা বিশেষায়িত বাহিনীর (এসপিজি) সদস্যরা। ভারতের বিশেষায়িত বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সমন্বয় করে পুরোপুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশের স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যরা আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এজন্য বাংলাদেশে থাকা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারও করতে যাচ্ছে এসএসএফ। বিমানবন্দরে নামার অনেক আগ থেকেই ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে। ইতোমধ্যেই বিমানবন্দরসহ আশপাশের এলাকায় বসানো হয়েছে অতিরিক্ত সিসি ক্যামেরা। বিমানবন্দরের আধকিলোমিটার এলাকাজুড়ে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনী। শুধু বিমানবন্দর নয়, এমন নিরাপত্তা থাকছে নরেন্দ্র মোদির যাতায়াতের রাস্তা ও যেখানে থাকবেন তার আশপাশ ঘিরে। এসব এলাকাগুলো পুরোপুরি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। বসানো হয়েছে মনিটরিং সেন্টার। গত পনেরো দিন ধরে এসব এলাকা চষে বেড়াচ্ছে গোয়েন্দারা। বিমানবন্দরসহ আশপাশের এলাকার বহুতল ভবনগুলোর ওপর হাইটেক বাইনোকুলার নিয়ে অবস্থান নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চৌকস সদস্যরা। এসব বাইনোকুলার দিয়ে বহুদূরের কোন কিছুর ওপর নজর রাখা সম্ভব। এছাড়া প্রস্তুত থাকছে বিমান, হেলিকপ্টার, আমেরিকা থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশের বিশেষায়িত টিম সোয়াট (স্পেশাল ওয়েপন এ্যান্ড ট্যাকটিস), ডগস্কোয়াড, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইসিস রেসপন্স টিমসহ নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত সব বিশেষায়িত টিম। নরেন্দ্র মোদি সেসব জায়গায় যাতায়াত করবেন এবং থাকবেন ইতোমধ্যেই সেসব জায়গায় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে। এসব স্থানের আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন ছাড়াও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কূটনৈতিকপাড়াসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে।
×