ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

না’গঞ্জে পাচারকারীদের খপ্পরে নিখোঁজ কিশোর

প্রকাশিত: ০৪:১০, ৬ জুন ২০১৫

না’গঞ্জে পাচারকারীদের খপ্পরে নিখোঁজ কিশোর

নিজস্ব সংবাদদাতা, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ৫ জুন ॥ জেলার আড়াইহাজারে বগাদী গ্রামের কিশোর স্বপন (১৫) মানবপাচাকারীর খপ্পরে পড়ে গত দেড় মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবার। স্বপনকে ফিরে পেতে তার পিতা-মাতা এখন হন্যে হয়ে প্রশাসনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে ঘুরছেন। এমনকি মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। উল্টো ঐ মানবপাচারকারী তাদের পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। দেড় মাসেও স্বপনকে ফিরে না পেয়ে পরিবারে চলছে এখন আহাজারি। স্বপনের মা-বাবা ছেলের জন্য মানসিকভাবে ভেঙ্গেও পড়েছেন। নিখোঁজ স্বপনের মামা ও থানায় অভিযোগকারী আনোয়ার আলী জানান, ফতেপুর ইউনিয়নের বগাদী গ্রামের হতদরিদ্র হোসেন আলীর পুত্র ও পাওয়ারলুম শ্রমিক স্বপনকে এপ্রিলের মাঝামাঝি একই গ্রামের ইয়াছিন মিয়া বিনা পয়সায় নৌপথে শিপে (ট্রলারে) বিদেশে নিয়ে যাবে বলে ফুসলাতে থাকে। পরে স্বপন তার পিতা-মাতাকে বিষয়টি জানালে নদীপথে তারা স্বপনকে বিদেশ যেতে নিষেধ করেন। এর ২ দিন পর স্বপন বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি থেকে জানান, রাঙ্গামাটিতে এক মানব প্রচারকারী ইতালি নেয়ার নাম করে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে এক প্রতারক । হাজী মিলন নামে প্রতারক চক্রের এক দালাল রাঙ্গামাটি শহরের ৮/১০ যুবককে উচ্চ বেতনে রেস্টুরেন্ট ভিসায় ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে। ঐ প্রতারক নিজেকে বিদেশী বলে বেশ কিছুদিন রাঙ্গামাটি অবস্থান করে । তার সঙ্গে এক মহিলাকে বিদেশে নিয়ে যাবার সুযোগ আছে বলে এক অসহায় তরুণীকে বিয়ে করে। সম্প্রতি সাগরে মানবপ্রচারকারি চক্রের ভয়াভহ চিত্র দেখে প্রচারকারী ধরা হচ্ছে দেখে মিলন কৌশলে পালিয়ে গেছে। ভুক্তভোগরা অভিযোগ করেন, হাজি মিলন নামের এক প্রতারক গত বছরের শেষের দিকে রাঙ্গামাটি শহরে এসে রিজার্ভ বাজারস্থ আবাসিক হোটেল পাহাড়িকা, হোটেল রাজু ও হোটেল মধুমিতায় অবস্থান নিয়ে শহরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। সে নিজেকে ইতালি প্রবাসী ও ভিসা ব্যবসায়ী বলে দাবি করে মানুষকে ইতালি নেয়ার প্রলোভন দেখায়। তার পাতানো ফাঁদে পড়েন মোঃ আবু মুছা নামের রাঙ্গামাটি শহরের এক তরুণ ব্যবসায়ীসহ কয়েকজন। সরল বিশ্বাসে আবু মুছা নিজে ও তার আপন দুই ভাই রবিউল হোসেন, জহিরুল করিম এবং ফুফাত ভাই খোরশেদ আলম ও এরশাদুল হক পান্নাসহ ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তারা প্রতারক হাজি মিলনকে ভিসা, মেডিক্যাল ফিটনেস পরীক্ষা, বিমান ভাড়া ও ইমিগ্রেশন বাবদ প্রায় বিশ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। টাকা নেয়ার পর হাজি মিলন তাদের ভুয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ও ইমিগ্রেশন কাড ও পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্ড ধরিয়ে দেয়। পরে ভিসা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে এ প্রতারক।
×