ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাজেট গণমুখী ও ব্যবসাবান্ধব ॥ চিটাগাং চেম্বার

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৫ জুন ২০১৫

বাজেট গণমুখী ও ব্যবসাবান্ধব ॥ চিটাগাং চেম্বার

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ প্রস্তাবিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটকে ব্যবসাবান্ধব ও গণমুখী আখ্যায়িত করেছে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট ঘোষিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় চেম্বারের পক্ষে সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ বলেন এই বাজেট ধনী এবং দরিদ্রের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য নিরসনে সুদূরপ্রসারী অবদান রাখবে। তবে একইসঙ্গে তিনি কিছু পণ্যের ওপর আরোপিত কর ও শুল্ক পুনর্বিবেচনার অনুরোধও জানান। বিবৃতিতে তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে প্রণীত সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্ষমতা বৃদ্ধি, সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের মধ্যে অধিকতর সমন্বয় এবং পিপিপির আওতাভুক্ত প্রকল্পসমূহ সফলভাবে সম্পন্ন করা জরুরী বলে মন্তব্য করেন। চিটাগাং চেম্বার সহ-সভাপতি সংবাদপত্রে প্রেরিত এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ২০ হাজার থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার, মহিলা ও ৬৫ বছরের উর্ধে করদাতার ক্ষেত্রে ৩ লাখ এবং প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে ৩ লাখ ৭৫ হাজার করা হয়েছে। যদি মূল্যস্ফীতির হার বর্তমান পর্যায়ে থাকে তাহলে এই সীমা সাধারণ জনগণের ওপর তেমন চাপ সৃষ্টি করবে না। এছাড়া সারচার্জ আরোপের জন্য সম্পদের বিদ্যমান অব্যাহতি সীমা ২ কোটি থেকে বৃদ্ধি করে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই সীমা ৩ কোটি পর্যন্ত বৃদ্ধির পাশাপাশি ৩ হাজার টাকা সারচার্জ আরোপের প্রস্তাবনা প্রত্যাহারের জন্য তিনি অর্থমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান। ন্যূনতম কর ৪ হাজার টাকার প্রস্তাব বাতিল করে পূর্বের বিধান বলবৎ রাখা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন। পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির ক্ষেত্রে কর হার ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ এবং ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৪০ শতাংশ করার প্রস্তাব অব্যশই প্রশংসনীয়। তবে তিনি মনে করেন পোল্ট্রি শিল্পের আয়ের ওপরে প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ কর হার বাতিল করে শূন্য করা এবং হাঁস, মুরগি, চিংড়ি ও মাছের হ্যাচারি থেকে অর্জিত আয়ের সাধারণ কর হারের বিধান অব্যাহত রাখা উচিত। তৈরি পোশাক ও অন্য সব ধরনের রফতানি পণ্যের মূল্যের ওপর বিদ্যমান কর হার যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ ও ০.৬০ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা এবং শিক্ষা খাতে আরোপিত কর প্রত্যাহার করার জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান। চিটাগাং চেম্বারের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিল্পায়ন ত্বরান্বিত এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে মূলধনী যন্ত্রপাতির ওপর ২ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১ শতাংশ শুল্কহার নির্ধারণ ও কম্পিউটার পণ্যের ২ শতাংশ শুল্ক অপরিবর্তিত রাখা এবং ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি হ্রাস করে ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা, পেঁয়াজ আমদানির শুল্ক শূন্য করা, নিউজপ্রিন্ট তৈরির কেমিক্যালের ক্ষেত্রে প্রদত্ত শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখা এবং শিল্পে ব্যবহৃত গ্রীজ (খনিজ)’র সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা প্রশংসনীয়। বাজেট বাস্তবসম্মত : খুলনা চেম্বার ॥ স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজি আমিনুল হক ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত জাতীয় বাজেটকে জনহিতকর, বাস্তবসম্মত ও সময় উপযোগী বলে উল্লেখ করে এবং প্রথম বারের মতো শিশুদের নিয়ে বাজেট প্রবর্তন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। প্রস্তাবিত বাজেটে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালে সমাপ্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ, খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ, খুলনা-মংলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ ইত্যাদি উন্নয়নমূলক খাতে বরাদ্দ রাখায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিল্প ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়নে এ বাজেট বিশেষ অবদান রাখবে বলে খুলনা চেম্বারের সভাপতিসহ পরিচালনা পরিষদ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভাপতি আরও উল্লেখ করেন যে, এ বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজীকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
×