ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দালালের খপ্পর

ওমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে নওগাঁর তিন যুবক

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ৪ জুন ২০১৫

ওমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে নওগাঁর তিন যুবক

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৩ জুন ॥ নওগাঁর নিয়ামতপুরের ৫ যুবক প্রতারণামূলক ভিসার মাধ্যমে ওমান গিয়ে জেলখানায় আর পালিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। এদের মধ্যে একজন ওমানে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেল খেটে দেশে ফিরে এলেও এখনও একজন জেলে এবং অপর ৩ জন পালিয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে ওমানে। এসব পরিবারে এখন শুধুই হতাশা আর কান্নার রোল। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের পক্ষে স্থানীয় দালালদের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানাসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় দালাল উপজেলার সাবইল গ্রামের মোঃ রফিক দর্জি ও তার পুত্র সাখাওয়াত হোসেন মিলনের মাধ্যমে মাসে ৪০ হাজার টাকায় চাকরি করতে উপজেলার তেঘরিয়া লংপুর গ্রামের মোঃ ছাইদুল ইসলামের পুত্র শরিফুল ইসলাম (২২), গুজিশহর গ্রামের মৃত ইমাজ উদ্দিনের পুত্র আনারুল ৩২), কুমারগাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র মিষ্টার আলী (২৭), সাবইল গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের পুত্র জয়নাল আবেদীন ৩৮) এবং বালিচাঁদ গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র গোলাম মোরশেদ (২৮) ওমান যায়। এ জন্য প্রত্যেকে ওই দালালদের ৪ লাখ টাকা করে দেয়। তাদের কোন দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা আগে জানানো হয়নি। ঢাকা বিমানবন্দরে বিমানে ওঠার আগ মুহূর্তে তারা জানতে পারে তাদের ওমানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওমান বিমানবন্দরে নেমে সাখাওয়াত হোসেন মিলন তাদের একটি কাগজ ধরিয়ে দিয়ে এবং ওমানে এসে গেছি তোমরা এখন কাজ খুঁজে নাও এই বলে সটকে পড়ে। ওমানে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে তারা বুঝতে পারে তাদের ভিসা ছিল মাত্র তিন মাসের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা। ৩ মাস কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে শরিফুল ও আনারুল পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। বাকি ৩ জন এখনও অজ্ঞাত অবস্থায় পালিয়ে রয়েছে। এদিকে ৩ মাস কারাভোগের পর শরিফুল ইসলাম জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ওমানের স্থানীয় এক পুলিশের সহায়তায় বাংলাদেশে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে গত ৭ মে বাড়িতে ফিরে এসে তাদের এই দুর্বিপাকের কথা জানায়।
×