ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ধর্ষণ ও নবজাতক হত্যা ॥ যমুনা অয়েলের দুই সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ১ জুন ২০১৫

ধর্ষণ ও নবজাতক  হত্যা ॥ যমুনা  অয়েলের দুই সিবিএ নেতার  বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুকে হত্যার অভিযোগে রাষ্ট্রায়াত্ত জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের দুই শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের একটি আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। রবিবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মীর শফিকুল ইসলামের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ঘটনার শিকার ওই নারী। বিচারক এ ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিএমপির ইপিজেড থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় অভিযুক্ত এই দুই শ্রমিক নেতা হলেন যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড লেবার ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ সেলিম (৪৫) ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইয়াকুব (৪১)। এ দু’জনের বিরুদ্ধেই ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে মোঃ সেলিম এক পর্যায়ে তাকে বিয়ে করেন এবং পরে স্ত্রীর গর্ভে জন্মগ্রহণকারী নবজাতককে হত্যা করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ এক নারীকে চাকরির প্রলোভন দেখান এই দুই শ্রমিক নেতা। ২০১২ সালে এ নারী যমুনা অয়েলের দুই প্রভাবশালী সিবিএ নেতা মোঃ সেলিম ও ইয়াকুবের কাছে যান। ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর মোঃ ইয়াকুব চাকরি দেয়ার কথা বলে এক অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়ার নাম করে নিজ ভাড়া বাসায় নিয়ে যান এ মহিলাকে। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর ইয়াকুবের কথা অনুযায়ী এ তরুণী যান সিবিএ সভাপতি সেলিমের কাছে। সেলিমও তাকে ধর্ষণ করে। তবে এ দু’জনের মধ্যে এক ধরনের সম্পর্কও গড়ে উঠে, যা একপর্যায়ে বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। গোপনে গড়ে তোলা এ সংসারে মহিলার গর্ভে একটি সন্তান আসে, যা গত ২০ মে হালিশহরের বন্দরটিলা এলাকায় একটি ক্লিনিকে ভূমিষ্ঠ হয়। পরদিন ২১ মে মায়ের অজান্তে শিশুটিকে সেলিম নিয়ে যায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরে তাকে জানানো হয় যে, শিশুটি মারা গেছে। প্রসূতির অজ্ঞাতে শিশুটিকে দাফনও করা হয়। সিবিএ সভাপতি সেলিমের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। এ ধরনের বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেননি সিবিএ নেতা মোঃ সেলিম। তবে তিনি শিশুটিকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন। সাংবাদ মাধ্যমকে সেলিম জানান, শিশুটি জন্মাবার পরই তার অবস্থা খারাপ দেখলে তাকে প্রথমে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে নেয়া হয় চমেক হাসপাতালে। সেখানে তার মৃত্যু হয়। কর্মস্থলে প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপের ইন্ধনে এ নারী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বলে অভিযোগ করেন মোঃ সেলিম ও মোঃ ইয়াকুব।
×