ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নাগরিক সংবর্ধনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ এখন উন্নয়নে ভরপুর রাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ৩০ মে ২০১৫

বাংলাদেশ এখন উন্নয়নে ভরপুর রাষ্ট্র

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জাতীয় নাগরিক কমিটির দেয়া বিশাল সংবর্ধনার সম্মাননা দেশবাসীর প্রতি উৎসর্গ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ সম্মননা আমার প্রাপ্য নয়, এটার প্রাপ্য হচ্ছে বাংলার মানুষ, বাংলাদেশের জনগণের। তাই আমি এ সম্মাননা বাংলার জনগণকে উৎসর্গ করছি। আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই, হারাবারও কিছু নেই। এ দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য যে কোন আত্মত্যাগ করতে আমি সদাপ্রস্তুত। আমরা দেশকে শাসন করতে নয়, জনগণের সেবক হয়ে সেবা করতে এসেছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। দেশকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে হবে আরও উন্নতির উচ্চ-শিখরে, এ আমাদের প্রতিজ্ঞা। শুক্রবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে তাকে দেয়া নাগরিক সংবর্ধনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ ৪০ বছর পর ভারতের পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তির সংবিধান সংশোধনী বিল পাস হওয়াকে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সাফল্য উল্লেখ করে আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিকসহ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেকে বিদ্রুপ করে বলেছিলÑ স্বাধীন হলেও বাংলাদেশ হবে তলাবিহীন ঝুড়ি। কিন্তু আমি বলতে চাই- বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। সেই ঝুড়ি এখন উন্নয়নে ভরপুর। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নে ভরপুর একটি রাষ্ট্র। এটি এখন বিশ্বের সব দেশই স্বীকার করে বলছে, বাঙালী জাতি পারে। এটা সারাবিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত, বাঙালী পারে। বাংলাদেশকে কেউ আর এখন অবজ্ঞার চোখে কিংবা অপছন্দ করে না। বরং বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে দেখা দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নসহ জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্য অর্জনে যোগ্য নেতৃত্ব দেয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটি প্রধানমন্ত্রীকে এ সংবর্ধনা দেয়। নাগরিক কমিটি এ সংবর্ধনার আয়োজন করলেও বৈরী আবহাওয়া এবং থেমে থেমে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি রীতিমতো বিশাল জনসভায় রূপ নেয়। জাঁকজমকপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল দৃষ্টিনন্দন এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের উপস্থিত হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়নের গতিধারাকে ত্বরান্বিত করতে তার পূর্ণ সমর্থনও ব্যক্ত করেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর আড়াইটার মধ্যেই প্রায় ২০ হাজার ধারণ ক্ষমতার বিশাল প্যান্ডেলের প্রতিটি আসন কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। অনুষ্ঠান শুরুর সময় মূল প্যান্ডেলে জায়গার সাংকুলান না হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের চতুর্দিকে টানানো মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে আবার অনেকে কাকভেজা হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে দেখা যায়। বৃষ্টিবিঘিœত বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দলে দলে মিছিল নিয়ে এ নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে যোগ দিলে নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দসহ উপস্থিত সব শ্রেণী-পেশার মানুষ দাঁড়িয়ে ও করতালি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীও এ সময় হাত নেড়ে সংবর্ধনার জবাব দেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সভাপতি সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। বিকেল ৪টার পরে জাতীয় সঙ্গীত ও ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর সূচনা বক্তব্য রাখেন সৈয়দ শামসুল হক। সূচনা বক্তব্যের পর সৈয়দ শামসুল হকের রচিত সংবর্ধনা উৎসবের ‘মর্মসঙ্গীত’ এবং নৃত্য পরিবেশিত হয়। নৃত্যাঞ্চলের সদস্যরা দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন। এ্যামিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান অনুষ্ঠানে তার প্রিয় ছাত্রী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অভিজ্ঞানপত্র পাঠ করেন। এর আগে শেখ হাসিনার হাতে নৌকার প্রতিকৃতির স্মারক তুলে দেন নাগরিক কমিটির সভাপতি সৈয়দ শামসুল হক। আর অভিজ্ঞানপত্র পাঠের পর কাঠের ওপর শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি সম্বলিত একটি স্মারক আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর হাতে তুলে দেন ড. আনিসুজ্জামান। সবশেষে সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে সব্যসাচি লেখক সৈয়দ শামসুল হক দেশের উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এখন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের পাশে আবশ্যিকভাবে ‘দেশরতœ’ উপাধী লেখার প্রস্তাব করলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হাজার হাজার শ্রেণী-পেশার মানুষ দু’হাত তুলে তাতে সমর্থন ব্যক্ত করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন খাতে সরকারের অভাবনীয় সাফল্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্ণর ড. আতিউর রহমান, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ড. অনুপম সেন, অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান। অনুষ্ঠানে বুদ্ধিজীবী, মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য, সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, ঢাকার দুই মেয়র, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য, শিল্পী-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী নেতা, আইনজীবী, পেশাজীবীসহ ঢাকা এবং আশপাশের জেলাগুলোর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে স্থল সীমান্ত চুক্তি হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু সংসদে ওই চুক্তিটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্তি করলেও ভারতে তা হয়নি। তবে সেই চুক্তিটি দীর্ঘ ৪১ বছরের মাথায় ভারত সরকার সংবিধান সংশোধন করে এ চুক্তি অনুমোদন করেছে। এর জন্য আমি ভারত সরকারকে অভিনন্দন জানাই। তিনি বলেন, ভারতের সংসদের সীমান্ত স্থল চুক্তিটি পাসের ক্ষেত্রে দলমত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক দলের নেতারা সমর্থন দিয়েছে। আর এটি আমাদের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সাফল্যে। ইতোপূর্বেও আমরা তৃতীয় পক্ষের কোন ধরনের সহযোগিতা ছাড়াও গঙ্গার পানি চুক্তি, শান্তি চুক্তি এবং সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তি করেছে। এ দৃষ্টান্ত বিশ্বে বিরল। যে কোন দেশের সঙ্গে সমস্যা আলোচনা এবং সুসম্পর্কের মাধ্যমেই যে সমাধান করা যায় আমরা তা প্রমাণ করেছি। দেশের সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত করাই সরকারের দায়িত্ব একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নীতি হচ্ছে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের উন্নয়ন। সেই গ্রামের অবহেলিত মানুষটিরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। তার সেই অধিকার রক্ষাই আমাদের লক্ষ্য। স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। প্রতিটি মানুষ তার অধিকার পাবে। তিনি বলেন, একটি জাতির জীবনে কোন দিকদর্শন না থাকলে সে জাতি এগিয়ে যেতে পারে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাঙালী জাতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য রূপকল্প ঘোষণা করেছি। এখন তা বাস্তবায়নে কাজ করছি। দারিদ্র্যই বাংলাদেশের একমাত্র শত্রুÑ একথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই দারিদ্র্য থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করতে হবে। দেশের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সরকার দারিদ্র্য নির্মূলে সফল হবে। জাতির জন্য যে কোন আত্মত্যাগে নিজে প্রস্তুত এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মৃত্যুভয় করি না। জন্মেছি যেহেতু একদিন মরতে হবে। বাঙালী জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, আরও অনেক দূর পথ চলতে হবে। বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে হবে। ১৯৮১ সালে তার দেশে ফেরার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, মা-বাবা, ভাই সব হারিয়ে ৬ বছর নির্বাসনের পর যখন বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছিলাম সেদিন লাখো মানুষের ¯েœহ ভালবাসা পেয়েছিলাম। কিন্তু খুঁজে ফিরছিলো আমার চোখ, এই দুটি চোখে আমি খুঁজে ফিরেছিলাম আমার মা-বাবা, আমার ছোট্ট রাসেলকে। আমি তাদেরকে পাইনি। বাংলার মানুষের মাঝে আমি ফিরে পেয়েছিলাম আমার হারানো বাবা-মা, হারানো ভাইয়ের ¯েœহ। তিনি বলেন, ’৭৫-এর পর আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, এই বাংলার মানুষের জন্যই তো আমার বাবা আত্মত্যাগ করেছিলেন, কাজেই বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে, আমার পিতার সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য যা কিছু করা দরকার যত আত্মত্যাগ করা দরকার আমি সব করবো। সেই সঙ্গে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম সেই ঘাতক, যারা শুধু আমার পিতাকে কেড়ে নেয়নি, কেড়ে নিয়েছিলো বাংলার মানুষের আশা আকাক্সক্ষাকে সেই খুনীদের বিচার বাংলার মাটিতে করবোই। আমরা তাদের বিচার করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, রায়ও কার্যকর হচ্ছে। আমি দেশবাসীর সহযোগিতা চাই যাতে সব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে পারি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ফিরে এসেছিলাম একটা লক্ষ্য নিয়ে যে ’৭৫-এর পর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের আর্দশকে হারিয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধে যে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, যে বাংলাদেশ গড়ে উঠবে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, যে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবেÑ সেটিকে প্রতিষ্ঠিত করতে। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করে বাংলাদেশের মর্যাদাকে ক্ষুণœ করা হয়েছিল, সেই মর্যাদাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। সে জন্যই আমি ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের ফেলে রেখে বাংলাদেশে চলে আসি। তিনি বলেন, এতো আত্মত্যাগ এতো কখনও বৃথা যেতে পারে না। ২১ বছর পর আমরা সরকার গঠন করতে সক্ষম হই। পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছি। এই বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমরা রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছি এবং বাস্তবায়নও করছি। তিনি বলেন, ৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আমরা যে অর্জন করেছিলাম ২০০১-এর পর তা ভূলুণ্ঠিত হয়ে যায়। বাংলার মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, ২০০৯ সালের নির্বাচনে তারা আমাদের নির্বাচিত করে আমাদের মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছে। আজ যতটুকু আর্থ-সামাজিক উন্নতি করতে পেরেছি তা এ দেশের মানুষের জন্যই। তাই আজকে যে সংবর্ধনা তা আমার নয়, বাংলার মানুষের প্রাপ্য। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নীতি বাংলার আপামর মানুষ। সেই গ্রামে অবহেলিত হয়ে পড়ে থাকা অবহেলিত মানুষকে টেনে তোলা আমাদের লক্ষ্য। এটাই তো আমাদের নীতি। এ জাতির জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে আমি প্রস্তুত। শত বাধা-বিপত্তি মোকাবেলা করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী আমরা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াবেই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলবোই।
×