ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফুটপাথে মোটরসাইকেল

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ৩০ মে ২০১৫

ফুটপাথে মোটরসাইকেল

অবস্থা এমন হয়েছে যে, এখন আর ফুটপাথ দিয়েও হেঁটে চলাচল নিরাপদ নয়। রাজধানীর ফার্মগেট, মহাখালী, কাওরানবাজার, শাহবাগ, পল্টন, হাটখোলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ফুটপাথ দিয়ে চলতে গেলে দেখা যায়, মোটরসাইকেলচালক ফুটপাথ দিয়ে চলে যাচ্ছেন। মোটরসাইকেল চালানোয় আজকাল ফুটপাথেও দুর্ঘটনা বাড়ছে। সেদিন কাওরানবাজারের ফুটপাথে এক পথচারী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পড়ে গেলেন। চালক তার মোটরসাইকেল নিয়ে মুহূর্তে সটকে পড়লেন। পড়ে যাওয়া ব্যক্তিটি উঠে বলেই বসলেন, ওই মোটরসাইকেল চালকটা মানুষ তো নয়ই, একটা পশু। বললাম, ট্রাফিক পুলিশের কাছে কমপ্লেন করুন। উনি বললেন, তাদের কোথায় পাব, ট্রাফিক পুলিশরা যদি ফুটপাথ দিয়ে চলাচলকারী মোটরসাইকেল চালকদের প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে ওঠ-বস করাত, আর্থিকভাবে জরিমানা করত তাহলে ওরা হয়ত আর এভাবে মোটরসাইকেল চালাত না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, ফুটপাথ দিয়ে জনসাধারণের চলাচলে নিরাপত্তা দিন আর যাঁরা ফুটপাথে মোটরসাইকেল চালাবেন। তাদের জনসম্মুখে এমন শাস্তি দিতে হবে, যাতে তারা এ ধরনের অপকর্ম আর না করার দুঃসাহস পায়। লিয়াকত হোসেন খোকন রূপনগর, ঢাকা। আসুন হাঁটার অভ্যাস করি এখন আর কেউ হাঁটতে চায় না। নিতান্ত দায়ে পড়ে ডায়াবেটিক রোগীরা হাঁটে। তাদের এই হাঁটা ঘড়ি ধরে, নির্ধারিত সময়ের বেশি তাদের সাধারণত হাঁটতে দেখা যায় না। হাঁটা যে শুধু শরীর ঠিক রাখার জন্য তা কিন্তু নয়, হাঁটার অভ্যাস যাদের আছে তারা সহজে হতাশায় ভোগে না। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, হাঁটতে হাঁটতে মানুষ তার কোন বিষয়ে জাগ্রত অস্পষ্ট ধারণাকে স্পষ্ট করতে পারেন। সমস্যার সমাধান করতে পারেন এবং মনে কোন দুঃখ থাকলে সে দুঃখও দূর করতে পারেন। হাঁটার মধ্যে মানুষ তার অজান্তে একটি ছন্দের সৃষ্টি হয় যা শান্ত ও সুখকর একটি ভাব এনে দেয়। এ কারণে মনোবিজ্ঞানীরা হাঁটাকে এক ধরনের মেডিটেশন হিসেবে অভিহিত করেছেন। একা হাঁটার চেয়ে জোড়বেঁধে হাঁটা অধিক লাভজনক, এতে যেমন দেহ এবং মনের প্রশান্তি হয়, তেমনিভাবে হণ্টনকারী সঙ্গীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সকালে বা বিকেলে হাঁটাতে বের হলে দেখা যাবে, দু’একদিন পরই একজন সঙ্গী জুটে গেছে আর দশ কদম একসঙ্গে হাঁটলে বন্ধু হয়ে যায় এই প্রবাদ বাক্যটির সত্যতা যাচাই হচ্ছে। এই কর্মব্যস্ত জীবনে যদি আমরা হাঁটার সময় বের করে নিতে পারি তা হলে আসলেই আমরা অভূতপূর্ব অনুভূতির সন্ধান পাব। ইংরেজ কবি উইলিয়াম ওয়াসওয়ার্থ বলেছেন, হাঁটতে বের হলেই আমরা অবাক করা কিছু আবিষ্কার করি, হাঁটার আগে শত চেষ্টা করেও যা হয় না। তাই আসুন আমরা হাঁটার অভ্যাস করি, দেহ, মন ভাল রাখি আর অবাক করা কিছু আবিষ্কার করি। মাখরাজ খান মানিকগঞ্জ। বিষয়টি ভাবুন দৈনন্দিন জীবনে আমাদের প্রতিনিয়ত ঘরের বাইরে প্রয়োজনে ছুটতে হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে বাস না পাওয়া, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে বাসে উঠতে না পারা, মহিলাদের পর্যাপ্ত সিটের ব্যবস্থা না থাকাসহ নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের। এই সমস্যা জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এই যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতির জন্য প্রশাসন এবং বাসমালিক কর্তৃপক্ষকে একটু ভেবে দেখতে হবে। বাসে দুটো গেট থাকে একটা গেট পুরুষ এবং আর একটা গেট মহিলাদের ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ থাকলে এবং প্রবেশদ্বারে মহিলা, পুরুষ কথাটা লেখা থাকলেÑ বাসের ভেতরের পরিবেশটা সুশৃঙ্খল থাকে। তাছাড়া মহিলাদের আলাদা বাসের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত বাসের অর্ধেকটা সিট মহিলাদের জন্য বরাদ্দ করা দরকার। আশা করি যোগাযোগ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে মনোযোগী হবেন। বেশ কিছু বাসে বিশেষ করে বিআরটিসি বাসের ফ্যানগুলো অকেজো হয়ে আছে। সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেবাই হোক আমাদের সকলের ধর্ম। সাগরিকা ঢাকা। নজরুল আজও প্রাসঙ্গিক নজরুল ১৯৩২ সালের ৫ ও ৬ নবেম্বর সিরাজগঞ্জের নাট্যভবনে অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় মুসলিম তরুণ সম্মেলনে সভাপতির ভাষণে বলেছিলেন, ‘আজ আমরা মুসলিম তরুণেরা যেন অকুণ্ঠিত চিত্তে মুক্তকণ্ঠে বলিতে পারি : ধর্ম আমাদের ইসলাম। কিন্তু প্রাণের ধর্ম আমাদের তারুণ্য, যৌবন। আমরা সকল দেশের, সকল জাতির, সকল ধর্মের, সকল কালের, আমরা মুরিদ যৌবনের।’ আজকের বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশের দিকে তাকালে এ কথাগুলো স্মরণে আসে। বাঙালী মুসলমানের গোঁড়ামির বিরুদ্ধে ছিলেন তিনি প্রতিবাদী এবং সংস্কারক। আক্ষেপ করে একই ভাষণে তিনি বলেছেন, ‘আজ বাঙালী মুসলমানদের মধ্যে একজনও চিত্রশিল্পী নাই, ভাস্কর নাই, সঙ্গীতজ্ঞ নাই, বৈজ্ঞানিক নাই, ইহা অপেক্ষা লজ্জার আর কী আছে? এ সবে যাহারা জন্মগত প্রেরণা লইয়া আসিয়াছিল, আমাদের গোঁড়া সমাজ তাহাদের টুঁটি টিপিয়া মারিয়া ফেলিয়াছে ও ফেলিতেছে। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমাদের সমস্ত শক্তি লইয়া যুঝিতে হইবে।’ এই একুশ শতকে এসে দেখি ৮৩ বছর আগে নজরুল যা বলেছেন, তা সমাজ থেকে আজও বিলুপ্ত হয়নি। তাই মুক্তমনারা, বিজ্ঞান মনস্করা জঙ্গীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হচ্ছে। জঙ্গীরা আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে মুক্তমনাদের হত্যা করছে। মুক্তমনা মানুষদের প্রতি বিদ্বেষ এখনও শেষ হয়নি। ফলে আজকের দিনে মুক্তচিন্তার বিকাশ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। যে মুক্তচিন্তার ধারা কবি নজরুল বিকশিত করেছেন, তা পদে পদে ব্যাহত হচ্ছে। নজরুল তাই আজও প্রাসঙ্গিক। গোলাম সারোয়ার কামাল মনিপুরিপাড়া, ঢাকা নজরুলকে নিয়ে টানাহেঁচড়া নজরুল বেঁচেছিলেন ৭৭ বছর। এর মধ্যে ৩৫ বছরই ছিলেন অসুস্থ, নির্বাক। এই সময়টুকু বাদ দিলে তাঁর জীবন ৪২ বছরের। এই সময়ে তিনি শ্রমে-কর্মে নিষ্ঠায়, মেধায়, মননে সবকিছু ছাপিয়ে হয়ে উঠেছিলেন অনন্য। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির তিনি এক অনন্য মানব। ১৯৪২ সালে নজরুলের চেতনার মৃত্যু ঘটে। নজরুল গবেষকরা তাঁর এ অবস্থাকে বলছেন জীবন্মৃত। নজরুল খ-িত বাংলার কথা স্বপ্নেও ভাবেননি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে, স্বরাজ ও স্বাধীনতার প্রশ্নে আপোসহীন লড়াই করেছেন। এমন কি রাজনীতিও করেছেন, নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। সবকিছু ভাগ হয়ে গেলেও ভাগ হয়নি নজরুল। সেই কবিকে নিয়ে ভাগাভাগি, দলাদলি, কাদা ছোড়াছুড়ি শেষ হয়েছে বলা যাবে না। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে ওঠে কতিপয় শ্রেণী। কবিকে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করে আসছে। শিরিন সবুর বৈলতলি, চন্দনাইশ চট্টগ্রাম
×