ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নেত্রকোনায় নদী দখল করে পুকুর

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২৯ মে ২০১৫

নেত্রকোনায় নদী দখল করে পুকুর

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ২৮ মে ॥ কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের সুতি নদীটি অবৈধভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে। কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি নদীর জায়গা দখল করে পুকুর তৈরি করছেন। আবার অনেকে নিজেদের জমির পাশের খাস জায়গা দখল করে চাষাবাদ করছেন। এতে নদীটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আর এ কারণে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন এলাকার জেলে ও কৃষকরা। জানা গেছে, সুতি নদী দিয়ে বর্ষাকালে নৌকা চলাচল করে। শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি দিয়ে স্থানীয় কৃষকরা জমি চাষাবাদ করেন। অন্যদিকে জেলেরা নদীর মাছ ধরে জীবন-জীবিকা চালান। কিন্তু কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি চিরাং-পুরুড়া সড়কের কাছে সুন্দ্রাকান্দা এলাকায় নদীর মাঝখানের জায়গা দখল করে বাঁধ দিয়ে পুকুর ও ডোবা তৈরি করেছেন। আবার অনেকে তাদের তীরবর্তী জমির সঙ্গে নদীর খাস জায়গা একত্রিত করে ফসলের ক্ষেত বানিয়েছেন। এতে নদীটির পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে নদীর বিস্তীর্ণ অংশ শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে স্থানীয় কৃষকদের চাষাবাদে অসুবিধা হচ্ছে। এভাবে নদীটি মাছশূন্য হয়ে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় জেলেরাও। সান্তাহারে বালু উত্তোলন, হুমকিতে ২০ গ্রাম নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার থেকে জানান, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ও চাঁপাপুর ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রবাহিত নাগর নদে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। এতে করে নবনির্মিত কুশাবাড়ি ব্রিজ ও প্রায় ২০টি গ্রামসহ শত শত একর আবাদি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। পুলিশ সম্প্রতি মেশিনসহ ড্রেজার আটক করলেও প্রশাসনিকভাবে কোন ব্যবস্থা না নেয়া হয়নি। ফলে এর প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জানা গেছে, ওই এলাকার সরকারী দলের একদল নেতাকর্মী ও পেশাদার বালু উত্তোলনকারী নাগর নদের কুশাবাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে ও চাঁপাপুরের পালংকুড়ি-বাঘাদহ স্থানে বিশাল এলাকা জুড়ে ড্রেজার দিয়ে নদ থেকে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে। বছরের পর বছর ধরে প্রশাসনিকভাবে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বেড়েই চলেছে। এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম জানান, উপজেলায় সরকারীভাবে চিহ্নিত কোন বালু মহাল নেই। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। পদ্মায় লঞ্চডুবিতে নিহত পরিবারের মধ্যে চেক প্রদান নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজবাড়ী, ২৮ মে ॥ বৃহস্পতিবার সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া সার্কিট হাউস চত্বরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটের পদ্মা নদীতে এমভি মোস্তফা লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ‘নৌদুর্ঘটনা তহবিল ট্রাস্টিবোর্ডের’ পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেন। রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোঃ রফিকুল ইসলাম খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক, দুর্যোগ ট্রাস্ট বোর্ডের অতিরিক্ত সচিব ভোলা নাথ দে, রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোঃ জিহাদুল কবির, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যার এবিএম নুরুল ইসলাম, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম ম-ল, গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান মিয়া বক্তব্য রাখেন। সমাবেশের শুরুতেই লঞ্চ দুর্ঘটনার নিহতদের আত্মার মাফেরাত কামনা করে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মন্ত্রী ১৪টি জেলার ৮০ জন নিহত লঞ্চ যাত্রীর পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকের হাতে ১ লাখ ৫ হাজার করে টাকার চেক তুলে দেন।
×