ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খসড়া প্ল্যানে যা আছে;###;ঢাকা মহানগরীতে যুক্ত হবে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার ও কেরানীগঞ্জ;###;জলাশয় ভরাট করে বা নরম ও কাদামাটি সমৃদ্ধ এলাকায় ভবন নির্মাণ করা যাবে না;###;এখন থেকে সকল নির্মাণ ভূমিকম্প সহনীয় হতে হবে;###;নির্ধারিত থাকবে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শি

রাজউক স্ট্রাকচার পরিকল্পনা তৈরি করছে ॥ নবরূপে ঢাকা!

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২৯ মে ২০১৫

রাজউক স্ট্রাকচার পরিকল্পনা তৈরি করছে ॥ নবরূপে ঢাকা!

মশিউর রহমান খান ॥ চারদিকে ঢাকঢোল পিটিয়ে বলা হচ্ছে বিশ্বের নিকৃষ্টতম ও বসবাসের অনুপযোগী মহানগরীগুলোর মধ্যে ঢাকা অন্যতম। সড়কের দু’পাশে আবর্জনার স্তূপ। পথগুলো দখল করে ভ্যান, টুল ইত্যাদি নিয়ে বসে পড়েছে ভাসমান দোকানি। সড়কে চলাচলে ট্রাফিক রুল মেনে চলে না তথা গণপরিবহন-রিক্সা। নির্ধারিত আবাসিক এলাকা বা এককালে পশ হিসেবে খ্যাত ছিল এখন সেখানে হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ, ইউনিভার্সিটি, স্কুল-কলেজ ও দোকানপাটের ছড়াছড়ি। সব মিলিয়ে মনে হতে পারে দম বন্ধ করা অবস্থা। এ দুরবস্থা থেকে ঢাকা মহানগরীকে কিছুটা মুক্তি দিতে রাজউক নতুন করে তৈরি করছে মহানগর স্ট্রাকচার প্ল্যানের খসড়া। এটি নতুন করে তৈরি করা ২০ বছর মেয়াদি ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনারই (ডিএমডিপি) অংশ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। নতুন করে তৈরি করা এ ডিএমডিপি ২০১৬ থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত মেয়াদ ধরা হয়েছে। জানা গেছে, খসড়া অনুযায়ী নতুন এ মহাপরিকল্পনায় ভূমিকম্প সহনশীল স্থাপনা নির্মাণ না করলে কোন ভবনের নকশা অনুমোদন দেবে না রাজউক। তা মানা হচ্ছে কি না তাও নজরদারি করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশ বছর মেয়াদি নতুন এ পরিকল্পনায় ঢাকা মহানগরের পরিপূর্ণ ভবিষ্যত স্ট্রাকচার প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকা হবে একটি পরিকল্পিত নগর। ঢাকা মহানগরীকে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিপূর্ণ বাসযোগ্য সুন্দর ও পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতেই এ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। পরিকল্পনায় ঢাকা শহরের ভেতর ও এর আশপাশের কোন কোন এলাকায় আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যাবে সে সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নরম বা কাদামাটি সমৃদ্ধ এলাকায় কিংবা জলাশয় ভরাট করে কোন এলাকায় ভবন নির্মাণ করতে দেয়া হবে না বলে পরিকল্পনায় সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া কোন কোন এলাকায় কি ধরনের ভবন নির্মাণের অনুমতি দেয়া হবে বা দেয়া যাবে না তা বলে দেয়া হয়েছে। পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত অনুমোদন হলে ও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে ঢাকার বর্তমান চেহারা পাল্টে যাবে। নতুন এ প্ল্যান খসড়া এ মহাপরিকল্পনায় ঢাকার সীমানায় কোন কোন স্থানে কোন ধরনের ভবন নির্মাণ করা যাবে ও রাজউক অনুমোদন দেবে তার সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়েছে। রাজধানীর কোন কোন এলাকা শিল্পঘন ও তুলনামূলক কম শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কোনটি আবাসিক এলাকা হবে তারও বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এর বাইরে ঢাকা শহরের ভেতরে নতুন করে কোন প্রকার শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়তে অনুমোদন দেয়া হবে না বলে জানা গেছে। তাছাড়া নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরির এলাকাও। এসব এলাকার বাইরে কেউ ইচ্ছে করলেও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে নেয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা। প্রায় দুই দশক আগে তৈরি করা হয় ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনা (ডিএমডিপি)। চলতি বছর যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নতুন এ মহাপরিকল্পনায় ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট মহাদুর্যোগ থেকে ঢাকাবাসীকে বাঁচাতে সকল প্রকার ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বর্তমান ভবন নির্মাণের চেয়ে ভূমিকম্প সহনশীল ভবন নির্মাণ করা অতি ব্যয়বহুল নয় এবং অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত বটে। এছাড়া সম্প্রতি নেপালে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণে ভূমিকম্পে রাজধানীর বিভিন্ন ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোন কোন স্থানে কয়েকদিন পর পর্যন্ত ভবন হেলে পড়েছে। এসব দিক বিবেচনায় নতুন পরিকল্পনায় ইমারত নির্মাণে ভূমিকম্প সহনশীল ভবন নির্মাণের ব্যাপারে রাজউক অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। দেশ বিদেশের করা বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিশ্বের ২০টি দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, নেপালের মতো মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানলে ঢাকাসহ এদেশে কয়েক লাখ লোক মারা যাবে। মহাবিপর্যয়ে পড়বে রাজধানীসহ সারাদেশ। অধিক ঘনবসতি ও বহুতল ভবন হওয়ায় ভূমিকম্পে ঢাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে এ বিবেচনায় স্ট্রাকচার প্ল্যানের বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। রাজউকের নতুন খসড়াকৃত ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যানে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প জোন ভবনের জন্য ভূমিকম্পের সহনশীলতার পৃথক মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। আবাসিক ভবনকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সাধারণ (১০ তলার নিচে) ও বহুতল (১০ তলার বেশি) ভবনের জন্যও ভূমিকম্পের পৃথক সহনশীলতার মাত্রা রয়েছে। তবে রাজধানী ও এর আশপাশে মাটির গুণাগুণের ভিন্নতা অনুযায়ী, ভূমিকম্প সহনশীলতার মাত্রায় ভিন্নতা রাখা হয়েছে ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যানে। সূত্র জানায়, পরিকল্পনায় ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যানে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও আশপাশের এলাকা হিসেবে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার ও কেরানীগঞ্জকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ঢাকাকে ৬টি বৃহৎ জোনে ভাগ করা হয়েছে। তবে জানা গেছে, ভবিষ্যত সমস্যা এড়াতে ও উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢাকাকে আরও উন্নত করতে রাজধানীর ভেতরে নতুন কোন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অনুমোদন দেয়া হবে না। নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরির ক্ষেত্রে গাজীপুর, সাভার, টঙ্গী, নারায়ণগঞ্জ বা সোনারগাঁও, কেরানীগঞ্জকে চিহ্নিত করা হয়েছে। মহাপরিকল্পনায় বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে মতিঝিল, পল্টন ও এর আশপাশের এলাকা, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মহাখালী, গুলশানের কিছু অংশ বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্তমানে বনানীর কয়েকটি রোডকে বাণিজ্যিক ঘোষণা করা হয়েছে তা বহাল থাকবে। এছাড়া রাজধানীর ভেতরের অন্যান্য এলাকা আবাসিক ও তুলনামূলক আবাসিক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব আবাসিক এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ নকশা অনুমোদনের জন্য পৃথক সুপারিশ রয়েছে। এসব সুপারিশ অত্যন্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। কিছু কিছু এলাকাতে কোন বহুতল ভবন নির্মাণ করা যাবে না বলে দেয়া হয়েছে। মহাপরিকল্পনায় নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুরকে ৩টি শিল্প জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকায় নতুন করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে না। তবে এখানকার কারখানা ভবনগুলোর ভারবহন ক্ষমতা ও ভূমিকম্প সহনশীলতা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া শহরের ভেতর উত্তরা ও তেজগাঁওকে তুলনামূলক শিল্পঘন এলাকা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলোর জন্য ভারবহন ক্ষমতা ভূমিকম্পন সহনশীলতার পৃথক মাত্রা ও বিশেষ সুপারিশ করা হয়েছে। জানা গেছে, মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন এসব নিয়ম তৈরিকৃত বা নকশা অনুমোদন ভবনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না হলেও নতুন ভবন নির্মাণের আগে ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যানের সুপারিশ অবশ্যই সবাইকে মানতে হবে। বর্তমানে ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যানের খসড়া সম্পর্কে জনমত যাচাই করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজউক নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে এ সম্পর্কে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অবিলম্বে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে। জনমত যাচাই ও সংসদীয় কমিটির চূড়ান্ত যাচাই বাছাই শেষে তার খসড়া চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। প্রকল্পটির আওতায় মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া ২০ বছর মেয়াদি (১৯৯৬-২০১৫) ডিএমডিপির মূল্যায়নও করা হবে। এর কোন কোন অংশ বাস্তবায়ন হয়নি, কেন হয়নি, এক্ষেত্রে করণীয় কী প্রভৃতি বিষয়ে সুপারিশ করা হবে। পাশাপাশি ঢাকার পাশে একটি স্যাটেলাইট টাউন নির্মাণের বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন করা হবে। এটি কোথায় নির্মাণ করা যেতে পারে, তার সম্ভাব্য গন্তব্যও সুপারিশ করা হবে। নতুন ড্যাপ প্রণয়নের সুবিধার্থে ঢাকার প্রতিটি অংশের ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) ভূতাত্ত্বিক ম্যাপ, স্যাটেলাইট ইমেজ সংগ্রহ ও ল্যান্ড ওয়াইজ সার্ভে প্রণয়ন করা হবে। পাশাপাশি মহাপরিকল্পনাটি বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ রাজউক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, মধুপুরে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার ২৭ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর বেশিরভাগই উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত। এতে ৫০ হাজার মানুষ নিহত ও দুই লাখ মানুষ আহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৫৭৩ কোটি ডলার বা ৪৬ হাজার কোটি টাকা। তাই নতুন স্ট্রাকচার প্ল্যানে ভূমিকম্প সহনশীলতার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়াকে বাস্তবিক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, পুরনো ডিএমডিপির অবকাঠামোগত পরিকল্পনায় মোট ৩১টি নীতি চারটি খাতে বিভক্ত করে সুপারিশ করা হয়। খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে খালি জায়গা রাখা ও পরিবেশ খাত, নগর অঞ্চলনীতি, আর্থ-সামাজিক খাত, অবকাঠামো খাত। তবে এসব খাতের ৩১টি নীতির মধ্যে মাত্র আটটি আংশিকভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। আর ২৩টি এখনও আলোর মুখ দেখেনি। ফলে বিশ্বের বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে ঢাকা। উল্লেখ্য, ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান তৈরিতে ২০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। নতুন ড্যাপ প্রণয়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ কোটি টাকা। এতে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। দক্ষিণ কোরিয়ার সামান কর্পোরেশন ও বাংলাদেশে ডেভকন কনসালট্যান্টস লিমিটেড যৌথভাবে স্ট্রাকচার প্ল্যান ও ড্যাপ প্রণয়নে কাজ করছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান প্রণয়ন শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক ও রাজধানী উন্নয়ন কর্পোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, চলমান ২০ বছর মেয়াদি ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনার (ডিএমডিপি) মেয়াদ চলতি বছর শেষ হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০ বছর মেয়াদি নতুন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এর প্রাথমিক অংশ হিসেবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ বছর মেয়াদে ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যানের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যা চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বর্তমানে এটি বাস্তবায়নের জন্য জনমত যাচাই করা হচ্ছে। যাচাই বাছাই শেষে এটি চূড়ান্ত হওয়ার পর এরপর নতুন করে ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) পুনর্গঠন করা হবে। পাশাপাশি পুরনো পরিকল্পনাটির পর্যালোচনাও করা হবে। এছাড়া ড্যাপ প্রণয়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। পরিকল্পনা দুটির সমন্বয়ে আধুনিক বাসযোগ্য পরিকল্পিত নগরী হিসেবে ঢাকাকে গড়তে এ উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। ডিএমডিপি প্রণয়নের পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢাকাকে আরো উন্নত ও আধুনিক করতে ডিএমডিপি তথা ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান রিভিউ করার সুযোগ থাকবে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিকল্পনায় ঢাকাকে কেন্দ্রীয় অঞ্চলসহ মোট ৬টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তাছাড়া যে কোন ব্যক্তি ভবন নির্মাণ করতে চাইলে অবশ্যই ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান মেনে ও রাজউকের নকশা মেনেই তৈরি করতে হবে। অন্যথায় উক্ত ভবন মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থারও সুপারিশ করা হয়েছে। পরিকল্পনায় ঢাকা শহর ও তার আশপাশের এলাকায় কোথায় আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবন ও শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে তা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ভবন তৈরিতে নকশা মেনে ভূমিকম্প সহনশীল করে নির্মাণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
×