ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীর গণসংবর্ধনা কাল

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৮ মে ২০১৫

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীর গণসংবর্ধনা কাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে। এজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাও প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য বলে মনে করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিশিষ্টজনদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি। তাই আগামীকাল ২৯ মে বিকেল সাড়ে তিনটায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সর্বস্তরের নাগরিকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সর্বজনমান্য দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার বিভিন্ন অর্জনের মূল্যায়ন তুলে ধরবেন। থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। অনুষ্ঠানটির ব্যাপ্তি হবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। সবশেষে লক্ষাধিক নাগরিকের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হবে সম্মাননা। অনুষ্ঠানটি দলমত নির্বিশেষ সব শ্রেণীর নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত। বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক বলেন, অনুষ্ঠানটি মূলত নাগরিক গণসংবর্ধনা। শুরুতে শেখ হাসিনার বিভিন্ন অবদান তুলে ধরে একটি মর্ম সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে। অনুষ্ঠানটি যাতে দেশবাসী ও ছয়টি মহাদেশের মানুষ উপভোগ করতে পারে তার জন্য সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থাও থাকবে। গণসংবর্ধনা প্রদানের কারণ উল্লেখ করে সব্যসাচী লেখক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সত্যিকার অর্থেই এগিয়ে চলেছে, ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন তার বড় প্রমাণ। অতীতে সামরিক-বেসামরিক সব সরকারই এই ইস্যুটিকে রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে জিইয়ে রেখে ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছে। এই চুক্তির বাস্তবায়ন একটি বিরাট মানবিক অর্জন। ১৯৪৭ সালের পর ছিটমহলবাসী সত্যিকার অর্থের মুক্তির স্বাদ পাবেন। এর কৃতিত্ব অবশ্যই শেখ হাসিনাকে দিতে হবে। শেখ হাসিনাকে উন্নয়নের প্রতীক উল্লেখ করে শামসুল হক আরও বলেন, একমাত্র তিনিই পারেন দেশ ও জনগণের স্বার্থে নিজের জীবনকে বাজি রাখতে। দেশী-বিদেশী চাপের কাছে মাথানত না করে যুদ্ধাপরাধীদের ঝুলিয়েছেন ফাঁসির কাষ্ঠে। তার নেতৃত্বেই সমুদ্রে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। যার সুদূরপ্রসারী সুফল আমরা ভবিষ্যতে পাব। দেশের সার্বিক অগ্রগতি বিবেচনা করে নাগরিক হিসেবে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানান সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাই নাগরিক হিসেবে দায়বোধ থেকেই তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে দেশকে উল্টে দেয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনা দৃঢ়চিত্তে সেই দেশের হাল ধরেছেন। তিনি বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতীক। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি বলেন, বাংলাদেশে স্পষ্টতই এখন দুটি পক্ষ। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান খান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত, বিশিষ্ট নাট্য ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×