ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সড়ক দুর্ঘটনায় যুবলীগ নেতা, মা-মেয়েসহ নিহত পাঁচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২২ মে ২০১৫

সড়ক দুর্ঘটনায় যুবলীগ নেতা, মা-মেয়েসহ নিহত পাঁচ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় কাজী জসিম নামের এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র ও ফতুল্লায় ভ্যানচালক এবং গাইবান্ধায় মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। খবর নিজস্ব সংবাদদাতাদের। কুমিল্লা ॥ কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় কাজী জসিম নামের এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। বৃহস্পতিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জেলার চান্দিনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কাজী জসিম জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ভরাসার গ্রামের কাজী খলিলুর রহমানের পুত্র এবং বুড়িচং উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ॥ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে রাকিব হোসেন ওরফে রাব্বি (১৩) নামে ৭ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। জানা গেছে, জালকুড়ির অক্সফোর্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র রাকিব হোসেন ওরফে রাব্বি জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তা পার হচ্ছিল। অপরদিকে ফতল্লার দাপা বালুরঘাট এলাকায় ট্রাকের চাকা পিষ্ট হয়ে আফজাল হোসেন (৪০) নামে এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। গাইবান্ধা ॥ সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের তুলসীঘাট বুড়িরঘর এলাকায় পলাশবাড়ি সড়কে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক দুর্ঘটনায় সুমি বেগম (২২) ও তার ৬ মাসের শিশু কন্যা খাদিজাতুল কোবরা নিহত ও অপর ৩ জন আহত হয়েছেন। বগুড়াগামী একটি যাত্রীবাহী মিনি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিক্সাকে চাপা দিলে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ঝিনাইদহে দুই মানব পাচারকারীর বাড়িতে হামলা নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ, ২১ মে ॥ ঝিনাইদহে দুই মানবপাচারকারীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ লোকজন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার হীরাডাঙ্গা-শুড়াপাড়া গ্রামের তোফা শাহের ছেলে হারুন শাহ ও এলেম বিশ্বাসের ছেলে খলিল বিশ্বাসের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। এলাকার আব্দুর রহমান ও আনসার আলী জানান, হীরাডাঙ্গা-শুড়াপাড়া গ্রামের হারুন শাহ, খলিলুর রহমান, তাদের সহযোগী জমিদার ওরফে মনিরুল ও ইয়ার আলী মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। তারা দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করে আসছে। তারা গত ৩ মাস আগে তাদের ছেলেকে মালয়েশিয়ায় পাঠায়। পাঠানোর সময় ২ হাজার করে টাকা নেয়। পরে বলে, আড়াই লাখ করে টাকা দিলে তোমাদের ছেলে মালয়েশিয়া যাবে। টাকা না দিলে ফেরত আসবে। এরপর থেকে তাদের ছেলেদের আর কোন খোঁজখবর নেই। পাচারকারীরাও পলাতক রয়েছে। নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তারা দুই পরিবারের লোকজন পাচারকারীদের বাড়িতে গিয়ে ছেলেদের খোঁজ জানতে যায়। তখন পাচারকারীদের বাড়ির লোকজন তাদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় নিখোঁজ ব্যক্তিদের লোকজন পাচারকারীদের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাংচুর করে।
×