ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিয়ে বাড়িতে নেমে এলো শোকের ছায়া

প্রকাশিত: ০৬:৫৭, ২১ মে ২০১৫

বিয়ে বাড়িতে নেমে এলো শোকের ছায়া

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ বিয়ে বাড়ি পরিণত হলো শোকের বাড়ি। যখন বিয়ে বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে বর বরণের প্রস্তুতি চলছিল। চলছিল খানাপিনার আয়োজন। আত্মীয়স্বজনে ভরে উঠেছিল বাড়ি। তখনই খবর এলো বর মোশারেফ হোসেন হাওলাদার গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মুহূর্তে গোটা বাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া। আর এ কারণে কনে লিজা বেগমের যাওয়া হলো না শ্বশুরবাড়ি। টাকা-পয়সার সঙ্কটে মোশারেফ হোসেন আত্মহত্যা করেছেন বলে পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার দক্ষিণ কালিকাপুর গ্রামের মোশারেফ হোসেন হাওলাদারের (৩০) সঙ্গে গোলখালী ইউনিয়নের চরভাদাই গ্রামের সোবাহান মীরের মেয়ে লিজা বেগমের গত বুধবার ১৩ মে রেজিস্ট্রি কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে হয়। মোশারেফ হোসেন পেশায় রং মিস্ত্রি। বিয়ের ৮ দিনের মাথায় বুধবার দুপুরে বরযাত্রী নিয়ে মোশারেফ হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে নববধূ লিজা বেগমকে (২২) তুলে নিয়ে আসার দিন ধার্য ছিল। সে অনুযায়ী কনে বাড়িতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অন্তত দেড় হাজার মানুষ দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কনে তুলে নিয়ে আসার আগে ভোরে মোশারেফ হোসেন নিজ বাড়ির রেইনট্রি গাছের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শিশির কুমার পাল জানান, তিনি পারিবারিক সূত্রে জেনেছেন মোশারেফ হোসেনের হাতে এ মুহূর্তে তেমন টাকা-পয়সা ছিল না। মা এবং ভাইদের কাছে চেয়েও টাকা পাননি। এ কারণে অভিমানে মোশারেফ হোসেন আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। টাঙ্গাইলে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে কিশোর নিহত, আহত ১৫ নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২০ মে ॥ দেলদুয়ারে একটি মসজিদের সম্পত্তি নিয়ে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জনকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গজিয়াবাড়ী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, স্থানীয় একটি মসজিদের জায়গা জমি নিয়ে গজিয়াবাড়ি গ্রামবাসীর সঙ্গে পাশের হিঙ্গানগর চরপাড়া গ্রামের লোকজনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গজিয়াবাড়ী গ্রামের মোশারফ মিয়া (১৬) নামের এক কিশোর নিহত হয়। এতে আহত হয় আরও ১৫ জন। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শরীয়তপুরে বাড়ছে হানাহানি নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ২০ মে ॥ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুটি বিবদমান গ্রুপের দ্বন্দ্বে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন এখন সন্ত্রাসের জনপথ হিসেবে গড়ে উঠেছে। এখানে খুন, ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও বোমা হামলা এখন নিত্যদিনের ঘটনা। ফলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বুধবার এলাকায় সরেজমিন ঘুরে এবং জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিলাশপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার মেছের আলী মাদবর ও বর্তমান চেয়ারম্যান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস বেপারী ওরফে বোমা কুদ্দুসের মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব চলছিল। গত এক সপ্তাহ যাবত উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, একে অপরের বাড়ি-ঘরে ককটেল হামলা চালিয়ে আসছে।
×