ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাকৃবিতে তদন্ত প্রতিবেদনের সংবাদ প্রকাশ করায় ‘লিগ্যাল নোটিস’

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ২০ মে ২০১৫

বাকৃবিতে তদন্ত প্রতিবেদনের সংবাদ প্রকাশ করায় ‘লিগ্যাল নোটিস’

বাকৃবি সংবাদদাতা ॥ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম’ গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ করায় বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবৈধ ‘লিগ্যাল নোটিস’ দিয়েছে আওয়ামীপন্থী কয়েক শিক্ষক। মঙ্গলবার দুপুরে কয়েক শিক্ষকের পক্ষে ওই নোটিস দেন আইনজীবী এ্যাডভোকেট রেজাউল হক। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত কোন প্রতিবেদনের জন্য কোন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের নামে ওই ধরনের নোটিস পাঠানো বিধিবদ্ধ নয় বলে জানান ময়মনসিংহ জেলা জজ কোর্টের এ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি, উপাচার্যের নিয়োগ-বাণিজ্য এবং ফোরামের শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণ খতিয়ে দেখতে গত ৯ এপ্রিল কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক পরেশচন্দ্র মোদককে প্রধান এবং ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল আলীম এবং ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ. খ. ম. গোলাম সারওয়ারকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে করে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফেরাম।’ ওই তদন্ত প্রতিবেদন একটি কপি সাংবাদিকদের হাতে আসলে তদন্ত প্রতিবেদন এবং কমিটি প্রধানের বক্তব্যের ভিত্তিতে ১০ ও ১১ এপ্রিল বিভিন্ন অনলাইন ও জাতীয় দৈনিকে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। পত্রিকায় প্রকাশের পর ফোরাম ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করা হয়নি বলে একটি প্রতিবাদ দিলে তাও কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এর পরেও সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরুল কায়েস মির্জা কিরণ ও সাধারণ সম্পাদক শাহীদুজ্জামান সাগরকে ‘লিগ্যাল নোটিস’ পাঠানো হয়। নোটিস প্রদানের ৭ দিনের মধ্যে ডেইলি সান, প্রথম আলো, নয়াদিগন্ত, জনকণ্ঠ, যুগান্তর, ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, এসবিডি২৪.কম-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো প্রত্যাহার না করা হলে ৫০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের দায় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ওপর চাপিয়ে দিয়ে তাদের নামে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো বিধিসম্মত নয় বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা জজ কোর্টের এ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত। তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আইনী যে কোন প্রক্রিয়া স্ব-স্ব পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক কিংবা প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে হয়।’ এ বিষয়ে বাকৃবিসাসের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মঙ্গলবার নোটিস হাতে পেয়েছি। নোটিসে আমাদের হয়রানি করা হয়েছে। সমিতির কোন সদস্যই নিজ পত্রিকা ছাড়া অন্য কোন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের দায়ভার নিতে পারেন না।’ শিক্ষকদের আইনজীবী রেজাউল হক বলেন, ‘সঠিক নিয়ম সম্পর্কে শিক্ষকদের অবহিত করলেও তারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেই ওই নোটিস দিতে বলেন।’
×