ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টিআইবি ট্রাস্টি শামসুল হুদা

সিটি নির্বাচন নিয়ে যেসব সমালোচনা হচ্ছে এজন্য কমিশন দায়ী

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৯ মে ২০১৫

সিটি নির্বাচন নিয়ে যেসব সমালোচনা হচ্ছে এজন্য কমিশন দায়ী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এজন্য সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিদ্যমান সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আইনের সংস্কার ও হালনাগাদের সুপারিশ করা হয়েছে। সোমবার সংস্থাটির রাজধানীর ধানম-ির কার্যালয়ে ‘ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০১৫ : প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। সম্মেলনে টিআইবির ট্রাস্টি সদস্য সাবেক সিইসি ড. এটিএম শামসুল হুদা জাতীয় নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আসার আর প্রয়োজন নেই এবং এ নির্বাচনের জন্য সৃষ্ট সমস্যা সরকারকে দায়ী না করে একমাত্র নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করেন। অপরদিকে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) জাবেদ আলী ৩ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। তাছাড়া নির্বাচন আইনানুযায়ী মাঠে সশস্ত্র বাহিনীর বাধ্যতামূলক অবস্থানের কথা উল্লেখ নেই বলে দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে সেনা মোতায়েনে দোদুল্যমানতা, প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনে সমানভাবে পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা, ভোট জালিয়াতি, কারচুপি এবং ভোট কেন্দ্র দখলে সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারায় নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়ী করে। এছাড়া স্বাধীনভাবে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারী প্রতিষ্ঠানে ও সংসদ সদস্যদের প্রভাব বিস্তার করা, প্রার্থীর জন্য অনুমোদিত ব্যয় সীমার অতিরিক্ত নির্বাচনী খরচ, ব্যাপকহারে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন এবং তা প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার জন্য সামগ্রিকভাবে গত মাসের তিনটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বলা যায় না। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আইনের সংস্কার ও হালনাগাদের সুপারিশ করে টিআইবি জানায়, অধিকাংশ প্রার্থীর বিভিন্ন আচরণবিধি লঙ্ঘন, প্রার্থীর জন্য অনুমোদিত সীমার তিনগুণের বেশি ব্যয়, কোন কোন ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১১ গুণ পর্যন্ত বেশি ব্যয় করা হয়। তাছাড়া নির্বাচন কমিশনের দৃঢ় ভূমিকার অভাব, সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ না নেয়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষপাতিত্বে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী একটি প্রার্থীর নির্বাচনে প্রতিযোগিতার মনোভাবের ঘাটতির কারণে গত ২৮ এপ্রিল সমাপ্ত তিনটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন গবেষণা ও পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ রেযাউল করিম। গবেষণায় যুক্ত ছিলেন গবেষণা ও পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার দিপু রায় ও তাসলিমা আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা উত্তরের জন্য নির্ধারিত ৫০ লাখ টাকা সীমার বাইরে তিনজন মেয়র প্রার্থী ২০ লাখ থেকে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছেন। ঢাকা দক্ষিণের তিনজন মেয়র প্রার্থী অনুমোদিত ৩০ লাখ টাকার সীমার বিপরীতে ১ কোটি ৪৬ লাখ থেকে ৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেন। অন্যদিকে চট্টগ্রামের তিনজন মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ কোটি ৪৭ লাখ থেকে ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ের চিত্র উদঘাটিত হয়েছে, যদিও এখানে অনুমোদিত ব্যয়ের সীমা ছিল ৩০ লাখ টাকা। টিআইবির পক্ষ থেকে বলা হয়, ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থীরা গড়ে ২.৭ কোটি টাকা, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থীরা গড়ে ২.২ কোটি টাকা এবং চট্টগ্রামের মেয়র প্রার্থীরা গড়ে ২.৭ কোটি টাকা নির্বাচনে ব্যয় করেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা ঢাকায় গড়ে যথাক্রমে ১৫.৯৫ লাখ টাকা এবং ৮.২৬ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রামে যথাক্রমে ১৬.৫৮ লাখ এবং ১১.৫২ লাখ টাকা ব্যয় করেন। অথচ হলফনামায় মেয়র প্রার্থীদের মাসিক আয় ৪.৫৬ লাখ থেকে ১.২২ কোটি, কাউন্সিলরা ৭ লাখ ৪৭ হাজার থেকে ৭১.৫০ লাখ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলরা ৫ হাজার থেকে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত তথ্য সন্নিবেশ করেছেন। অন্যদিকে নয় জন মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে তিনজন এবং ১০১ জন সাধারণ কাউন্সিলরদের মধ্যে ৩০ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে। পক্ষান্তরে সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। টিআইবির গবেষণায় বিভিন্ন পর্যায়ের ৮৭২ জন তথ্য দাতার কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, দলীয় সমর্থন পেতে চট্টগ্রামের মেয়র প্রার্থীদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা থেকে ৭ কোটি টাকা সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, দলীয় তহবিল এবং উর্ধতন রাজনৈতিক নেতাদের নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেয়র প্রার্থীদের পক্ষে এই অবৈধ অর্থ প্রদানে প্রার্থী নিজে ছাড়াও অর্থদাতা হিসেবে স্থানীয় ঠিকাদার, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের একাংশ জড়িত ছিলেন। গবেষণায় উঠে আসা আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে যে সকল বিষয় ছিল তা হলো- ক্যাম্পে পানীয় ও খাদ্য পরিবেশন, বকশিস, নির্ধারিত সময়ের বাইরে মাইকিং, ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রচারণা, মনোনয়নপত্র দাখিলকালে যানবাহনসহ শো-ডাউন, আলোকসজ্জা, টি-শার্ট প্রদান উল্লেখযোগ্য। তবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা উভয় ক্ষেত্রেই ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের তুলনায় অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের জন্য চলে যাওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আর প্রয়োজন নেই। দলীয় সরকারের অধীনেই সুষ্ঠুভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব। এজন্য সঠিক ও যোগ্য লোককে সঠিক জায়গায় বসাতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে কারো কথা না শুনে ‘নিজের বুদ্ধিতে’ চলতে হবে। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সম্প্রতি সমাপ্ত হওয়া তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসি নিজেই সেনা মোতায়েনের বিষয়টি উপলব্ধি করেছিলে। তারা জানত সেনাবাহিনী মাঠে থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কিন্তু পরে আবার প্রত্যাহার করে নেয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী নির্বাচনের মাঠে থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতো না। তাছাড়া ২০১৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ হতে হবে। নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে আইনানুযায়ী চলতে হবে। ইসি স্বাধীন, তাদের যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা আছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনকালীন যারা ইসির নেতৃত্বে থাকবেন তাদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড আছে কি-না তাও খতিয়ে দেখতে হবে। সাবেক সিইসি শামসুল হুদা আরও বলেন, সম্প্রতি তিন সিটি নির্বাচন নিয়ে যেসব সমালোচনা হয়েছে তার দায় ভার বর্তমান ইলেকশন কমিশনের। সমালোচনার দায় ভার তারা এড়াতে পারবেন না। ভারতে পরপর সাতটি লোকসভা নির্বাচন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে হয়েছে। আমাদের দেশে এটা হলে এসব পরিস্থিতি হতো না। বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ মেশিনের বিরোধিতা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন এ মেশিনের কথা বলেছি বিএনপির পক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়েছে। এখন তারাই উপলব্ধি করতে পারছে। অনলাইনে নির্বাচনী প্রচারণার দিকে জোর দিয়ে ড. হুদা বলেন, আমাদের দেশে যেভাবে ফিজিক্যালি নির্বাচনী ক্যাম্পেইন হয়, তা বিশ্বের আর কোন দেশে হয় বলে মনে হয় না! দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে হলেও তা এত না। তাছাড়া ফিজিক্যালি প্রচারণাকালে জনদুর্ভোগ বাড়ে। ড. হুদা বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দলীয়ভাবে করা প্রয়োজন। নির্বাচনী আইনে নির্দলীয় নির্বাচনের কথা বলা হলেও বাস্তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এই দ্বৈততার কারণেই নির্বাচনে নানা অনিয়ম দেখা যায়। এক্ষেত্রে নির্বাচনী আইনটি পরিবর্তন করা প্রয়োজন। যেন দলীয় প্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়ন না পায়। এতে আর্থিক অনাচার ও অনিয়মের সুযোগ কমে আসবে। এছাড়া এই নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদ ছাড়া সাধারণ আসনে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল না, এটা অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। নির্বাচনী আয় বর্তমানে সীমার বাইরে চলে গিয়েছে। তা প্রতিহত করতে হবে। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রবর্তন করা ও নির্বাচনে অংগ্রহণের ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য ৩০ ভাগ কোঠা বাস্তবায়নের দাবি জানান। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি। কোন কোন ক্ষেত্রে অনুমোদিত নির্বাচনী ব্যয়ের তুলনায় সাত, এগারো বা একুশ গুণ বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তাছাড়া বিএনপির মতো একটি বৃহত দল নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবার প্রত্যাহার করার কারণ কি হতে পারে তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তারা চলমান প্রাপ্ত ভোটের সম্পর্কে কোন ধারণাই করতে পারেননি। বিএনপি কি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন করাই মূল উদ্দেশ্য ছিল নাকি এই নির্বাচন কমিশনের আন্ডারে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় তাই প্রত্যাহার করেছে তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তিন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন নিয়ে টিআইবির দাবির জবাবে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) জাবেদ আলী বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। এ নির্বাচন প্রকাশ্যে সবার চোখের সামনে ভোটার, দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষক ও প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার উপস্থিতিতেই সম্পন্ন হয়েছে। জনগণও ভোট দিয়েছে। তবে নির্বাচনী আইনানুযায়ী কোন কেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টি হলে কমিশন তা সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ না করে তদন্ত করে দেখবে। প্রয়োজনে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হবে। এ রকম কিছু অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। কারও উপদেশ বা নির্দেশে নয় কমিশন তাদের নিজস্ব মতামত ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যে নির্দিষ্ট আইন রয়েছে যা সঠিকভাবে মেনেই এ নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। কমিশন সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আবার তা প্রত্যাহার করেছে টিআইবির এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনানুযায়ী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর মাঠে থাকার প্রয়োজন নেই। তাছাড়া বিশেষ প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন হলে ডাকা হবে এই উদ্দেশ্যে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করে ক্যান্টমেন্টই রাখা হয়। সেনাবাহিনীকে এমনই নির্দেশ আমরা দিয়ে রেখেছিলাম। তবে সেনাবাহিনী আসবে কি না তা নির্ধারণ করবেন কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার। এ বিষয়ে যে কেউ তাদের ইচ্ছামতো কথা বলতেই পারে তবে এ কথা ঠিক নয়। আমরা সেনাবাহিনীকে মাঠে নামিয়ে আবার ক্যান্টনমেন্টে ফিরিয়ে নেইনি। তাছাড়া ঢাকা শহরের চারদিকে মিরপুর, পোস্তগোলা আর কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্ট রয়েছে। প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো হতো। কোন প্রিজাইডিং অফিসার তা মনে করেননি তাই তারা আসেননি। ইভিএম সম্পর্কে তিনি বলেন, তৎকালীন নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচন নয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটগ্রহণে ইভিএমের ব্যবহারকে টেস্ট কেইস হিসেবে নিয়েছিল। আমরা ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে পর্যালোচনা করছি। টিআইবি গবেষণার সুপারিশে খাত অনুযায়ী ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ, নির্বাচনী ব্যয় পরিবীক্ষণের বিধান এবং ব্যয় সংক্রান্ত দাখিলকৃত রিটার্ন যাচাই-বাছাই এবং প্রার্থীর হলফনামায় প্রদত্ত তথ্যের সঠিকতা নিশ্চিতকল্পে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী আইনের ব্যাপক সংস্কার ও তা হালনাগাদের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। একইসঙ্গে প্রচারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারকে নির্বাচনী বিধির আওতায় আনার সুপারিশ করে যোগ্যতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সক্ষম ব্যক্তিদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের জোর দাবি জানায়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং পরিচালক (রিসার্চ এ্যান্ড পলিসি) মোহাম্মদ রফিকুল হাসান।
×