ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ॥ নিহত ১ আহত ২

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৪ মে ২০১৫

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ॥ নিহত ১ আহত ২

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১৩ মে ॥ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। বুধবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতদের টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মোশারফের অবস্থা অবনতি হলে তাকে বিকেলে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে নেয়া হয়। পথেই ৬টা ৩০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোঃ শামছুল আলম মোশারফের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি মুক্ত থাকলেও ছাত্রলীগ পরিচয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ তত্ত্ব ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মোশারফ গ্রুপের প্রধান মোশারফ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয় দিয়ে বিভিন্নস্থানে ব্যানার টাঙিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। এছাড়াও মনিরুল ইসলাম মনি গ্রুপ ও সুমন ফকির গ্রুপ নামে অপর দুটি গ্রুপও রয়েছে। বর্তমানে সুমন ফকির গ্রুপ নিষ্ক্রিয় থাকলেও অপর দুই গ্রুপ টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ ও ভাটোয়ারা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এ নিয়ে মাঝ মধ্যেই দুই গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত ছয় মে রাতে মোশারফ গ্রুপের ছাত্ররা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রাবাসে হামলা চালিয়ে মনি গ্রুপের লোকজনকে মারধর করে হল থেকে বের করে দেয়। এর প্রতিশোধ নিতে মনি গ্রুপ বুধবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেটে অবস্থান নেয়। তারা প্রথমে মান্নান হলে ঢুকে মোশারফ হোসেনকে কুপিয়ে ও বেদম পিটিয়ে আহত করে। এরপর কাফেটিরিয়ার সামনে ফয়সাল হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম বাধনকে পিটিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে মোশারফ গ্রুপের ছাত্ররা একত্রিত হয়ে মনি গ্রুপের ছাত্রদের ধাওয়া করে করে। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টাধাওয়া। এ সময় ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে দুই প্লাটুন পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় ক্যাম্পাসে ছুটে আসেন। তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ভিসির সঙ্গে বৈঠক করেন। পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসে দুই প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন থাকবে। শান্তি-শৃঙ্খলার যাতে বিঘœ না ঘটে সে কারণে সাদা পোশাকেও পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
×