ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নের সনদ পেল মেঘনা গ্রুপ

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১২ মে ২০১৫

দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নের  সনদ পেল মেঘনা গ্রুপ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেসরকারী উদ্যোগে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজকে দুইটি পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রাক যোগ্যতা সনদ দিয়েছে সরকার। ৩২৫ একর জমিতে মেঘনা ইকোনমিক জোন (এমইজেড) ও মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন (এমআইইজেড) নামের এ দুইটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে। সেই লক্ষ্যে যথাক্রমে ২৪৫ একর ও ৮০ একর জমি আগামী এক বছরের মধ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উপযোগী করে গড়ে তুলবে মেঘনা গ্রুপ। প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকা- যাচাই শেষে সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানকে উৎপাদনে যাওয়ার চূড়ান্ত অনুমতি দেবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। পুরো প্রক্রিয়া যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হলে সেখানে ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা। সোমবার রাজধানীর কাওরায়ন বাজারে অবস্থিত বেজা কার্যালয়ে মেঘনা গ্রুপকে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রাক যোগ্যতা সনদ প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের হাতে দুইটি প্রাক যোগ্যতা সনদ তুলে দেন বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। এ সময় বেজা’র নির্বাহী সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এসএম শওকত আলী, মেঘনা গ্রুপের পরিচালক তানভীর আহমেদ মোস্তফা ও বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের টেকনিক্যাল এ্যাডভাইজর সি কে বীরেশসহ বেজা এবং মেঘনা গ্রুপের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, দেশের পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল, যা বিদেশী বিনিয়োগের জন্য খুবই অনুকুল। চীন, জাপান ও কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অর্থনৈতিক কর্মকা-ে গতি সঞ্চার করতে সরকারও তাদের বিনিয়োগের বিষয়ে আন্তরিক। দেশে আরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আগামী ১৫ বছরে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। প্রাক যোগ্যতা সনদের মেয়াদের মধ্যে যাবতীয় শর্ত পূরণ করে মেঘনা গ্রুপ দ্রুতই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও উৎপাদনে যেতে পারবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, প্রস্তাবিত দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে কার্যকর করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে থাইল্যান্ড ও চীনের দুইটি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এছাড়া সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গেও এখানে বিনিয়োগের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা চলছে। পুরো প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন শেষ হলে দুটি অঞ্চলে প্রায় ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি সরকারও প্রচুর রাজস্ব পাবে।
×