ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লাদেন হত্যায় সহায়তা করে পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১২ মে ২০১৫

লাদেন হত্যায় সহায়তা  করে পাকিস্তান

পাকিস্তানের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র আলকায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে। কিন্তু এই গোপন অভিযানটি ওয়াশিংটন এমনভাবে চালায় যে, সবার কাছে পাকিস্তান একটি ভিলেন হিসেবে প্রতিভাত হয়। প্রখ্যাত মার্কিন অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও লেখক সেইমুর হার্শ এ কথা বলেছেন। খবর ডন অনলাইনের। হার্শ বলেন, ‘তারা (পাকিস্তানীরা) সাহায্য করেছিল, তারা পুরোপুরিভাবেই সাহায্য করেছিল, তারা একটা খুব বড় কাজে সহায়তা করে’ আলকায়েদা নেতার নাগাল পেতে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করেছিল কি না এ প্রশ্নে উত্তরে ডনকে দেয়া সাক্ষাতকারে হার্শ এ কথা বলেন। রবিবার লন্ডন রিভিউ অব বুকসে হার্শের সাক্ষাতকারটি প্রকাশিত হয়েছে। হার্শ বলেন, বিন লাদেনকে হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কাহিনীটি যেভাবে সাজানো হয়েছে তা একটি রূপকথার গল্পের মতোই শোনায়। তিনি বলেন, বিষয়টি ছিল পুরোপুরি একটি মার্কিনীদের পরিচালিত অভিযান ওয়াশিংটন এখনও এই অবস্থান থেকে সরে আসেনি। বিষয়টি যেন এমন যে যা করার যুক্তরাষ্ট্র একাই করেছে এবং পাকিস্তানী জেনারেল বা সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে পরামর্শের কোন প্রয়োজন হয়নি। হার্শ বলেন, ‘এটা সর্বৈব মিথ্যা। অন্যান্য অনেক ঘটনার মতো ওবামা প্রশাসনও এখানে মিথ্যাচার করেছে। মনে হয় হোয়াইট হাউসের বর্ণনাগুলো লুইস ক্যারল লিখে দিয়েছেন ( উল্লেখ্য, লুইস ক্যারল প্রসিদ্ধ শিশুতোষ গল্প এলিস ওয়ান্ডারল্যান্ডের রচয়িতা)।’ হার্শ বলেন, বিন লাদেন নিশ্চয়ই ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে নিরাপদে থাকার জন্য অবকাশ কেন্দ্র বেছে নেননি। তিনি ইসলামাবাদের এত কাছে থেকে আলকায়েদার নেতৃত্ব দেবেন এটি কিভাবে সম্ভব? পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক কায়ানি এবং আইএসআইয়ের প্রধান জেনারেল আহমেদ শুজা পাশা এ ব্যাপারে কিছু জানতেন না, সবচেয়ে নির্জলা মিথ্যা কথা বলে হার্শ মনে করেন। ডনকে দেয়া সাক্ষাতকারে হার্শ বলেন, পুরো অভিযানটি শুরু হয়েছিল একটু একটু করে। ‘২০১০ সালের আগস্টে পাকিস্তানের একজন সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তা ইসলামাবাদে সিআইএর স্টেশন চিফের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তাকে এ সময় বলা হয়, বিন লাদেনের অবস্থান জানালে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে ২০০১ সালে যে পুরস্কার দেয়ার প্রস্তাব করেছিল সেটা দেয়া হবে।’ তখনও ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে হ্যাঁ না কিছু বলা হয়নি। এর কিছুদিন পর ইসলামাবাদ ওয়াশিংটনের প্রস্তাবে সম্মত হয়। বিন লাদেন এ্যাবোটাবাদের সেই বাড়িটিতে স্বাধীনভাবে বসবাস করতেন এটাও হার্শ বিশ্বাস করেননি। তিনি বলছেন, বিন লাদেন ছিলেন আইএসআইয়ের বন্দী। আইএসআইয়ের নজরদারির বাইরে তার পক্ষে চলাফেরা সম্ভব ছিল না।
×