ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাদক বিক্রিতে পুলিশের সঙ্গে সখ্যতা

ধরাছোঁয়ার বাইরে অস্ত্র ও বিদেশী মুদ্রা মজুদের মূল হোতা

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১২ মে ২০১৫

ধরাছোঁয়ার বাইরে অস্ত্র ও বিদেশী মুদ্রা মজুদের মূল হোতা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ঝিকরগাছা উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রাম থেকে কথিত পুলিশের সোর্স সোহাগের মাদক স্পট থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, মাদক ও বিদেশী মুদ্রাসহ দুজনকে আটক করলেও ঘটনার মূল হোতা মোটরসাইকেল চোর ও মাদক-অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট প্রধান সোহাগ ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। র‌্যাব সূত্রে প্রকাশ, ৬ মে র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা ঝিকরগাছার পুরন্দরপুর গ্রামের সাদ্দামপাড়ার সোহাগের মাদক স্পট থেকে একটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, দশ রাউন্ড গুলি, একটি রিভলবার, একটি এয়ারগান, এয়ারগানের এক হাজার রাউন্ড গুলি, ২৭২ গ্রাম হেরোইন, ৯৫ পিস ইয়াবা, ৩০০ গ্রাম গাঁজা, তিনটি মোবাইল সেট, নয়টি সিম, ২১ হাজার ৩৯০ টাকা, ১০০ কানাডিয়ান ডলার, এক হাজার ২০০ ভারতীয় রুপি, একটি ভারতীয় নকল পরিচয়পত্র এবং চারটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল থেকে ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগর গ্রামের রেজাউল করিম স্বপনের ছেলে একাধিক মামলার আসামি মেহেদী হাসান সোহান (২৩) ও পুরন্দরপুর গ্রামের মৃত আরিফ শেখের ছেলে আমির হোসেনকে (২৫) হাতেনাতে আটক করেন। এ সময় অজ্ঞাত ৫-৬ জন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলেও র‌্যাব সূত্র প্রকাশ করেন। আলোচিত সোহাগের মাদক স্পটে র‌্যাবের অভিযানের পর সে নিজেই স্পটে অবস্থান নিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ঝিকরগাছা থানা পুলিশের নাকের ডগায়। কিন্তু থানার বড় কর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালী এক নেতার সাথে সুসম্পর্ক থাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে টু শব্দটি পর্যন্ত করতে সাহস পাচ্ছে না। যদিও র‌্যাবের অভিযানে স্থানীয়দের মাঝে কিছুটা স্বস্তি এলেও মূল হোতা সোহাগ আটক না হওয়ায় তাদের মাঝে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ঝিকরগাছা থানা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তার সাথে দারুণ দহরম মহরম থাকায় সোহাগের মাদক ব্যবসা অনেকটা ওপেন সিক্রেট হলেও ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এমনকি তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হলেও পুলিশের কাছে তার নামে কোন নালিশ চলে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেটের সাথে পুলিশের দারুণ সখ্য থাকায় দেদারসে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটাচ্ছে নানা অপরাধমূলক কর্মকা-। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন ও উপজেলার প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায় থেকে ওই সিন্ডিকেট রমরমা মাদক ও চোরাচালানী ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
×