ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ সংশ্লিষ্টদের

ছিটমহলবাসী যেন কোন সমস্যায় না পড়েন

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১২ মে ২০১৫

ছিটমহলবাসী যেন কোন সমস্যায় না পড়েন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ইন্দো-বাংলা স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের সময় ভারতীয় সীমান্ত বরাবর ছিটমহলগুলোতে যে কোন গোষ্ঠীর সমস্যা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে জেলা প্রশাসন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ছয় জেলার সমন্বয় কমিটি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, ভারতের লোকসভায় স্থলসীমান্ত চুক্তি পাসের পর আমাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে এই চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছিটমহলের মানুষ যেন কোন সমস্যার মুখে না পড়েন এবং কেউ যেন তাদের আতঙ্কগ্রস্ত করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। ছিটমহলে মানুষের সংস্পর্শে থাকতে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, বর্ডার গার্ড (বিজিবি), আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ছিটমহলের মানুষ খুবই দুর্ভোগের মাঝে দিনাতিপাত করছে। বিগত ৬৮ বছর থেকে তারা দুর্দশাগ্রস্ত জীবন কাটাচ্ছে। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া। তিনি বলেন, ছিটমহলে সার্বিক উন্নয়ন ও এর অধিবাসীর কল্যাণে ইতোমধ্যে প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানকার গৃহহীন মানুষের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক, স্কুল ও রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত চুক্তি ছিটমহলবাসীর জন্য আমাদের দায়িত্ব বৃদ্ধি করেছে। এ দায়িত্ব আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে এই চুক্তির সঠিক বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকের পর সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন। তিনি পঞ্চগড় ও টাঙ্গাইল জেলা উন্নয়ন সমন্বয়ন কমিটির সঙ্গে কথা বলেন। জামালপুর, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, কিশোরগঞ্জ এবং ঢাকা ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনারগণ এ কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন, প্রশাসনিক কর্মকা-, আইন-শৃঙ্খলা এবং স্থানীয় সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং স্থানীয় প্রশাসনে গতিশীলতা আনতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার বর্তমান মেয়াদের অবশিষ্ট সময় দারিদ্র্যের হার কমপক্ষে আরও ১০ শতাংশ হ্রাসের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ জন্য উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সরকারী কর্মকর্তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
×