ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আবাসিক প্রতিনিধির সাক্ষাত

ছিটমহলবাসীকে মূল স্রোতে আনতে সহায়তা দেবে ইউএনডিপি

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১১ মে ২০১৫

ছিটমহলবাসীকে মূল স্রোতে  আনতে সহায়তা দেবে ইউএনডিপি

ইউএনডিপি স্থলসীমান্ত চুক্তির পর ভারতের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত ছিটমহলগুলোর উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। একই সঙ্গে সংস্থাটি ছিটমহলগুলোর অধিবাসীদের দেশের মূল ¯্রােতধারায় সম্পৃক্ত করতেও কাজ করতে চায়। খবর বাসসর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রবিবার তাঁর তেজগাঁও কার্যালয়ে জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ওয়াটকিন্স সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ প্রস্তাব দেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী ব্রিফকালে সাংবাদিকদের বলেন, এতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। কো-অর্ডিনেটর বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। তিনি বাংলাদেশ থেকে তাঁর কূটনৈতিক জীবন শুরু করায় এ দেশের প্রতি তাঁর (মুন) বিশেষ সহানুভূতি রয়েছে। রবার্ট বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশেষ করে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও দারিদ্র্য বিমোচনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নজিরবিহীন সাফল্য অর্জিত হয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশ এমডিজি-পরবর্তী লক্ষ্য পূরণেও সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবে। প্রধানমন্ত্রী ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে তাঁর সরকারের অব্যাহত প্রয়াসের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রথম পদক্ষেপে জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। এখন পুষ্টি চাহিদা মেটানোর কাজ চলছে। তিনি বলেন, ভিশন-২০২১ বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্্যাপিত হবে। সরকার আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের দারিদ্র্যের হার আরও ১০ শতাংশ হ্রাসের উদ্যোগ নিয়েছে। শেখ হাসিনা এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারী শিক্ষাসহ শিক্ষা খাতের উন্নয়নে নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচীর উল্লেখ করে বলেন, এ খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতসহ কিছু রাজনৈতিক দলের কর্মকা- সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের হঠকারী অবরোধ কর্মসূচী ও ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ে দেশের নি¤œআয়ের মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি-জামায়াত আমাদের সব অর্জন ধ্বংস করতে চায়। ইউএনডিপি রিপ্রেজেন্টেটিভ সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রাকে দুর্ভাগ্যজনক অভিহিত করে বলেন, ‘আমি আশা করি বাংলাদেশ এই পরিস্থিতি উতরে যেতে সক্ষম হবে। বেসরকারী ইপিজেডের সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’টি বেসরকারী রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলকে (ইপিজেড) কার্যকর করতে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। খবর বাসস’র প্রধানমন্ত্রী রবিবার তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বেসরকারী রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (বিপিইপিজেড) বোর্ড অব গবর্নর্সের ১৮তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশনা প্রদান করেন। বেসরকারী ইপিজেড দু’টি হচ্ছে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) ও রাঙ্গুনিয়া এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী জানান, সভায় এ দুটি বেসরকারী রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের সার্বিক অগ্রগতি ও চলমান সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল অবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহ্জাহান খান, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান এস এ সামাদ, বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান, এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
×