ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পুজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৬ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৭:৪০, ১০ মে ২০১৫

পুজিবাজারে লেনদেন  বেড়েছে ৬ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুঁজিবাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের সার্বিক সূচক চার হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যাওয়ার পরে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। দর হারাতে থাকা কোম্পানিগুলোর চাহিদা বাড়ার কারণে সার্বিক সূচক আগের তুলনায় বেড়েছে। যার কারণে সূচকের সঙ্গে গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনও বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আর ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই এক্স বেড়েছে ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। বিশ্লেষকদের মতে, গত সপ্তাহে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) হস্তক্ষেপে ধারাবাহিক পতন থেকে বের হয়েছে বাজার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আবার সক্রিয় হয়েছে পুঁজিবাজারে। এতে পুঁজিবাজারে আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৭৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৪১ কোটি ৯০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৬৩ কোটি ৪১ লাখ ৭২ হাজার টাকার শেয়ার। গত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ। এদিকে, ডিএসইর সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে শূন্য ৭৫ দশমিক ০৪ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএস৩০ সূচক দশমিক ৮৪ শতাংশ বা ১৩ দশমিক ১ পয়েন্ট বেড়েছে। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ বা ১৭ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৩৯টি কোম্পানির, আর দর কমেছে ৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির। আর লেনদেন হয়নি ৫টি কোম্পানির শেয়ার। এদিকে ডিএসইতে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ার কারণে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে দশমিক ২২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৪ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৪ দশমিক ৪২ পয়েন্ট। ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৬ দশমিক ৪ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩১ দশমিক ৬ পয়েন্ট, সিরামিক খাতের ৩৮ দশমিক ৭ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৭ পয়েন্ট, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ৩০ দশমিক ১ পয়েন্ট, জ্বালানি ও বিদু্যূত খাতে ১২ দশমিক ৯ পয়েন্ট, সাধারণ বীমা খাতে ৯ দশমিক ১ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের ২০ দশমিক ৬ পয়েন্টে, পাট খাতের ১৪৫ দশমিক ৪ পয়েন্ট, বিবিধ খাতের ৩২ দশমিক ২ পয়েন্ট, এনবিএফআই খাতের ১৩ দশমিক ২ পয়েন্টে, কাগজ খাতের ৫ দশমিক ৭ পয়েন্ট, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২৫ দশমিক ১ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতের ৩০ পয়েন্ট, চামড়া খাতের ২০ দশমিক ৪ পয়েন্ট, টেলিযোগাযোগ খাতে ৩০ দশমিক ৪ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতের ১০ দশমিক ২ পয়েন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১০ দশমিক ৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, এসিআই ফর্মূলেশন, এসিআই লিমিটেড, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ইফাদ অটোস লিমিটেড, মবিল যমুনা বাংলাদেশ, গ্রামীণফোন লিমিটেড, সাইফ পাওয়ার টেক, স্কয়ার ফার্মা ও ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইনটেক অনলাইন, এসিআই ফর্মূলেশন, আরামিট সিমেন্ট, ফার কেমিক্যাল ইন্ড্রাস্টিজ লিমিটেড, ন্যাশনাল টিউবস, ট্রাস্ট ব্যাংক, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন হার্ভেস্ট লিমিটেড, এইমস ১ম মিউচুয়াল ফান্ড। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : পাইনিওয়ার ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, দেশবন্ধু পলিমার, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, কে এ্যান্ড কিউ, বিএসআরএম লিমিটেড, মডার্ন ডাইং, নদার্ন জুটস, সোনারগাঁও টেক্সটাইল ও এবি ব্যাংক ১ম মিউচুয়াল ফান্ড।
×