ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বিতীয় টেস্টে ৩২৮ রানে হেরে ১- ব্যবধানে সিরিজ হার টাইগারদের

শুরুটা বাংলাদেশের, শেষটা পাকিস্তানের

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১০ মে ২০১৫

শুরুটা বাংলাদেশের, শেষটা পাকিস্তানের

মিথুন আশরাফ ॥ কথায় আছে- ‘শেষ ভাল যার, সব ভাল তার।’ বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে শেষের ভালটা পাকিস্তান ক্রিকেট দলেরই হলো। শেষটা রাঙিয়ে নিল পাকিরা। তিন ওয়ানডে, এক টি২০, দুই টেস্ট খেলতে সেই ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশে এসেছিল পাকিস্তান। মিরপুর টেস্টের আগ পর্যন্ত সিরিজজুড়ে একক আধিপত্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুটা বাংলাদেশেরই হয়েছে। কিন্তু শেষটা আর নিজেদের করে নিতে পারল না টাইগাররা। প্রায় এক মাসের সফরে শেষটা পাকিস্তানের দখলেই চলে গেল। খুলনায় হওয়া প্রথম টেস্ট ড্র করার পর শনিবার দুপুর গড়াতেই মিরপুরে হওয়া দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের ইতি ঘটল। সাড়ে তিন দিনেই মিরপুর টেস্ট শেষ হয়ে গেল! তাতে পাকিস্তান ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানেই জিতল। সেই সঙ্গে রানের দিক দিয়ে মিরপুরে সবচেয়ে বড় হারটিই হলো বাংলাদেশের। তৃতীয় দিন শেষে যখন জিততে ৪৮৭ রান লাগত বাংলাদেশের, তখনই ম্যাচ যে মুশফিকরা জিতবে না; তা ধরেই নেয়া হয়েছে। জিততে হলে যে ইতিহাস গড়তে হতো। কিন্তু সাকিব আল হাসান যে বলেছিলেন, ‘লড়াই ছাড়া ম্যাচ ছাড়ব না’ তার ছিটেফোটাও মিলল না। এমন অবস্থা চতুর্থ দিনে দেখা গেল, যেন যত দ্রুত হারা যায়Ñ এ জন্যই খেলতে নামছেন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা! খুলনায় এত ভাল খেলাতে আশা ছিল, হারলেও দল হারের ব্যবধান কমাবে। কিন্তু কোথায় গেল সেই ত্যাজি ভাব? কোথায় গেল সেই বিশ্বাস? ইয়াসিরের (৪/৭৩) দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২২১ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ! প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫৫৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। আজহার আলী ২২৬, ইউনুস খান ১৪৮ ও আসাদ শফিক ১০৭ রান করেন। তিন শতকে পাকিস্তানও বড় স্কোর গড়ে। শুরুতেই রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ফলোঅনে পড়েছিল বাংলাদেশ। ২০৩ রান করতেই অলআউট হয়ে যায়। ৩৫৪ রানে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সাকিব অপরাজিত ৮৯ রান করেন। শাহাদাত হোসেন রাজিব ইনজুরির জন্য আর ব্যাটই করতে পারেননি। তাই যখনই বাংলাদেশের ৯ উইকেটের পতন ঘটেছে, তখনই গুটিয়ে গেছে। কিন্তু ফলোঅনে পড়লেও বাংলাদেশকে আবার ব্যাটিংয়ে পাঠায়নি পাকিস্তান। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পাকিস্তানের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ যা বলেছেন, তা লজ্জাই দিয়েছে। মুশতাকের কণ্ঠে ভেসেছে এমনÑ ‘তিন দিনেই যদি টেস্ট শেষ হয়ে যায়, তাহলে টেস্ট মেজাজটাই নষ্ট হয়ে যাবে।’ আবার ব্যাট করতে নেমে যখনই ৮২ রান করা মিসবাহ আউট হয়েছেন, তখনই ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছে পাকিস্তান। ১৯৫ রান করতেই ৬ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান আর খেলেনি। বাংলাদেশের সামনে জিততে তখন ৫৫০ রানের টার্গেট দাঁড় হয়ে যায়। এ টার্গেট অতিক্রম করতে হলে বাংলাদেশকে বিশ্বরেকর্ডই গড়তে হতো। ইতিহাস তৈরি করতে হতো। যখন তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ৬৩/১ জমা থাকে, তখন জিততে ৪৮৭ রানের প্রয়োজন পড়ে। হাতে থাকে ২ দিন। আর শাহাদাত ব্যাট করতে পারবেন না বিধায় উইকেট থাকে ৮টি। এ উইকেট নিয়েই বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক কিছু করতে হতো। কিন্তু সাকিব যখন বলেছেন, ‘সাধারণ সম্ভাবনায় আমরা হারতেছি।’ তখন হার যে হচ্ছে, তার বিপরীত ভাবনা আর হয়নি। এরপরও একটি আশা ছিল। খুলনা টেস্টে বাংলাদেশ অসাধারণ খেলে ড্র করেছে। সেই আত্মবিশ্বাস যদি মিরপুর টেস্টে কাজে লাগে তাহলে অনেকদূরই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। হয়ত হার এড়ানো যেত না। কিন্তু ব্যবধান অনেক কমানো যেত। এর সঙ্গে বাংলাদেশকে যে ‘হেয় প্রতিপন্ন’ করেছেন মুশতাক, তার জবাব দেয়ার ব্যাপারও ছিল। কিন্তু কোনটিই করতে পারেনি বাংলাদেশ। মুশতাক যে বাংলাদেশকে আবার ব্যাটিংয়ে পাঠালে তিন দিনেই টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখেছেন, তার খুব বেশি ভুল প্রমাণ করতে পারেননি বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। ম্যাচ যে শেষ হয়ে গেল সাড়ে তিন দিনেই। যে বাংলাদেশ দল তৃতীয় দিনে ১ উইকেট হারিয়েছে, সেই বাংলাদেশই চতুর্থ দিনে আর ১৫৮ রান যোগ করতেই গুটিয়ে গেল। তামিম, মুমিনুল, মাহমুদুল্লাহ, মুশফিক, সাকিব, সৌম্য, শুভগতরা কিছুই করতে পারলেন না। একেকজন ব্যাট হাতে নামলেন আর আউট হতে থাকলেন। মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই ৪০ রানে ৪ উইকেটের পতন ঘটে গেল। একের পর এক ভুল শট খেলে তামিম (৪২), মাহমুদুল্লাহ (২), সাকিব (১৩) ও মুশফিক (০) আউট হয়ে গেলেন। গুরুত্বপূর্ণ সব ব্যাটসম্যান যখন এত দ্রুত আউট হয়ে যান, তখন কি আর দলের আত্মবিশ্বাসের গ্রাফ একই স্থানে থাকে। পরের ব্যাটসম্যানদের অবস্থাও নাজেহাল হওয়াটাই স্বাভাবিক, তা হলও। মধ্যাহ্ন বিরতির পর সৌম্য (১), মুমিনুল (৬৮), তাইজুল (১০), শুভগত (৩৯) আউট হয়ে গেলেন। শুধু অপরাজিত থাকলেন শহীদ (১৪*)। তামিম যখন ৪২ রানে আউট হয়ে গেলেন, তখন আর ৭টি রানের আফসোস থেকে গেল। তাহলে হাবিবুল বাশারের করা দেশের সর্বোচ্চ ৩০২৬ রান অতিক্রম করে রেকর্ড গড়তে পারতেন তামিম। কিন্তু পারেননি। তামিমের আউটের পর তো দলেরই নাজেহাল অবস্থা হয়ে গেল। এর মাঝেও মুমিনুল টিকে ছিলেন। দেশের মাটিতে ১০০০ রান পূরণ করে আউট হয়েছেন। কিন্তু তাতে দলের কোন লাভই হয়নি। বড় হারই হয়েছে। সেই হারে আবার ১-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারও নিশ্চিত হয়েছে। তবে এ টেস্ট শেষে একটি প্রশ্ন সবার মনেই দাগ কাটছে। কেন মুশফিক টস জিতেও আগে ফিল্ডিং করলেন? এর সঙ্গে মুশফিক যে দলকে নেতৃত্ব দিতে না পারায় ওয়ানডে অধিনায়কত্ব গেছে, টেস্টেও কি সেই রকম কিছু হবে? সেই জল্পনা-কল্পনাও চলছে। মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশ সেঞ্চুরিহীন একটি টেস্ট শেষ করল। সেই টেস্টে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া, দ্বিতীয় দিন শেষে একজন ‘নাইটওয়াচম্যান’ না নামিয়ে মুশফিক নিজেই ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে বিপাকে ফেলা, আর ব্যর্থ হওয়াই সবচেয়ে বেশি আলোচনার খোরাক যোগাচ্ছে। মিরপুর টেস্টে যে বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতা শূন্য। মাশরাফির ছোঁয়ায় শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে বাংলাদেশের। তিন ওয়ানডের তিনটিতে, একমাত্র টি২০তে জেতা গেছে। কিন্তু মুশফিকের ছোঁয়ায় শেষটা ভাল করতে পারল না বাংলাদেশ। মুশফিকের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তে শেষটা পাকিস্তানেরই হয়ে গেল। শচীনকে ছাড়িয়ে ভিভের পাশে মুমিনুল মোঃ মামুন রশীদ ॥ ‘লিটল মাস্টার’ ফিরে এসেছেন। এ উপাধিটি বিশ্ব ক্রিকেটে একজনের নামের সঙ্গেই জুড়ে গেছে। ২০১২ সালেই ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানানো ‘লিটল মাস্টার’ ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর খ্যাত শচীন টেন্ডুলকর টেস্ট ক্রিকেটেও বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে ফেলেছিলেন। এ কারণে বাংলাদেশের তরুণ টপঅর্ডার মুমিনুল হক সৌরভকে নিয়ে ভারতীয়রাই গণমাধ্যমে ফলাও করে লিখেছিলেন বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন লিটল মাস্টারের উদয় হয়েছে। ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্টেই দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। সেটি ছিল টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের মাত্র ষষ্ঠ ইনিংস। ২০১৩ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রামে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর উইলো থেকে বেরিয়ে আসে ১৮১ রান। তখন মাত্র ২১ বছর বয়সী মুমিনুল। এ কারণেই ক্যারিয়ারের শুরুতেই পেয়ে যান এমন সম্মান! বিশ্ব ক্রিকেটের নতুন এই ‘লিটল মাস্টার’ মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ছাড়িয়ে গেছেন পুরনো লিটল মাস্টারকে। টানা ১১ টেস্টে পঞ্চাশোর্ধ্ব (হাফসেঞ্চুরি) ইনিংস খেলে এখন মুমিনুল ঠাঁই নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের পাশে। সঙ্গে আছেন আরও দুই ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দর শেবাগ ও গৌতম গাম্ভীর। তবে টানা ১২ টেস্টে অর্ধশতকের বেশি রান করে সবার ওপরে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স। পরের টেস্টে অর্ধশতক পেলেই ভিলিয়ার্সের গড়া বিশ্বরেকর্ডের অংশীদার হয়ে যাওয়ার সুযোগ এখন ২৩ বছর বয়সী মুমিনুলের। মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৮ রান করে তিনি দেশের মাটিতে ষষ্ঠ বাংলাদেশী হিসেবে পূর্ণ করেছেন এক হাজার রান। শচীনের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ভিনদেশে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন টেস্ট ম্যাচ দিয়ে। মুমিনুল ওয়ানডে দিয়ে শুরু করলেও টেস্ট ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেন শ্রীলঙ্কা সফরে। অভিষেক টেস্টেই ৫৫ রানের একটি অর্ধশতক দিয়ে শুরু হয়েছে তাঁর ক্যারিয়ার। যেটা শচীন পারেননি। ভিভ রিচার্ডসেরও টেস্ট ক্যারিয়ার দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয় ভিনদেশ ভারতের মাটিতে। তিনিও পারেননি অভিষেকেই অর্ধশতক হাঁকাতে। পরের টেস্টেও অর্ধশতক হাঁকান মুমিনুল। ধারাবাহিকতার প্রতীক হয়ে ওঠেন নিয়মিত রানের মধ্যে থেকে। অবশেষে ২০১৩ সালের অক্টোবরে সফরকারী কিউইদের বিরুদ্ধে ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্টে খেলতে নেমেই অবিস্মরণীয় এক কীর্তি গড়ে ফেলেন মুমিনুল। ১৮১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে দেশের মাটিতে কোন বাংলাদেশী ক্রিকেটারের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলেন তিনি। সেটি অবশ্য এবার খুলনা টেস্টে ছাড়িয়ে গিয়ে তামিম ইকবাল খেলেছেন ২০৬ রানের ইনিংস। তবে ওই ইনিংসটির পরই মুমিনুল বহির্বিশ্বে নয়া ‘লিটল মাস্টার’ খেতাব পেয়ে যান। এত বড় খেতাব যার নামের পাশে তাঁকে চিনতে ভুল করেননি দেশ-বিদেশের ক্রিকেটবোদ্ধারা। ধারাবাহিকভাবেই তাঁর ব্যাটে রান এসেছে। ১৪ টেস্টে তাঁর রান ১৩৮০। ব্যাটিং গড় ৬০! আছে চারটি সেঞ্চুরি ও ৯টি হাফসেঞ্চুরি। মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেছেন বিপদের মুহূর্তে একাই লড়ে সাবলীল ভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়েছেন। ১০২ বলে ৯ চারে তিনি ৬৮ রান করে ফিরে যান। এর আগেই দেশের মাটিতে পূর্ণ করেন ১ হাজার রান। মুমিনুলের আগে অবশ্য অনেক বেশি ম্যাচ খেলে হাবিবুল বাশার (২২ টেস্ট), মোহাম্মদ আশরাফুল (২৮ টেস্ট), তামিম ইকবাল (২৫ টেস্ট), মুশফিকুর রহীম (২৬ টেস্ট) ও সাকিব আল হাসান (২৭ টেস্ট) দেশের মাটিতে এই কীর্তি গড়েছেন। অথচ দেশের মাটিতে মাত্র ৯ টেস্টে মুমিনুলের রান ৭৫ গড়ে ১০৫০! ব্যাটিং গড়ে দেশের মাটিতে তিনিই সবার ওপরে। এর চেয়েও বড় কীর্তিটা গড়েছেন তিনি বাংলাদেশের আরেকটি ইনিংস পরাজয়ের ম্যাচে। যার কারণে হারের মধ্যেও যোগ হয়েছে অসামান্য এক কীর্তি। এ নিয়ে টানা ১১ টেস্টেই অর্ধশতাধিক রানের ইনিংস উপহার দিলেন মুমিনুল। তিনি ছাড়িয়ে গেলেন লিটল মাস্টার শচীনের টানা ১০ টেস্টে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলার রেকর্ডটাকে। এবার তিনি ছুঁয়ে ফেলেছেন স্যার ভিভ রিচার্ডসকে। শুধু টানা ১২ টেস্টে এমন কীর্তি গড়ে বিশ্বরেকর্ডের মালিক ভিলিয়ার্স এগিয়ে আছেন। আর মুমিনুলের কাতারে আছেন শেবাগ ও গাম্ভীরও। তবে কোন ব্যাটসম্যানই ক্যারিয়ার শুরুর দুই বছর হওয়ার আগেই এমনটা করতে পারেননি। বাকিরা করেছেন টেস্ট ক্রিকেটে দীর্ঘদিন বিচরণ করে যথেষ্ট অভিজ্ঞ হওয়ার পর। সেটা মুমিনুল মাত্র ক্যারিয়ারের চতুর্থ থেকে শুরু করে ১৪তম টেস্ট পর্যন্ত টানা ১১ টেস্টে করে দেখালেন। মুমিনুলের আগে বাংলাদেশের পক্ষে টানা অর্ধশতক পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিলেন তামিম। তিনি ২০১০ সালে টানা ৭ টেস্টে খেলেছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। মুমিনুলের সামনে এবার হাতছানি ভিলিয়ার্সের বিশ্বরেকর্ডের সঙ্গী হওয়ার। সেজন্য নিজের পরবর্তী টেস্টে একটি অর্ধশতক প্রয়োজন পড়বে শুধু মুমিনুলের।
×