ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড গঠনের বিধান রেখে শ্রম বিধিমালা চূড়ান্ত অর্থনৈতিক রিপ

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১০ মে ২০১৫

শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড গঠনের বিধান  রেখে শ্রম বিধিমালা চূড়ান্ত   অর্থনৈতিক রিপ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের জন্য শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড গঠনের ব্যবস্থা রেখে সংশোধিত শ্রম আইন-২০১৩-এর আলোকে শ্রম বিধিমালা-২০১৫ প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে সরকার। শ্রমিকদের ইন্স্যুরেন্স ও চাকরির নিশ্চয়তার পাশাপাশি শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডে শিল্পের মোট রফতানির শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ জমার বিধান রাখা হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে এক আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এই বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়। এতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানসহ বিভিন্ন কারখানার মালিক উপস্থিত ছিলেন। চলতি মাসের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির পর তা চূড়ান্ত বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এর আগে শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর আমাদের ওপর আন্তর্জাতিক প্রচ- চাপ ছিল। কমপ্লায়েন্স ও শ্রম আইনের কথা বলে কেউ কেউ জিএসপি বাতিল করেছে। এ ঘটনার পর তিন মাসের মধ্যে আমরা শ্রম আইন-২০১৩ সংশোধন করেছি। পর্যায়ক্রমে শিল্পের সব শর্ত পূরণ করেছি। তিনি বলেন, সংশোধিত আইনটিকে বিধিতে রূপান্তরিত করাই ছিল আমাদের জন্য কষ্টকর। এটাও আজ আমরা চূড়ান্ত করেছি। এর ফলে সবচেয়ে লাভবান হবে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ। কারণ মালিক পক্ষ যে রফতানি আয় করবে তার শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডে জমা দেবে। গত বছরের রফতানি হিসেবে এর পরিমাণ হবে ৭২ কোটি টাকা। এ টাকা শুধু শ্রমিকদের কল্যাণেই ব্যয় করা হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের জন্য যে ২ লাখ টাকার ইন্স্যুরেন্স করা হয়েছে তা পেতে অনেক সময় লাগে। কেউ যদি দুর্ঘটনায় মারা যায় তাহলে আমরা শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড থেকে তা শ্রমিকদের দেব। প্রতিবছর ফান্ডের এ টাকা বাড়তেই থাকবে। ২০২১ সালে রফতানির পরিমাণ হবে ৫০ বিলিয়ন ডলার। তখন শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডের বার্ষিক আয় শত কোটি টাকা ছাড়াবে। তিনি বলেন, মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্যই এ আইন। কারখানা শুধু মালিক পক্ষেরই না, শ্রমিকরাও এর মালিক। শ্রমিকরা কখনও আন্দোলন করে কারখানা বন্ধ করে না। রাজনৈতিক সুবিধাভোগিরা ফায়দা হাসিলের জন্য শ্রমিকদের ব্যবহার করে। নতুন এ বিধি চূড়ান্ত হলে শ্রমিকদের আর আন্দোলন করতে হবে না। বৈঠকের সভাপতি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সংশোধিত শ্রম আইন-২০১৩ এর আলোকে আজকে আমরা মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করেছি। চলতি মাসের মধ্যেই এটি ঘোষণা করতে পারব। এতে শ্রমিকদের স্বার্থকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
×