ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

১১ বছরে ২৬ লাখ একর কৃষিভূমি চলে গেছে অকৃষি খাতে ;###;জলাশয়, ঘরবাড়ি, শিল্প-কারখানাসহ অপরিকল্পিত নগরায়নে দ্রুত কমছে জমি ;###;তামাক চাষে জমি উর্বরতা হারাচ্ছে ;###;৬৮ ভাগ প্রান্তিক চাষীর জীবনজীবিকা হুমকির মুখে ;###;তীব্র খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা

প্রতিদিন অকৃষি খাতে যাচ্ছে ২০৯৬ বিঘা ॥ গায়েব কৃষি জমি!

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১০ মে ২০১৫

প্রতিদিন অকৃষি খাতে যাচ্ছে ২০৯৬ বিঘা ॥ গায়েব কৃষি জমি!

রাজন ভট্টাচার্য ॥ বাণিজ্যিক কারণে দেশে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার ৯৬ বিঘা বা ৬৯২ একর কৃষি জমি হারিয়ে যাচ্ছে। রূপান্তরিত জমির পুরোটাই অকৃষি খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে। জলাশয় ভরাট করে প্রতিদিন মোট কৃষি জমি কমছে ৯৬ বিঘা। তামাক চাষের কারণে প্রতিদিন নয় হাজার একর কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। এভাবে কৃষি জমি কমতে থাকলে দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষের জীবন-জীবিকা চরম হুমকির সম্মুখীন হবে। পরিসংখ্যান বলছে, গত ১১ বছরে মোট ২৬ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩১ একর কৃষি জমি অকৃষি খাতে চলে গেছে। ১১ জেলায় গবেষণায় দেখা গেছে, কক্সবাজার, কুষ্টিয়া ও মানিকগঞ্জ জেলাতে কৃষি জমির বাণিজ্যিক ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। কৃষি জমি নিয়ে সম্প্রতি একটি বেসরকারী সংস্থার গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। এমন বাস্তবতায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়ন জমি কমার মূল কারণ। দ্রুত ভূমি রক্ষায় সমন্বিত নীতিমালা গ্রহণ না করলে সামনে ভয়াবহ বিপর্যয় অপেক্ষা করছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে কৃষি জমি। তখন চরম খাদ্য সঙ্কটের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। কৃষি জমি রক্ষায় তামাকের উৎপাদন বন্ধ ও এ খাতে বিদেশী বিনিয়োগ কমানোরও পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। জমি নিয়ে গবেষণা ॥ বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান এ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এক গবেষণায় বলেছে, বাংলাদেশে মোট ভূমির পরিমাণ প্রায় ১৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন হেক্টর। যার প্রায় ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ জুড়ে বনভূমি। ২০ দশমিক ১ শতাংশে স্থায়ী জলাধার, ঘরবাড়ি, শিল্প-কারখানা, রাস্তাঘাট ইত্যাদি, অবশিষ্ট ৬৬ দশমিক ৬ শতাংশ জমি কৃষি কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। বাস্তবতা হলো কৃষি জমির পরিমাণ কমছে আশঙ্কাজনক হারে। জমি কমায় আগামী ১০ বছরেই আমাদের ভাতে মরার আশঙ্কা হয়ে দেখা দিতে পারে। গবেষণায় বলা হয়, দেশে ২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১১ বছরে মোট ২৬ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩১ একর বা ৮০ লাখ ৩৩ হাজার বিঘা কৃষি জমি অকৃষি খাতে চলে গেছে। এই হিসেবে বছরে এ রূপান্তরের পরিমাণ ৭ লাখ ৩০ হাজার ৩২৬ বিঘা জমি। আর প্রতিদিন কমছে দুই হাজার বিঘা কৃষি জমি। জলাশয় ভরাট করে প্রতিদিন মোট কৃষি জমি কমছে ৯৬ বিঘা। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিপুল পরিমাণ এ কৃষি জমির ৮০ শতাংশই বাড়ি নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। দোকানপাট নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে ২ দশমিক ৬ শতাংশ আর অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যান্য কাজের মধ্যে রয়েছে কারখানা স্থাপন, তামাক ও চিংড়ি চাষ, ইটভাঁটি নির্মাণ প্রভৃতি। সংস্থার পক্ষ থেকে দেশের ১১ জেলায় ৬৬ গ্রামের ৯৯০ পরিবারের ওপর এই গবেষণা জরিপ পরিচালিত হয়। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার, কুষ্টিয়া ও মানিকগঞ্জ জেলাতে কৃষি জমির বাণিজ্যিক ব্যবহার সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। রাজশাহী, নাটোর, রাঙ্গামাটি ও হবিগঞ্জ জেলায় বাণিজ্যিকভাবে কৃষি জমি ব্যবহারে মধ্যম অবস্থানে রয়েছে। আর কৃষি জমির বাণিজ্যিক ব্যবহার অপেক্ষাকৃত কম হয় সাতক্ষীরা, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ এবং নেত্রকোনায়। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত বলেন, জমি সুরক্ষার দিক থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে খারাপ সময় যাচ্ছে। কৃষি জমি বাণিজ্যিকীকরণে সরকার ওস্তাদ, যা পুরোপুরি ভুল সিদ্ধান্ত। কৃষি জমির বাণিজ্যিক ব্যবহার সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে নিজের প্রবন্ধে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, কৃষি জমি ব্যবহারে রাষ্ট্রকেও তাদের বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ও চিন্তাশীল ব্যক্তিরা ভুল সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন। তারা কৃষি জমি বাণিজ্যিকীকরণের বিষয়টিকে আশীর্বাদ হিসেবে সরকারকে দেখানোর চেষ্টা করছে, যা মোটেও বাস্তবসম্মত নয়। তিনি বলেন, দিনে ৯৬ বিঘা অর্থাৎ ৩১ একর জলা যাচ্ছে অকৃষি খাতে। এর মধ্যে বাড়ি নির্মাণের জন্য ৮০ ভাগ জমি নষ্ট হচ্ছে। অন্যান্য খাতে প্রতিদিনই ২০ ভাগ কমছে কৃষি জমি। আর সে জমি ব্যবহার করা হচ্ছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা ও শিল্প-কারখানা নির্মাণে। বারকাত বলেন, দেশের কৃষি জমি রক্ষা করতে হলে ও কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ঠেকাতে সরকারের নীতি ঠিক হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, সরকার নিজেই জানে না প্রতিবছর কতটুকু জমি কৃষি থেকে অকৃষি জমি হয়ে যাচ্ছে। কোন্ এলাকায় তামাক চাষ বাড়ছে, কোন্ এলাকায় কমছে তার কিছুই জানে না সরকার। তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, কৃষি জমি অকৃষি হওয়া ও বাণিজ্যিকীকরণ রোধে তামাকের উৎপাদন কমাতে হবে। এ জন্য সরকারের রাজস্ব নীতি শক্ত করতে হবে। আইন করে বহুজাতিক কোম্পানির তামাক উৎপাদনের বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। চিংড়িচাষ বিশেষভাবে বন্ধ, জমির মান বাড়ানো এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কথা বলেন তিনি। বছরে বাড়ছে ২৫ লাখ মানুষ ॥ গবেষণা বলছে, বছরে বাড়ছে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ। প্রতিবছর নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে এক হাজার হেক্টর জমি। ৮০ শতাংশ সরকারী খাস জমিতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। নির্মাণ কাজের জন্য বছরে বিলীন হচ্ছে তিন হাজার হেক্টর জমি। প্রায় ছয় বছরেও আলোর মুখ দেখেনি ‘জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতি ২০১০’ এবং কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি জোনিং আইন-২০১০। বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, বৃহৎ জনবসতির দেশ হিসেবে সবার আগে বাংলাদেশে ভূমি ব্যবহারের জন্য নীতিমালা থাকা উচিত ছিল। হল্যান্ড, তাইওয়ান, ইসরাইলÑ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পরিকল্পনা অনুযায়ী ভূমির ব্যবহার করা হচ্ছে। সে সব দেশে এক ইঞ্চি জমিও পরিকল্পনার বাইরে ব্যবহারের সুযোগ নেই। দেশে সাড়ে তিন কোটি একর জমির মধ্যে দুই কোটি একরের কিছু বেশি কৃষি জমি রয়েছে। এসব জমি দ্রুত বিভিন্ন খাতে রূপান্তরিত হচ্ছে। প্রথমত কৃষি জমি হ্রাস বন্ধ করতে হবে পাশাপাশি জমি ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ জরুরী। জমির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সবার আগে জাতীয় ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা ও নীতিমালা জরুরী এমন পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে কৃষি জমি অকৃষি খাতে ব্যবহার করা যাবে না এমন আইন রয়েছে। কৃষি জমি অন্য খাতে ব্যবহার করতে হলে সরকারী অনুমোদনের বিষয় আছে। এ ছাড়া জলাধার সুরক্ষা আইন, বনভূমি ও পাহাড় রক্ষায়ও আইন রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো কোন আইনেরই যথাযথ প্রয়োগ নেই। কমছে কৃষি জমির পরিমাণ ॥ অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের ফলে মাথাপিছু আবাদযোগ্য জমি কমতে কমতে প্রান্তসীমায় এসে দাঁড়িয়েছে। এভাবে কৃষি জমি কমতে থাকলে দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষের জীবন-জীবিকা চরম হুমকির সম্মুখীন হবে। বাংলাদেশে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৮০৪ কৃষক পরিবার রয়েছে। তাদের শতকরা প্রায় ৬০ ভাগই প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক। কৃষিজমি অকৃষিতে রূপান্তরিত হওয়ায় এসব প্রান্তিক কৃষক সংসারের হিসাব মেলাতে পারছেন না। জমি হ্রাস নিয়ে গবেষণা ॥ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ২০১০ সালে দ্রুত জমি কমে যাওয়া রোধ করতে কঠোর আইন পাস করাসহ ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরে। রিপোর্টে বলা হয়, নির্মাণ কাজের জন্য প্রতিবছর তিন হাজার হেক্টর জমি বিলীন হচ্ছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে ১০ বছরে আবাদি জমি বিলুপ্তি হওয়ার আশঙ্ক রয়েছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণায় বলা হয়, দেশে মোট জমির পরিমাণ ১৪ দশমিক চার মিলিয়ন হেক্টর। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে এ জমি ভাগ করলে জনপ্রতি পাবেন ২৪ শতাংশ, চাষযোগ্য জমি পাওয়া যাবে ১৫ শতক। সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হলো বছরে বাড়ছে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ। কমছে দুই লাখ একর কৃষি জমি। আইনী সুরক্ষার অভাব ॥ ‘জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতি ২০১০’ এবং ‘কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি জোনিং আইন ২০১০’ অনুসারে কৃষি জমি কৃষি কাজ ব্যতীত অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কোন কৃষি জমি ভরাট করে বাড়িঘর, শিল্প-কারখানা, ইটভাঁটি বা অন্য কোন অকৃষি স্থাপনা কোনভাবেই নির্মাণ করা যাবে না উল্লেখ থাকলেও প্রতিনিয়তই কৃষি জমি ব্যবহƒত হচ্ছে অকৃষি কাজে। ২১টি জেলার ১৫২টি উপজেলায় ল্যান্ড জোনিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হলেও তদারকি নেই। প্রস্তাবিত আইনে যা আছে ॥ প্রস্তাবিত কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে কৃষি জমিতে আবাসন, শিল্প-কারখানা, ইটভাঁটি বা অন্য কোন রকম অকৃষি স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। জমি যে ধরনেরই হোক না কেন, তা কৃষি জমি হিসেবেই ব্যবহার করতে হবে। দেশের যে কোন স্থানের কৃষি জমি এ আইনের মাধ্যমে সুরক্ষিত হবে এবং কোনভাবেই তা ব্যবহারে পরিবর্তন আনা যাবে না। কোন অবস্থাতেই উর্বর জমিতে কোন স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেয়া যাবে না। যে কোন ধরনের জমির শ্রেণী পরিবর্তন করা যাবে না। আইনে বিচার ও দ-Ñ হিসেবে বলা হয়েছে, আইন লঙ্ঘনকারী বা সহায়তাকারীর অনুর্ধ দুই বছর কারাদ- বা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদ-- কিংবা উভয় দ-ে দ-িত হবে। এ আইনের অধীনে অপরাধ আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য ও আপোসযোগ্য হবে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা সংশ্লিষ্ট রাজস্ব কর্মকর্তা কিংবা বন ও মৎস্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মামলা করতে পারবেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এএএম মাহাবুব-উন-নবী জনকণ্ঠকে বলেন, আমাদের দেশে ভূমি ব্যবহারের সমন্বিত পরিকল্পনা নেই। তাই রাষ্ট্র জমির পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারছে না বা ব্যর্থ হচ্ছে। এ জন্য দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। একটা বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হলোÑ দিন দিন জমির পরিমাণ কমছে। আমরা চরম সঙ্কটের দিকে এগিয়ে চলেছি। ভবিষ্যতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা। তাই আর বসে থাকার সময় নেই। দেশের সব রকমের জমি ব্যবহারে এখনই সমন্বিত পরিকল্পনা বা নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, হাসপাতালসহ বিভিন্ন রকম স্থাপনা অনেকটা অপরিকল্পিতভাবেই করা হচ্ছে। এর ফলে প্রচুর পরিমাণ জমি নষ্ট হচ্ছে। গ্রামে জমি রক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে বাড়ি নির্মাণ না করে গ্রামগুলোকে ছোট ছোট শহরে পরিণত করতে হবে। বহুতল ভবনে একাধিক পরিবারের আবাসন ব্যবস্থা করা জরুরী। তাহলে কৃষি জমি অকৃষি খাতে চলে যাওয়ার প্রবণতা কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করেন এই নগর বিশেষজ্ঞ।
×