ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজ মির্জাপুর ট্র্যাজেডি দিবস ॥ রণদা প্রসাদসহ ৩১ জনকে হত্যা

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ৭ মে ২০১৫

আজ মির্জাপুর ট্র্যাজেডি দিবস ॥ রণদা প্রসাদসহ ৩১ জনকে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল, ৬ মে ॥ ৭ মে মির্জাপুর ট্র্যাজেডি দিবস। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের এ দিবসটিতে এ দেশীয় রাজাকার ও দালালদের সহযোগিতায় পাকিস্তানী দোসররা লৌহজং নদী ঘেঁষা মির্জাপুর গ্রামে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তা মানুষ আজও ভুলতে পারেনি। মাত্র দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে নিরস্ত্র নিরপরাধ ৩১ জনকে শিকারী পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানী ঘাতক বাহিনী। চলে লুটপাট, নারী নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগ। নিমিষের মধ্যেই প্রাণচঞ্চল মির্জপুর গ্রামটি ভুতুড়ে প্রেতপুরিতে পরিণত হয়। এ নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি পাকিস্তানী দোসররা, যে ব্যক্তিটি তার জীবনের অর্জিত অর্থ দিয়ে অসহায় মানুষকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করলেন কুমুদিনী হাসাপাতাল ও নারী শিক্ষা প্রসারের জন্য গড়ে তুললেন ভারতেশ্বরী হোম্স। মির্জাপুরবাসীর সেই প্রাণের মানুষ এশিয়া খ্যাত দানবীর রণদা প্রসাদ ও তার পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহা রবিকে রেহাই দেয়নি নরপশুরা। দিবসটি মির্জাপুরবাসীর জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হলেও স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক বা সামাজিক কোন সংগঠন এ উপলক্ষে কোন কর্মসূচী হাতে নেয়নি বলে জানা গেছে। তবে কুমুদিনী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিবসটি উপলক্ষে আনন্দ নিকেতনে প্রার্থনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করবে। এছাড়া মির্জাপুর গ্রামবাসী ’৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে ৭ মে মির্জাপুরে যাঁরা গণহত্যার স্বীকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের স্মরণে রণদা নাটমন্দিরে ৫ মে থেকে ৭ মে পর্যন্ত ৩ দিন ব্যাপী হরিনাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও লীলাকীর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। পূর্ব ছক অনুযায়ী একই দিনে (৭ মে) ঘাতক বাহিনী দানবীর রনদা প্রসাদ সাহা ও তাঁর পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহা রবি এবং রনদা প্রসাদ সাহার বিশ্বস্ত কর্মচারী গৌর গোপাল সাহাকে নারায়ণগঞ্জের বাসা থেকে ধরে এনে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে হত্যা করে। হত্যাযজ্ঞ চালানোর ২ দিন পর গণহত্যার শিকার মির্জাপুর গ্রামের ২৭ বাঙালীর লাশ শিয়াল, কুকুরে ভক্ষণ করার পর তৎকালীন মির্জাপুর থানার ওসি কয়েকজন চৌকিদার নিয়ে আন্ধরা গ্রামে ২টি গণকবরে মাটিচাঁপা দেয়।
×