ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিদ্যমান শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানাল নোয়াব

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৫ মে ২০১৫

বিদ্যমান শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানাল নোয়াব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব (নিউজপেপার ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ)। একই সঙ্গে প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ সময়সাপেক্ষ হওয়ায় বিজ্ঞাপনের ওপর অগ্রিম আয়কর সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র দাখিল করার বিধান বাতিলেরও দাবি জানান তারা। সোমবার রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব দাবি করেন তারা। এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় বিভিন্ন সংবাদপত্র মালিক ও এনবিআরের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নোয়াবের সভাপতি মতিউর রহমান বিভিন্ন প্রস্তাব ও দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নিউজপ্রিন্ট আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে ৫ শতাংশ শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৩ শতাংশ হারে অগ্রিম আয়কর দিতে হয়। নোয়াবের পক্ষ থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বলা হয়, দেশের অনেক শিল্পের ক্ষেত্রে কাঁচামাল আমদানির ওপর কোন ভ্যাট নেই। সংবাদপত্র শিল্পের প্রধান কাঁচামাল নিউজপ্রিন্ট। নিউজপ্রিন্ট আমদানির ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভ্যাট পরবর্তীতে সমন্বয় করা যায় না। এ শিল্প মাবনকল্যাণধর্মী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে সে জন্য এ শিল্প ভ্যাট থেকে অব্যাহতি পাওয়ার দাবিদার। ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, নিউজপ্রিন্ট আমদানির ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভ্যাট পরবর্তীতে চূড়ান্ত দ্রব্যে (পত্রিকা) সমন্বয় হওয়া উচিত। এটি কেন হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। অন্যদিকে পত্রিকা শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে আমদানি করা নিউজপ্রিন্টের ওপর কোন আমদানি কর থাকা উচিত নয় উল্লেখ করে নোয়াবের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই কাঁচামাল পত্রিকা হিসেবে বিক্রি হওয়ার আগে মুদ্রণ, সংযোজন, মিশ্রণ ও কাটিংয়ের মাধ্যমে শিল্প উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে বড় ধরনের রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যায়। তাই রুগ্ন সংবাদপত্র শিল্পকে সাহায্য করার অংশ হিসেবে বিদ্যমান ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। মতিউর রহমান বলেন, এসব শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার করলে রাষ্ট্রের বড় অঙ্কের ক্ষতি হবে না। কিন্তু আমাদের বড় উপকার হয়। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান নোয়াবের এ বক্তব্য অর্থমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপনের আশ্বাস দিয়ে বলেন, আশা করছি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে। আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ডেইলি স্টারের প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদ, সংবাদের সম্পাদক আলতামাশ কবির, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউজ টু ডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, এনবিআর সদস্য ফরিদ উদ্দিন ও এনায়েত হোসেন প্রমুখ।
×