ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুই শতাধিক অবৈধ দোকানঘর ও মার্কেট স্থাপন

ময়মনসিংহে রেলের জমিতে মার্কেট নির্মাণ

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ৩০ এপ্রিল ২০১৫

ময়মনসিংহে রেলের জমিতে মার্কেট নির্মাণ

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহে রেলওয়ের জায়গা দখল করে দোকানঘর ও মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। গত দুই বছরে শহরের পাটগুদাম র‌্যালি মোড় এলাকাতেই অন্তত দুই শতাধিক অবৈধ দোকানঘর ও মার্কেট নির্মাণ করেছে একটি প্রভাবশালী মহল-এ অভিযোগ স্থানীয়দের। ওয়ান ইলেভেনের সময় পাটগুদাম র‌্যালি মোড় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে এসব দোকানপাট ও মার্কেটসহ কয়েক শ’ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছিল। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রেলওয়ের সরকারী জায়গায় আবার আগের চেহারায় ফিরে যায়। জবরদখল করা জায়গায় অবৈধ স্থাপনার মধ্যে রয়েছে মোটর গ্যারেজ, অটো কারখানা, বিউটি পার্লার, ওয়েল্ডিং কারখানা, মুদি দোকান ও ভলকানাইজিং সেন্টার। স্থানীয় সূত্র জানায়, শহরের পাটগুদাম র‌্যালি মোড় এলাকার ৮২ নম্বর জেসি গুহ রোডে রেলওয়ের সরকারী জায়গা জবরদখলের পর একতলা পাকাঘর নির্মাণ ও মার্কেট করে ভাড়া দিয়েছেন মরহুম ছনো মোড়লের ছেলে বাবুল মোড়ল। একতলা এই পাকা মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, ছোটবড়সহ মোট ছয়টি দোকান রয়েছে। এসব দোকান স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে মাসিক দুই থেকে তিন হাজার টাকায় ভাড়া দেয়া হয়েছে। এই মার্কেটের ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী ইয়াছিন জানান, গত ৫/৬ মাস ধরে এই মার্কেটে তিনি ছয় হাজার টাকায় দু’টি দোকান ঘর ভাড়া নিয়েছেন। একই মার্কেটের রিফাত অটোহাউসের ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে মাসিক ভাড়া আদায় করা হচ্ছে তিন হাজার টাকা। সম্প্রতি বাবুল মোড়ল একই এলাকায় দৃষ্টিনন্দন ও অভিজাত বিউটি পার্লার নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে অনেকের নজর কাড়েন। এভাবে কেবল র‌্যালি মোড় এলাকায় রেলওয়ের জায়গা জবরদখল করে গড়ে ওঠা দোকানপাট ও বাণিজ্যিক মার্কেট থেকে প্রতিমাসে দুই লাখেরও বেশি টাকা ভাড়া আদায় করছে প্রভাবশালী মহল। এর বাইরে দুই শতাধিক ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে দোকানঘর বরাদ্দ বাবদ জামানত হিসেবে এককালীন আদায় করা হয়েছে এক কোটি টাকার ওপরে। স্থানীয়দের দাবি অবৈধ এসব দোকানপাটের সিংহভাগই ছনো মোড়লের পরিবারের জবরদখলে রয়েছে। এরপরই রয়েছে স্থানীয় লিটন, আসলাম ও আলালের জবরদখল করা অবৈধ স্থাপনা। স্থানীয় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে রাতারাতি রেলওয়ের জায়গায় এসব পাকা দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জমির মালিকানার বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকলেও জবরদখল করে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনায় রয়েছে বিদ্যুত ও গ্যাসের সংযোগ!
×