ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিসিআইএম হলে বাংলাদেশ লাভবান হবে ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ৩০ এপ্রিল ২০১৫

বিসিআইএম হলে বাংলাদেশ লাভবান হবে ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিশ^বাণিজ্যে সার্কভুক্ত দেশসমুহের অবদান কম। বাংলাদেশ চায়না ইন্ডয়া মিয়ানমার (বিসিআইএম) যোগাযোগ স্থাপিত হলে এ বাণিজ্যের পরিমান অনেক বেড়ে যাবে। বিসিআইএম এ অঞ্চলের বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টি করে দিবে। মন্ত্রী বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল আয়োজিত ‘বিসিআইএম ইকোনোমিক করিডোর: হারমোনিয়াস সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বাণিজ্য বেড়েই চলছে। গত বছর বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৩২.১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, চলতি বছর রপ্তানি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিসিআইএম কার্যকর হলে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য আরো অনেক বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, বিসিআইএম বাস্তবায়নের ফলে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশ অনেক লাভবান হবে। বিশেষ করে প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়বে। গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফর করেছেন, এ সময় বিসিআইএম-এর বিষয়ে বাংলাদেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মন্ত্রী বলেন, বিশ^ অর্থনৈতিক শক্তিতে চীনের অবস্থান দ্বিতীয় এবং ভারতের অবস্থান তৃতীয়। এ দু‘টি দেশের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বেশি। শিল্পের কাাঁচামাল আমদানীর কারনেই এ দু‘টি দেশের সাথে বাংলাদেশের ঘাটতি বাণিজ্য রয়েছে। বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ভারত ও চীন বাংলাদেশকে বাণিজ্য সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। যারা এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে আখ্যায়িত করেছেন, তারাই আজ বাংলাদেশকে মিরাক্কেল বলছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশের হাল ধরেছিলেন। আজ তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধু এবং উন্নয়ন সহযোগি। চীনের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাতকে সহায়তা করতে মুন্সিগঞ্জ জেলার বাউসিয়ায় তৈরী পোশাক পল্লী নির্মাণ, পূর্বাচলে স্থায়ী বাণিজ্য মেলা ক্যাম্পাস এবং কর্নফুলি টারেলেরমতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ চীনকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চললে শিল্প গড়ে তোলার জন্য সুযোগ করে দিচ্ছে। এতে বাংলাদেশে চীনের শিল্প খাতে বিনিেিয়াগ অনেকগুন বেড়ে যাবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বলেন, বিসিআইএম কার্যকর হলে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভুতপূর্ব উন্নয়ন হবে এবং বাংলাদেশ ব্যবসায়িক ভাবে উপকৃত হবে। অনুষ্ঠানের অপর বিশেষ অতিথি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, বিসিআইএম কার্যকর হলে এ অঞ্চল অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালি হবে, নতুন বিনিযোগের সূচনা হবে। বাণিজ্য, এনার্জি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। আঞ্চলিকায়ন জোড়দার করতে হবে, এ জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিআইএম যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা হলে এ অঞ্চলের উন্নয়নের দ্বার খুলে যাবে। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ূয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াস, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার সঞ্জিব চক্রবর্তী, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট এবং বিসিআইএম বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ-চায়না চেম্বারের প্রেসিডেন্ট গোলাম দস্তগীর গাজী, বাংলাদেশ-মিয়ানমার চেম্বারের প্রেসিডেন্ট কে বি আহমেদ প্রমুখ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেজবাহ কামাল।
×