ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি ছিল উৎসাহব্যঞ্জক

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৯ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকায় সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি ছিল উৎসাহব্যঞ্জক

রশিদ মামুন ॥ ভোটকেন্দ্র মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজ বনশ্রী শাখা। ঘড়ির কাঁটায় সকাল সাতটা ৩৫ মিনিট। ২০ জনের লাইনের প্রথমেই দাঁড়িয়ে আব্দুর রশিদ মজুমদার। সকাল সোয়া সাতটায় এসে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন। ভোট শুরুর পাক্কা ৪৫ মিনিট আগে। একটু পরে রোদ বেড়ে যাবে। ভিড়ভাট্টা হবে এই ধারণা থেকে আগে ভাগে ভোট দিতে আসা। কুড়ি জনের লাইনের পিছনে একে একে মানুষ আসতে শুরু করছে তখন। সময় সাতটা ৫০ মিনিট, রামপুরা মহানগর প্রজেক্ট এর আল ফুরকান ইংলিশ হাইস্কুল। ভোট শুরুর তখনও ১০ মিনিট বাকি। মহিলা ভোটার লাইনের ২২ জনের শুরুতে দাঁড়ানো রাশেদা কুলসুম। আগে এই এলাকায় থাকলেও তিনি এখন খিলগাঁয়ের বাসিন্দা। সবার আগে ভোট দেয়ার জন্যই ভোর সাড়ে ছয়টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে শুরু থেকেই এই উৎসাহ দেখাগেছে। সকলকেন্দ্রই উৎসাহ জাগানো ভোটার উপস্থিতি ছিল সকাল থেকে। তবে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পর উপস্থিতি কিছুটা কমতে থাকে। কিন্তু এরপরও সাধারণ মানুষ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে এসেছেন উৎসাহ নিয়ে। শেষ মিনিট পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি ছিল অধিকাংশ কেন্দ্রে। রাজধানীর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। দীর্ঘ ১৩ বছর পর ঢাকা সিটিতে নির্বাচন হলো। পছন্দের নগরপিতা নির্বাচনে মানুষ তাই উৎসাহ নিয়েই ভোট দিতে এসেছিলেন। কিন্তু এতে বাদসাধে বিএনপির নির্বাচন বর্জন। আকস্কিকভাবে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় দলটির সমর্থকদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা যায়। মেয়র প্রার্থীরা ভোট বর্জন করলেও কমিশনার প্রার্থীরা সক্রিয় ছিল। মাঠ পর্যায়ে বিএনপির নেতৃবৃন্দ সক্রিয় না থাকায় কর্মীদের মনোবল ছিল শূন্যের কোঠায়। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেছিল বিএনপি। কিন্তু নির্বাচন বর্জনের মাধ্যমে আবারও হতাশায় ভাসিয়ে দিয়েছে সমর্থকদের। বিএনপির নির্বাচন বর্জনের পরও কোন কোন কেন্দ্রে তাদের এজেন্টকে দায়িত্ব পালন করতে দেখাগেছে। যদিও অধিকাংশ কেন্দ্রে বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের কোন এজেন্ট আসেনইনি। প্রিজাইডিং অফিসার তাঁদের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে রাখলেও তারা তা নিতেই আসেনি। তবে বেশিরভাগ কেন্দ্রেই বিএনপি সমর্থিত কমিশনার এবং বিএনপির বিদ্রোহী কমিশনার প্রার্থীদের পক্ষে এজেন্ট ছিল। একই দলের কমিশনারের পক্ষে এজেন্ট থাকলেও মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কেন এজেন্ট নেই সে সম্পর্কে বিএনপির কোন দায়িত্বশীলের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
×