ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোবাইল ফোনে প্রেম, অতঃপর অপহরণ

নাটোরে শিকলে বেঁধে নারীর ওপর বর্বর নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৬:১০, ২৭ এপ্রিল ২০১৫

নাটোরে শিকলে বেঁধে নারীর ওপর বর্বর নির্যাতন

সংবাদদাতা, নাটোর, ২৬ এপ্রিল ॥ নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার পর বিয়ের প্রলোভনে অপহরণ করে ৭ দিন ধরে পায়ে শিকল বেঁধে আটকে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে নাটোরের নলডাঙ্গা থানা পুলিশ অপহরণকারী কাউছার নামে এক যুবককে আটক করেছে। নলডাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত ওয়াজেদ আলী খান ও পারিবারিক সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার চরবড়বিলা গ্রামের রিক্সাচালক চালক মোজাম্মেল হোসনের মেয়ের (১৭) সঙ্গে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার দেবীপুর গ্রামের জাবেদ আলীর প্রতারক ছেলে কাউছারের মোবাইলে পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে এক পর্যায়ে দুজনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ১৮ এপ্রিল শনিবার বিবাহিত কাউছার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই মেয়েকে তার বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে নলডাঙ্গা উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের ফজলুল রহমানের বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে পায়ে শিকল বেঁধে দফায় দফায় ধর্ষণ করাসহ শারীরিক নির্যাতন চালায় লম্পট কাউছার। এটাই শেষ নয়। যুবতীর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার পরিবারের কাছে মোবাইলের মাধ্যমে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে প্রতারক কাউছার। ধর্ষিতার বোন পোশাক কর্মী নদী জানায়, মোবাইল ফোনে মুক্তিপণের টাকা বিকাশের মাধ্যমে না পাঠালে আমার বোনকে পাচার বা হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। বোনকে উদ্ধারে সাহায্য চেয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করেন তারা। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশী অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীকে আটক করে। পুলিশ উদ্ধার করে রবিবার যুবতীর ২২ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করার জন্য আদালতে এবং ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেডিক্যালে পাঠায়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় একটি অপহরণ ও ২০০৩ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
×