স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ খ্যাত সুন্দরবনে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণ আর প্রধান উদ্ভিদ সুন্দরীসহ জীববৈচিত্র্যের সম্ভার। কিন্তু এ সব সংরক্ষণে পূর্ব সুন্দরবন অংশে প্রতি ৮ কিলোমিটারের দায়িত্বে রয়েছেন মাত্র একজন নিরাপত্তারক্ষী।
অন্যদিকে, ঝুঁকি ভাতাসহ সরকারী সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দিন দিন বাড়ছে শূন্য পদের সংখ্যা। এ অবস্থায় লোকবল সঙ্কটের কথা স্বীকার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা।
দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠে বৃহত্তর প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ‘সুন্দরবন’। এ বনের বন্যপ্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণ ও প্রধান উদ্ভিদ ‘সুন্দরী’সহ জীববৈচিত্র্যের কারণে এখন তা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ বা বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে খ্যাত । এ বনের গাছ-পালার মধ্যে ৭৩ ভাগই হচ্ছে ‘সুন্দরী’ গাছ। এ কারণে এ বন ‘সুন্দরবন’ নামে খ্যাত। এ বনের প্রতি ৮ বর্গ কিলোমিটারে পাহারা দেয় মাত্র একজন বন প্রহরী। একজন বন প্রহরীর পক্ষে বন পাহারা দেয়া মোটেও সম্ভব নয় বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। জানা গেছে, বাগেরহাট অংশের তিন উপজেলা শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মংলা সংলগ্ন পূর্ব সুন্দরবনকে শরণখোলা ও চাঁদপাই দুটি রেঞ্জে বিভক্ত করেছে বন বিভাগ। এ রেঞ্জের অধীনে ৮টি স্টেশন ও ৩০টি ফাঁড়ি রয়েছে। আর প্রতি ৮ বর্গ কিলোমিটারের নিরাপত্তায় কাজ করেন মাত্র একজন বনরক্ষী। সুন্দরবনে বাংলাদেশ অংশের মোট আয়তন ৬০১৭ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের আয়তন ২৪৩০ বর্গ কিলোমিটার। বিশাল এ বনে প্রতিবর্গ কিলোমিটারে ৮ জন বন পাহারদার খুবই অপ্রতুল।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, ‘বনে যথেষ্ট লোকবল সঙ্কটের অভাব। যারা আছে তাদের রেশন, ভাতা, ঝুঁকিভাতার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে। এদিকে লোকবল সঙ্কটের কথা স্বীকার করে বনরক্ষীদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: