ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৭ এপ্রিল ২০১৫

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

রাত ফুরোলেই তিন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের আগ্রহ-উদ্দীপনা এখন তুঙ্গে। নগরপিতা নির্বাচনে ভোটাররা তাঁদের সুচিন্তিত রায় ব্যালট পেপারে প্রয়োগ করবেন। ভোটাধিকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। ‘আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব’- এই নীতিতে ভোটাররা নিজেদের মতামতকে প্রতিফলিত করেন। ভোটারদের মৌলিক অধিকারকে নিরাপদ করতে প্রশাসনের সর্বস্তরে প্রয়োজনীয় আগাম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সম্ভাব্য সবধরনের প্রস্তুতি সেরে রেখেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী প্রচারাভিযানে মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা তাঁদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় নিজেদের শেষ মুহূর্তের প্রচারকার্য চালান। ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তর ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থীরা প্রচারাভিযানে নিজেদের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন। নিয়মানুযায়ী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন যেহেতু স্থানীয় সরকার পদ্ধতির বিধায় এতে সরাসরি রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করতে পারছে না। তবে দেশের বড় দুটি দল এই নির্বাচনে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। রাজনৈতিকভাবে এই নির্বাচন প্রধান দুই দলের জন্যই মর্যাদাকর। ফলে এই নির্বাচনে প্রকাশ্যে দুই দলের শীর্ষ নেতাদের ভোট প্রচারকার্যে তৎপর দেখা গেছে। দীর্ঘদিন বাদে ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তরে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হচ্ছে। প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাস এই রাজধানীতে। নাগরিকদের অধিকার ও সুযোগ সুবিধাকে কিভাবে আরও বিস্তৃত ও নিশ্চিত করা যায় সে ব্যাপারে দৃষ্টি রেখে সিটি কর্পোরেশন সীমানাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। এদিকে তিন সিটি নির্বাচনে রিজার্ভ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। ২৬ এপ্রিল থেকে ভোটের পরদিন ২৯ এপ্রিল মোট চারদিনে সেনা মোতায়েন থাকার কথা। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের নালিশ তুলেছেন। এদিকে হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থীদের পক্ষে বিশাল গাড়িবহর, মোটর শোভাযাত্রা, ক্যাডার পরিবেষ্টিত নির্বাচনী প্রচারাভিযানে নেমে জননিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হচ্ছে বলে কোন কোন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাকে ইঙ্গিত করে নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে আচরণবিধির নিয়মনীতি উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের সচেতন থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নাগরিকদের সকল অধিকারকে সুনিশ্চিত করার পূর্বশর্ত। ভোটাররা তাঁদের সুচিন্তিত রায় প্রদান করে তিন সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে পরিপূর্ণ করবেনÑ এমন প্রত্যাশা সবার।
×