নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৫ এপ্রিল ॥ নওগাঁর সাপাহারে মুসলিম সম্প্রদায়ের জনৈক প্রভাবশালী ব্যক্তি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবোত্তর সম্পত্তি জবরদখল করে নিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংখ্যালঘুরা প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেও কোন ফল না পেয়ে নিরাশ ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, সাপাহার উপজেলার তিলনা গ্রামের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের চাঁচাহার মৌজার হাল ৫০২ দাগে ১১ শতাংশ দেবস্থান যা হিন্দু জনসাধারণের জন্য ব্যবহার্য, এমন জমির ওপর দীর্ঘদিন যাবত পুজো অর্চনা করে আসছে তারা। কিছু দিন পূর্বে ওই এলাকার আশপাশে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের বসতি গড়ে ওঠায় সেখানে তারা তাদের পুজো অর্চনার কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে জায়গাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের পরিবর্তে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনই ব্যবহার করে আসে। কিন্তু সম্প্রতি চাঁচাহার দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত সাদেক আলীর পুত্রদ্বয় মোঃ কাইফুর তার ভাই মোঃ আলম ও মোঃ মোশারফ আলী ওই দেবস্থানের ১১ শতাংশ জায়গার মধ্যে ৬ শতাংশ জায়গা প্রথমে টিনের বেড়া এবং পরে আরসিসি পিলার দিয়ে স্থায়ী স্থাপনা তৈরি করে তাদের বসতবাড়ির মধ্যে দখল করে নেয়। এ বিষয়ে প্রথমে হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তিলনা হিন্দুপাড়ার স্বপন কুমার পাল বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে কাগজপত্র দেখে ওই জায়গার ওপর ১৫৪ ধারা জারি করে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষদ্বয়কে নোটিস প্রদান করে আসে। কিন্তু প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ পুলিশের ১৫৪ ধারাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে রাতের অন্ধকারে সেখানে স্থায়ী স্থাপনা তৈরি করে জায়গাটি দখল করে নেয়।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ॥ মানসম্মত শিক্ষায় এক যুগ
বর্তমানে বাংলাদেশের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি (ইইউ) অন্যতম। দীর্ঘ এক যুগের পথচলায় বহু চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি উচ্চ শিক্ষায় জ্ঞান বিতরণ করে চলেছে সর্বত্র। চারটি অনুষদের পাঁচটি বিভাগে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চার হাজার। অভিজ্ঞ শিক্ষকম-লী, ডিজিটাল লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব, ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবস্থা, আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা উপকরণ, মানসম্মত শিক্ষার সকল ও সফল ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়েছে। কিছু আলাদা বিশেষত্বের কারণে ইইউতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাগ্রহণে আগ্রহী হয়। যেমন- এখানে শিক্ষা ব্যয় সাধ্যের মধ্যে; ফুলটাইম অভিজ্ঞ, নিবেদিত ও পিএইচডি ডিগ্রীধারী শিক্ষকম-লী; বিশ্বের ১৯টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা চুক্তি; দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ক্রেডিট ট্রান্সফার ও ইন্টার্নশীপের সুযোগ; কো-কারিকুলাম কার্যক্রমের জন্য ১৬টি ক্লাব; শিক্ষার্থীদের মেধার সম্মাননা হিসেবে ভিসি ও ডিন সম্মান সার্টিফিকেট। এছাড়াও রয়েছে পূববর্তী পরীক্ষা ও ইইউতে ফলাফলের ভিত্তিতে ১০-১০০% পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি; বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগেই সময় মতো ক্লাস ও পরীক্ষা; পূর্ণকালীন মেডিক্যাল অফিসার; সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর; আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিশেষত্ব হচ্ছে শিক্ষার্থীরা অধ্যায়নকালে ক্যাম্পাসে খ-কালীন চাকরি ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যদের তহবিল হতে অনুদান পেয়ে থাকে। -বিজ্ঞপ্তি
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: