ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৬ এপ্রিল ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

ফাঁসি নিয়ে কিছু কথা সম্প্রতি ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী ও যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জমানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এই বিচারের শুরু থেকেই বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিরোধিতা, রায় নিয়ে বিরোধিতা, রায় কার্যকর নিয়েও নানা বিতর্ক চলছে। জামায়াত, বিএনপির কতিপয় শীর্ষ নেতা ছাড়াও দেশের সুশীল হিসেবে পরিচিত কিছু ব্যক্তি এমনকি কয়েকজন সাংবাদিক নেতারাও নানাভাবে ইনিয়ে-বিনিয়ে এই বিচার প্রক্রিয়াকে ‘অবান্তর’ ইত্যাদি বলছেন। আবার ফাঁসি কার্যকরের পর দেশের অনেক জায়গায় আনন্দ মিছিলসহ মিষ্টি বিতরণও করা হয়েছে। অর্থাৎ এই বিচারের পক্ষে-বিপক্ষে দুটি ধারা রয়েছে। এই বিচারের পক্ষে সারাদেশে এতো জোড়ালো জনমত তৈরি হয়েছে যে বিচারের বিরুদ্ধে অনেকেই প্রকাশ্যে কিছু না বললেও নানাভাবে বলার চেষ্টা করছেন। এর প্রধান কারণ হলো বিরোধিতাকারীরা হয় রাজাকার ছিলেন অথবা রাজাকারের সন্তান অথবা রাজাকার পরিবারের সদস্য অথবা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানেন না। কামারুজ্জামানের এলাকার মানুষ কিন্তু খুব খুশি ফাঁসি কার্যকর হওয়ায়। কারণ ওই এলাকার অনেকের পিতা, মাতা, ভাই-বোনকে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা করা হয়েছে অথবা নির্যাতন করা হয়েছে। যে সকল পরিবারের অন্তত একজন সদস্য মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন বা নির্যাতিত হয়েছেন বা যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনী ও রাজাকার আলবদরদের দ্বারা অত্যাচার নির্যাতন দেখেছেন বা শুনেছেন তাঁরা কখনও এই বিচারের বিরুদ্ধে যেতে পারেন না। কাজেই যারা এই বিচার বা ফাঁসি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করবে তাদের প্রশ্ন করতে হবে তাদের পরিবারের কেউ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছে কিনা বা নির্যাতিত হয়েছে কিনা। দেখা যাবে ওইসব ব্যক্তি বা পরিবারের মুক্তিযুদ্ধে কোন অবদান নেই। তাই তারা ফাঁসি কার্যকরে খুশি হতে পারেনি, তারাই এই বিচারকে ‘অবান্তর’ বলছে। বাংলা দেশের বেশিরভাগ পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন বা নির্যাতিত হয়েছেন। তাই দেশের বেশিরভাগ মানুষ এই বিচারের পক্ষে। বিপ্লব ফরিদপুর। রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী আমি অবরোধ-হরতাল চলাকালীন বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক ঘুরে দেখেছি অনেক কষ্টে। গাড়ি নেই, ভ্যানে ও রিকশায় গেছি, অনেক সময় ৫-৭ কিলোমিটার হেঁটে গেছি। বর্তমান বাংলাদেশের জেলা-উপজেলা, শহর-বন্দর গ্রাম-গঞ্জে সুন্দর সুন্দর চা-স্টল হয়েছে। কৃষক-শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষ সারাদিন মাঠের কাজ শেষ করে ওইসব চা-স্টলে বসে চা পান করে এবং প্রতিটি দোকানে বসে টেলিভিশনের মাধ্যমে খবর দেখে। টকশো দেখে, পত্রিকা পড়ে, যে পড়তে পারে না, অন্যজন পড়ে তারা তা শোনে। আর সমালোচনা করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। কূটকৌশলী বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি অনুরোধ করে বলছিÑ আর মানুষ মারবেন না, গাড়ি-বাড়ি পোড়াবেন না। এই বাঙালী জাতির ভয়ভীতি বলতে কিছু নেই। যারা এই কঠিন মাটির বুক ফাটিয়ে ফলিয়ে তোলে সোনার ফসল, আগুন খাইয়ে উপোষ থাকে তারপরও হাসে। সেই বাঙালীরা অত্যাচারীদের কবর দিতে বিন্দুমাত্র দিধাবোধ করে না। এম আর খান ঢাকা। নন-ক্যাডারদের ফরিয়াদ প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগলাভকারী নবম গ্রেডের প্রথম শ্রেণীর নন-ক্যাডার কর্মকর্তাগণের একটি অংশ জাতীয় বেতন স্কেল-২০০৯-এ উচ্চতর স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্যতার প্রশ্নে চরমভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। চাকরির বিদ্যমান বিধিমালায় কোনমতে ১টি পদোন্নতির বিধান থাকলেও চাকরি জীবনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পদোন্নতির প্রতিষ্ঠানে এরূপ কর্মকর্তাগণের উপস্থিতি লক্ষণীয়। সেখানে পদশূন্য সাপেক্ষে পদোন্নতির বিধান থাকায় শূন্যপদের অপ্রতুলতা, কর্মকর্তাগণের মধ্যে বয়সের তারতম্য ও অন্যান্য জটিলতায় কোন প্রকারের পদোন্নতি ছাড়াই অনেক ভাগ্য বিড়ম্বিত কর্মকার্তাকে অবসরে যেতে হয়। এক্ষেত্রে মাত্র ১টি সিলেকশন গ্রেডই তাঁদের সম্বল। ২০১৩ সালে সরকার গঠিত বেতন ও চাকরি কমিশন দীর্ঘ সময়ের ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, জনমত এবং দেশ-বিদেশের বেতন এবং চাকরি পদ্ধতি পর্যালোচনাপূর্বক টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের বিধান তুলে দিয়ে এ সংক্রান্ত নানাবিধ জটিলতার অবসানকল্পে একটি বাস্তব সম্মত সুপারিশমালা পেশ করেন। এমতাবস্থায়, শুধু শূন্যপদের অভাবে চাকরি জীবনে কোন কর্মকর্তার পদোন্নতি সম্ভব না হলে তাঁকে অন্তত উপযুক্ত সময়ে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দেয়া বাঞ্ছনীয়। যেমন, তাঁদের সন্তোষজনক চাকরির সর্বোচ্চ ১৫ বছরের মধ্যে ৩টি টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড প্রদান করা। এ জাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রজাতন্ত্রের প্রথম শ্রেণীর নন-ক্যাডারের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের প্রতি সুবিচার সুসংহত রাখতে বেতন ও চাকরি কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনাধীন সচিব কমিটির প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক প্রথম শ্রেণীর নন-ক্যাডার কর্মকর্তা।
×