ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইসির ব্যাখ্যা ॥ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবেই থাকবে সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২৪ এপ্রিল ২০১৫

ইসির ব্যাখ্যা ॥ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবেই থাকবে সেনাবাহিনী

স্টাফ রিপোর্টার॥ এবার সিটি কর্পোরেশনে সেনা মোতায়েন নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ইসি। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জন্য চিঠি দিলেও সে চিঠিতে সেনাবাহিনী কোথায় থাকবে তার উল্লেখ ছিল না। কিন্তু বুধবারের চিঠিতে সেনাবাহিনী ক্যান্টনমেন্টেই অবস্থান করবে। প্রয়োজন হলে সেখান থেকে দ্রুত ছুটে এসে দায়িত্ব পালন করবে উল্লেখ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে জনগণের বিভ্রান্তি দূর করতে সাংবাদিকদের কাছে ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। বলেন, নির্বাচনী এলাকার মধ্যেই ক্যান্টনমেন্ট রয়েছে। তাই ক্যান্টনমেন্টেই সেনাবাহিনীকে থাকার জন্য বলা হয়েছে। তারা প্রস্তুত হয়েই থাকবে। সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটও অবস্থান করবে। রিটার্নিং অফিসারের যখনই দরকার হবে তখনই তারা কাজে নেমে যাবে। অর্থাৎ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা রিটার্নিং অফিসারের চাহিদা মোতাবেক কাজ করবে। তিনি বলেন, ইসির সেনা নামানোর বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোন পরিবর্তন আনা হয়নি। সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। কাজেই সেনাবাহিনীর ভূমিকা সঠিকভাবেই থাকবে। নির্বাচনে আনসার থেকে আরম্ভ করে র‌্যাব, বিজিবি সবাই টহল দেবে। তারা বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করবে। সেনাবাহিনী রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে থাকবে। ডাকার সঙ্গে সঙ্গেই তারা দ্রুত ছুটবে । তিনি বলেন, তিন সিটি নির্বাচনে সুশৃঙ্খলভাবে ভোটদানের নিশ্চয়তা দেয়া ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যাদের নিয়োগ করা দরকার, সবাইকে নিয়োগ করা হয়েছে। অতিরিক্ত হিসেবে সেনা বাহিনীকেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য সেভাবে চিঠিপত্র দেয়া হয়েছে। শুধু একটা বিষয়ে ধারণা পরিষ্কার করার জন্য বলছি, আগের চিঠিতে সেনাবাহিনী কোথায় থাকবে সেটা উল্লেখ ছিল না। নির্বাচনে অন্যান্য বাহিনী প্রয়োজনের তুলনায় বেশি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কাজেই সেনাবাহিনীকে আলাদাভাবে টহল দেয়ার প্রয়োজন নেই। যদি প্রয়োজন হয় তাও করা হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ক্যান্টনমেন্ট সিটি কর্পোরেশনের আওতায় পড়ে না। কিন্তু ঢাকা ক্যান্টমেন্টের চারপাশে সিটি কর্পোরেশন। কাজেই ধরেই নেয়া যায়, তারা সিটি কর্পোরেশনের ভেতরেই অবস্থান করবে। চট্টগ্রামেও আলাদা কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। কারণ সেখানে সেনানিবাস সিটি কর্পোরেশন সীমানার সঙ্গেই। স্ট্রাইকিং ফোর্স তখনই দরকার হয়, যখন রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেন। স্বাভাবিক অবস্থায় অন্যান্য বাহিনীর অবস্থানই সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি এনে দেবে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন তিন সিটি নিরর্বাচনে সেনাবহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়। তিন সিটিতে তিন ব্যাটালিয়ন সেনা মোতায়েনের জন্য সশস্র বাহিনী বিভাগকে চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু পরের দিন বুধবার অন্য এক চিঠিতে সেনা অবস্থানের কথা উল্লেখ করে আবারও চিঠি দেয়া হয়। তাতে বলা হয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রস্তুত থাকবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা যখনই প্রয়োজন মনে করবে তখনই তারা দায়িত্ব পালনের জন্য ছুটে আসবে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ইসিতে অভিযোগ ॥ এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ইসিতে অভিযোগ দিয়েছে সহস্র নাগরিক কমিটি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তারা এ অভিযোগ দেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রার্থীদের পক্ষে সিটি নির্বাচনের প্রচার চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে ইসি পদক্ষেপ নিবেন বলে জানিয়েছেন।
×