ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মুনতাসীর মামুন

নির্বাচন কমিশন, বিএনপির দাবি ও গোলাপী রঙ

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৩ এপ্রিল ২০১৫

নির্বাচন কমিশন, বিএনপির দাবি ও গোলাপী রঙ

বাংলাদেশে যা ঘটে তার একাধিক ভাষ্য থাকে। খুব কম ক্ষেত্রেই কোন বিষয়ে একটি ভাষ্য পাই। যদি, একটি ভাষ্য বা সত্য কোন ক্ষেত্রে থাকে। তা’হলেও আরেকটি ভাষ্য তৈরি করা হয়। যেমন, স্বাধীনতার ঘোষণা। খালেদা জিয়ার নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার বিষয়েও কমপক্ষে দু’টি ভাষ্য আছে। যদি সরকারী ভাষ্য গ্রহণ করি তা’হলে বলব, খালেদা জিয়া ঐতিহ্য অনুসারেই কাজ করেছেন যা গ্রহণযোগ্য নয়, অতএব নিন্দনীয়। যদি খালেদার ভাষ্য মেনে নিই, তা’হলে বলব, ঘটনাটি অবাঞ্ছিত, অতএব নিন্দনীয়। শুধু তাই নয়, এ সব হামলা সাঈদ খোকনের ভোটের জন্যও ক্ষতিকর। সাঈদ খোকন জানেন কিনা জানি না, এদেশের মানুষের মন নদীর মতো, কোন কিছুই ঠিক নেই। বা অন্যভাবে বলা যায়, বহতা নদীতে সব ভেসে যায়, কিছুই মনে থাকে না। এ দেশের অধিকাংশ মানুষের মনই সেরকম। যে কারণে, একই ঘটনা ঘটে বার বার। এবারের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য আছে এবং তা ইতিবাচক। এই প্রথম কোন নির্বাচনের ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে প্রায় সব কিছুই ইতিবাচক। প্রথমেই লক্ষণীয় যেটি, সেটি হচ্ছে, প্রার্থীরা পরস্পরের চৌদ্দপুরুষ উদ্ধার থেকে নিজেদের বিরত রাখছেন। এর কারণ কী? শিক্ষা? প্রথম সারির প্রতিদ্বন্দ্বীরা সবাই কম বেশি শিক্ষিত। অপেক্ষাকৃত তরুণ সবাই। প্রযুক্তি ব্যবহারে সবাই আগ্রহী। অনেকে যৌথভাবে একই পাটাতনে দাঁড়িয়ে নিজ নিজ বক্তব্য রাখছেন। চট্টগ্রামের ক্ষেত্রেও একই দৃশ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খালেদা জিয়ার ঘটনা ছাড়া, গত দু’সপ্তাহে হামলা মামলার কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়টিও আমাদের রাজনীতির জন্য ইতিবাচক। উপমহাদেশের সব ধরনের নির্বাচনেই হামলা, সংঘর্ষ, নিহতের ঘটনা ঘটেই। বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম নয়। বিএনপি-জামায়াত যখন থেকে রাজনীতিতে এসেছে তখন থেকেই খুনখারাবি বেড়েছে। ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ৫০০ প্রাথমিক স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছিল। হত্যা-দখল কত করেছিল তার হিসাব পাওয়া যায় না। সেই বিএনপি-জামায়াত যখন নির্বাচনে এসেছে তখন আশঙ্কা থেকেই যায় যে, কিছু একটা হতে পারে। এখনও তেমন কিছু ঘটেনি। দু’একটি ইটপাটকেল, ঘুষি ছোড়াছুড়ি এই পরিবেশে গ্রহণযোগ্য। আপনাদের মনে আছে কিনা জানি না। মোহাম্মদ হানিফ যখন নির্বাচিত হন তখন হানিফের পক্ষের সাতজনকে খুন করা হয়েছিল। এই নির্বাচনে সরকারী সহনশীলতাও লক্ষণীয়। কোন প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে কেউ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীও বাড়াবাড়ি করেনি। সব মিলিয়ে নিন্দুকও বলবে, এমন ভাল পরিবেশ এর আগে কোন নির্বাচনে হয়নি। নির্বাচনের আগে থেকেই বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে সমতল ভূমি সমতল ভূমির কথা বলা হচ্ছিল। যদিও এর অর্থ স্পষ্ট নয়। ইংরেজী কোন শব্দ পেলে আমরা তা বার বার বলতে আনন্দ পাই। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এমন একটা শব্দ। বলা যেতে পারে ওই ফিল্ড শুরুতে সমতল ছিল, এখন উঁচু-নিচুু হয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার গাড়িবহর নিরাপত্তা সদস্য নিয়ে যেভাবে নির্বাচনী প্রচার করছেন তা অন্য কেউ করতে পারছেন না। বিএনপি-জামায়াত প্রার্থীরা এ ক্ষেত্রে একচেটিয়া সুবিধা পাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন অনেক কিছু বললেও খালেদাকে নিয়ে তাদের কোন মন্তব্য নেই। খালেদা সম্প্রতি পুত্রহারা হয়েছেন বটে, কিন্তু গোলাপি সিল্ক পরিহিত সুসজ্জিত খালেদাকে দেখে হয়ত কমিশনাররা চোখ ফেরাতে পারছেন না। টিভিতে দেখেছি, এক সভায় খালেদা হেঁড়ে গলায় খালি বলে যাচ্ছেন- আওয়ামী লীগ চোর, আওয়ামী লীগ চোর। তাত্ত্বিকভাবে মাঠে কোন দলীয় প্রার্থী নেই। আওয়ামী লীগের প্রার্থী তো নেই। তা’হলে, সেটি আচরণ বিধি ভঙ্গ হবে কিনা? না, এখানেই শেষ নয়। আমাদের সবার বিরুদ্ধে যে একটুকরো হেজাবি (হেফাজত+জামায়াত+বিএনপি) রয়ে গেছে তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে নির্বাচন কমিশনের শেষ ঘোষণায়। বিএনপি-জামায়াত প্রথম থেকেই নির্বাচনে সেনাবাহিনীর কথা বলে আসছিল। ক্যান্টনমেন্ট উদ্ভূত এই দলের সেনাশক্তির প্রতি ভালবাসা থাকবেই। পাকিস্তানী মানস সেনাদের ভালবাসবে নাকি রাস্তার লোককে ভালবাসবে যারা বাংলাদেশ টিকিয়ে রেখেছে? সেনা মোতায়েনের দাবির অর্থ, আইন পরিস্থিতির অবস্থা এত খারাপ যে, ‘শেষ ভরসা’ সেনা মোতায়েন ছাড়া উপায় নেই। কৌশলগত কারণে বিএনপি নেতারা এই দাবি করেছেন। খালেদা কিছু বললে এই প্রৌঢ়দের ভেতর বোধহয় উথাল পাতাল করা। দু’একবারের বেশি দাবি করতে হয়নি। সানন্দে নির্বাচন কমিশনার ঘোষণা করেছেন তিনি বা তারা সেনা মোতায়েন করবেন। অর্থাৎ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব খারাপ। নির্বাচন কমিশনের সুউ”েচ্চ অবস্থানকারী কমিশনারদের কাছে জিজ্ঞাসা, ‘গত ৯২ দিন অবরোধ হরতালে কি অবস্থা এর চেয়ে ভাল ছিল।’ গত ১০০ দিনে ১০০-এর বেশি মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়েছে, তখন কি অবস্থা এর থেকে ভাল ছিল? সরকার তখন সেনা নামায়নি এবং মাঠের পুলিশ ও সীমান্ত রক্ষীরাই অবস্থা সামলিয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ বলেননি যে দুটি শহরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ। হ্যা, ঐ অবরোধের সময় নির্বাচন হলে এবং তখন সেনা মোতায়েন করলে একটি যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যেত। এখন? ঐ যে বললাম, গোলাপি রং দেখলে কেমন পাগল পাগল লাগে। নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারী প্রচেষ্টায় তাদের আস্থা নেই। সরকারকে এক ধরনের চপেটাঘাত করেছে কমিশন। এবং শুরুতেই তারা এই ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা বিএনপির পক্ষে। এ পরিস্থিতিতে সরকার সমর্থক প্রার্থীদের সতর্ক ও সচেতন হওয়া আবশ্যক। এর মধ্যে প্রথম হচ্ছে, সব ধরনের হৈ হাঙ্গামা এড়িয়ে চলা। খালেদার প্রতি প্রচুর মানুষের ক্রুদ্ধ হওয়ার কারণ আছে বিশেষ করে গরিব ও ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের। কিন্তু ক্রোধ প্রকাশের সময় আরও আছে। দ্বিতীয়, নির্বাচন কমিশন যেহেতু সে অর্থে নিরপেক্ষ নয়, সেহেতু ভোট কেন্দ্রে সঠিক এজেন্ট, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনা ও ভোট কেন্দ্র পাহারা দেয়ার বিশেষ বন্দোবস্ত করতে হবে। ২০০১ সালের নির্বাচনের সময় খেয়াল আছে, সেনাবাহিনী কীভাবে নৌকার কা-ারিদের পিটিয়েছিল এবং সংখ্যালঘুদের ভোট কেন্দ্রে আসতে দেয়নি। ঐ সময় কোন্ খচ্চরগুলো কমিশনে ছিল আজ আর মনে নেই। আসলে খচ্চরকে কে-ইবা মনে রাখে। প্রার্থীরা অনেক প্রতিশ্রুতি নিচ্ছেন, তার বেশির ভাগ পালন তাদের ক্ষমতার বাইরে, এ কথা আমরা জানি। কারণ, কোন সরকার প্রধানই সংবিধান অনুসারে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন দিতে আগ্রহী নন। সীমিত ক্ষমতা, সীমিত সম্পদের পরিসরে তাদের কাজ করতে হবে। তবে, এটা বুঝি, সরকার সমর্থিত প্রার্থী জিতলে বাড়তি কিছু সুবিধা পাবেনই, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং যেখানে তাদের মনোনয়ন দিয়েছেন। কিন্তু, একটি কথা বলা আবশ্যক। উন্নয়নের সঙ্গে ভোটের সম্পর্ক আছে, আবার নেইও। শেখ হাসিনা গত কয়েক বছরে যে উন্নয়ন করেছেন ভোটাররা বাঙালী না হলে প্রার্থীরা বাসায় থেকেই ভোট পেতেন। কিন্তু, ভোটাররা যেহেতু বাঙালী সেহেতু প্রার্থীদের সতর্ক থাকা ভাল। যারা দাঁড়িয়েছে, তাদের যে কেউ নির্বাচিত হলে কিছু করার চেষ্টা করবেন, এ বিশ্বাস আমার আছে। পুরনো মেয়র ও মেয়র প্রার্থীদের তুলনায় এ বিষয়টি ইতিবাচক। তবে, ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, আনিসুল হক কিছু হলেও করতে পারবেন। করেছেনও। যদিও সঙ্কটকালে অরাজনৈতিক প্রার্থীদের মতো নিরপেক্ষ হয়ে যেতে পারেন। বাঙালীদের নিয়ে বহু গল্প আছে। এর একটি হলো ইসলাম খাঁ-কে নিয়ে। ১৬১০ সালে ঢাকার বাবুর বাজারে নেমে ঢাকাকে রাজধানী ঘোষণা করলেন সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রতিনিধি ইসলাম খাঁ। চাঁদনীঘাটে বজরায় রাত যাপন করছেন। তখন জোয়ার। নদী টইটম্বুর। মৃদু দুলুনি আয়েশের সৃষ্টি করছে। রাতে চমৎকার ঘুমের পর দেখেন কাদায় আটকে চাঁদনী (বজরা) নদী সরে গেছে খানিকটা। হতবাক ইসলাম খাঁ ব্যাপারটা জানতে চাইলেন- বিষয়টা কী? জানানো হলো, বাঙাল মুলুক নদীর দেশ। জোয়ার ভাটা হরদম মানুষকে বিপাকে ফেলে। পরে দেখলেন, বাঙালী মনও সেরকম। বিএনপি-জামায়াত খালেদার নেতৃত্বে দু’সপ্তাহ আগে কী করেছে সারাদেশে? কালের কণ্ঠ, ৬.৪.২০১৫ মৃত্যু ১৩৮ জন : পেট্রোলবোমার আগুনে ৭৭ জন, ক্রসফায়ারে ৩৩ জন, সংঘর্ষ ও অন্যান্য ২৮ জন দগ্ধ ও আহত দগ্ধ প্রায় ৩৫০ জন; আহত প্রায় দেড় হাজার যানবাহনের ক্ষতি নাশকতার শিকার ২১০০ গাড়ি, সড়ক পরিবহনে ৩১ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি; রেলপথ ও ট্রেনে ৮০টি স্থানে নাশকতা অর্থনীতির ক্ষতি দিনে ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা; ৯০ দিনে ২ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা শিক্ষা ৩৯ দিনের এসএসসি পরীক্ষা হয়েছে ৫৭ দিনে; বছরের প্রথম আড়াই মাস বন্ধ ছিল অধিকাংশ স্কুল। দুর্বৃত্তের আগুনে ২৩টি ভূমি অফিসসহ পুড়েছে অন্তত ৪১টি সরকারী প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে দগ্ধদের দেখে বিদেশী রাষ্ট্রদূত পর্যন্ত কান্না চেপে রাখতে পারেননি। এইসবের হুকুমদাত্রী খালেদা যখন সেজেগুজে পুত্রশোক ছুড়ে ফেলে রাস্তায় নামেন তখনও কিন্তু লোকের পরিমাণ কম হয় না। এর অর্থ, বাংলাদেশে পাকিস্তানী বাঙালীদের সংখ্যা বাড়ছে। পাকিস্তান শব্দ যে কোন শব্দের সঙ্গে যোগ হলেই বুঝবেন গ-গোল আছে। পাকিস্তান মাইন্ড মানেই ক্রিমিনাল মাইন্ড। এর সঙ্গে যোগ করা হয় শহুরে মধ্যবিত্ত যারা গড়ে উঠেছে এক পাকিস্তানী ও আরেক আধা পাকিস্তানীর আমলে। শেখ হাসিনার সব কর্মকা-েই তারা খুঁত খুঁজে পায় এমনকি উন্নয়ন কর্মকা-েও। খালেদার সব কিছুতেই তারা মুগ্ধ এমনকি ক্রিমিনালিটি বা অনুন্নয়নের রাজনীতি ও অর্থনীতিতেও। না হলে, যে মহিলা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর হয়েছিলেন, পারেননি দেখে ভোল পাল্টে ফেলেছেন এবং তাতেই মানুষ সব ভুলে গেল? এইসব মানুষজনকে অনেকে বদমাশ, হারামজাদা বলতে পারেন। কিন্তু, আমার মনে হয় তাতেও তাদের প্রশংসা করা হয়। বিএনপি-জামায়াতের বর্তমান ভঙ্গি দেখে খুব একটা আশ্বস্ত হওয়ার ব্যাপার নেই। কারণ তাদের ৩০ বছরের ইতিহাস খুনোখুনির ইতিহাস। যদি তারা জেতে তা হলে বলবে, তাদের রাজনীতির প্রতি মানুষের আস্থা আছে সুতরাং ভায়োলেন্সেই সরকার পতন করতে হবে। যদি তারা হারে তাহলে বলবে, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করা যায় না। এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না। এতএব ভাইসব চলুন আন্দোলন করি।’ এ কথা বিশ্বাস করেও একটি কথা বলা দরকার, এ নির্বাচনের পর খালেদার খুনোখুনির রাজনীতি আবার ফিরিয়ে আনতে পারবেন কিনা সন্দেহ। কেননা সেটি সাফল্য আনেনি। খালেদার ভায়োলেন্স ও গণতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপ সত্ত্বে¡ও অপেক্ষাকৃত তরুণরা সে পথ পরিহার করতে চাচ্ছে। অন্তত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন তারই ইঙ্গিত দেয়। খালেদা শেখ হাসিনার রাজনীতির কাছে পরাজিত হওয়ার পর এই প্রথমবার উপলব্ধি করছেন যে, তিনি পরাজিত হয়েছেন এবং তার ধরন ও রাজনীতি পাল্টানো দরকার। এটি আমাদের রাজনীতির জন্য হয়ত ইতিবাচক বার্তা বয়ে আনতে পারে। শুধু তাই নয়, তিনি সাধারণ দোকানিদের হাতে লিফলেট তুলে দিচ্ছেন, হাসিমুখে, এটি যে তার জন্য কত বেদনাদায়ক সেটি অনেকেই বুঝবেন না। কিন্তু এই ভঙ্গিটি রাজনীতির জন্য ইতিবাচক। বেগম জিয়া ও হরিদাস পাল যে গণতন্ত্রে একই অধিকার পেতে পারেন এই ভাবনাটাই ইতিবাচক। খালেদা আগে ভাবতেন, গণতন্ত্রটা তার ও তার পরিবারের জন্য, অন্যরা এর বাইরে বা গণতন্ত্র/ একনায়কতন্ত্র যাই হোক তিনি দেবী। অন্যদের কাজ আরাধনা করা। এটি ভঙ্গি হোক, ভ-ামি হোক, খালেদা জিয়া যে ভাবছেন, তিনি মানুষ সেটিই হবে রাজনীতির বড় পাওয়া। আমরা স্বস্তি পেতে পারি এই ভেবে যে, খালেদা জিয়া মানুষ হচ্ছেন।
×