ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা

আফ্রো-এশীয় সম্মেলনে যোগ দিতে জাকার্তায় প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২২ এপ্রিল ২০১৫

আফ্রো-এশীয় সম্মেলনে যোগ দিতে জাকার্তায় প্রধানমন্ত্রী

বিডিনিউজ ॥ এশিয়া-আফ্রিকা সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায়। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে জাকার্তার সুকর্ন-হাত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ ও বনমন্ত্রী নূরবায়া বাকের বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল কাউনাইন ও ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভীরানতা আতমাদজাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়। তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয় ফুল দিয়ে। প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে হোটেল ‘বোরোবুদুর জাকার্তা’য় যান। সফরে তিনি সেখানেই অবস্থান করবেন। এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাকার্তার উদ্দেশ্যে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ মন্ত্রিসভার সদস্য ও উর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠেয় এশিয়া-আফ্রিকা সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বুধবার ভাষণ দেবেন। এই সম্মেলনের ফাঁকে চীন, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। ১৯ থেকে ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে এশিয়া ও আফ্রিকার ৩৪টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানসহ ৭৭টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। জাতিসংঘ, আশিয়ান, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, আফ্রিকান ইউনিয়ন, আরব লীগ ও সাউথ সেন্টারসহ ছয়টি আন্তর্জাতিক সংস্থাও সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। এছাড়া তিন হাজার ৬০০ অতিথির সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এশিয়া-আফ্রিকা সম্মেলনের প্রথম সমাবেশ ১৯৫৫ সালে ইন্দোনেশিয়াতেই হয়েছিল ‘বান্দুং সম্মেলন’ নামে। যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইন্দোনেশিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট জেনারেল সুকর্নর উদ্যোগে সেই সম্মেলনের প্রভাবে দুই বৃহৎ বিশ্ব জোটের বাইরে পরবর্তীতে সৃষ্টি হয়েছিল জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম)। ৬০ বছর পূর্তিতে ইন্দোনেশিয়াই এবারের সম্মেলনের আয়োজক দেশ হিসেবে রয়েছে। বুধবার সকালে জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে সম্মেলনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। এরপর সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন তিনি। পরে সম্মেলনের ফাঁকে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেং লং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন সেইনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। রাতে ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্টের দেয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি। পরদিন বৃহস্পতিবার সম্মেলনে যোগ দিয়ে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহ, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার রাতেই ঢাকা পৌছানোর কথা রয়েছে তার। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, সচিব মোঃ শহীদুল হকসহ উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ ৫১ জন।
×