ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইস্যু মূল্যের নিচে ছয় কোম্পানির শেয়ার

প্রকাশিত: ০৪:২১, ২১ এপ্রিল ২০১৫

ইস্যু মূল্যের নিচে ছয়  কোম্পানির শেয়ার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ইস্যু মূল্যের নিচে চলে এসেছে নতুন তালিকাভুক্ত ছয়টি কোম্পানির শেয়ার। ফলে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে বিজয়ীরা শেয়ারগুলো ধরে রেখে বা নতুন করে কিনে লোকসানে পড়ে যাচ্ছেন। এসব কোম্পানির পরিচালকদের বড় একটি অংশ বোনাস শেয়ার বিক্রি বা বাজারে দরপতনের কারণেই কোম্পানিগুলোর দর কমে যাচ্ছে। ফলে অনেকেই এসব কোম্পানির আইপিও অনুমোদন নিয়েও কিছুটা প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকের অভিযোগ, ইস্যু মানেজাররা কিছুটা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে আইপিও অনুমোদন নিয়ে আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। পরে সেই দামে শেয়ার কিনে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। ইস্যু মূল্যের চেয়ে কম দরে শেয়ার বিক্রি হওয়া কোম্পানিগুলো হলোÑ সর্বশেষ ১৯ এপ্রিলের দর অনুযায়ী প্রস্তাবিত ২৮ টাকা মূল্যের প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার দর ১৯.৩০ টাকা, ৩০ টাকার দ্য পেনিনসুলা চট্টগ্রামের শেয়ার দর ২০.৩ টাকা, ২৭ টাকার ফারইস্ট নিটিং এ্যান্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দর ২০.১ টাকা, ২২ টাকার এ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্সের শেয়ার দর ১৪.৯ টাকা, ৬০ টাকার ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার দর ৪১.৭ টাকা, ৩৫ টাকার আরগন ডেনিমসের শেয়ার দর ২৮.৬ টাকা ও ৩৫ টাকার হামিদ ফেব্রিকস লিমিটেডের শেয়ার দর ২৫.৭ টাকায় অবস্থান করছে। প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ॥ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ১৮ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২৮ টাকা দরে ২০১৩ সালে টাকা উত্তোলন করে কোম্পানিটি। শেয়ারবাজারে ৩ কোটি শেয়ার ছেড়ে মোট ৮৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও আইপিও খাতে ব্যয় করার জন্য এই টাকা সংগ্রহ করে কোম্পানিটি। কোম্পানিটি ২০১২ সালের ৩০ জুন ৩.৪৭ টাকা শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দেখিয়ে পুঁজিবাজারে আসে। ব্যাংকঋণ পরিশোধ করার পরও ২০১৪ সালে কোম্পানির ইপিএস কমে হয়েছে ২.২৩ টাকা। দ্য পেনিনসুলা চট্টগ্রাম ॥ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ২০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৩০ টাকা দরে ২০১৪ সালে টাকা উত্তোলন করে পেনিনসুলা। পুঁজিবাজারে সাড়ে ৫ কোটি শেয়ার ছেড়ে ১৬৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। হোটেল সম্প্রসারণ এবং চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টের সন্নিকটে আরেকটি নতুন হোটেল নির্মাণসহ ব্যাংকঋণ পরিশোধে এই টাকা সংগ্রহ করে কোম্পানিটি। ফারইস্ট নিটিং এ্যান্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ ॥ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ১৭ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২৭ টাকা মূল্যে ২০১৪ সালে টাকা উত্তোলন করে। ২ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে কোম্পানি। বিএমআরই, ব্যাংকঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের কাজে ব্যয় করার জন্য এই টাকা উত্তোলন করে কোম্পানিটি। ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে লেনদেন শুরু হওয়া কোম্পানির শেয়ার দর সর্বোচ্চ ৪৫.৪ টাকা হয় ওই মাসে। এ্যাপোলো ইস্পাত ॥ অভিহিত মূল্য ১০ টাকার সঙ্গে ১২ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২২ টাকা দরে ২০১৩ সালে টাকা উত্তোলন করে এ্যাপোলো। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি ২২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও নতুন ইউনিট স্থাপনে ব্যয় করার জন্য এই টাকা সংগ্রহ করে তারা। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে লেনদেন শুরু হওয়া কোম্পানির শেয়ার দর সর্বোচ্চ হয় ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ৪০.৮ টাকা। কিন্তু বর্তমানে দর নেমে এসেছে ইসু্যূ মূল্যেরও নিচে। আরগন ডেনিমস ॥ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ২৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৩৫ টাকা দরে ২০১৩ সালে টাকা উত্তোলন করে। বাজার থেকে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। ব্যাংকঋণ পরিশোধের জন্য এই অর্থ সংগ্রহ করে কোম্পানিটি। ২০১৩ সালের মে মাসে লেনদেন শুরু হওয়া কোম্পানির সর্বোচ্চ ৯৯.৭ টাকা শেয়ার দর ওঠে ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে। হামিদ ফেব্রিকস ॥ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ২৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৩৫ টাকা করে ২০১৪ সালে টাকা উত্তোলন করে। ৩ কোটি শেয়ার ছেড়ে ১০৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। ঋণ পরিশোধ, ব্যবসা সম্প্রসারণ ও আইপিও খাতে ব্যয় করার জন্য এই টাকা সংগ্রহ করে কোম্পানিটি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে লেনদেন শুরু হওয়া কোম্পানিটির শেয়ার দর প্রথম দিনে সর্বোচ্চ ৫৬ টাকা হয়।
×