ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘মাশরাফির ১৫০তম ম্যাচ’

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ২০ এপ্রিল ২০১৫

‘মাশরাফির ১৫০তম ম্যাচ’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দারুণ গতি, নিয়ন্ত্রণ, লাইনলেন্থ আর সুইং নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। কিছুদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবস্থান করেই বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ নামে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে ১৪ বছর পার করে ফেলেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশ দলের বোলিং লাইনআপে অন্যতম নির্ভরতার প্রতীক মাশরাফি নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রবিবার। সফরকারী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তার নামের পাশে ম্যাচসংখ্যা ১৫০ লেখা হয়ে গেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বল হাতে মাশরাফি ৮ ওভারে ৫২ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম দেড় শ’ ওয়ানডের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এখন পর্যন্ত ১৭৫ ওয়ানডে খেলে তিনিই সবার ওপরে বাংলাদেশের পক্ষে খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে। আশরাফুলের পরেই আছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। এ দু’জনই এখন আর জাতীয় দলে নেই। আশরাফুলের সঙ্গে একই বছর ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল মাশরাফির। ২০০১ সালের এপ্রিলে আশরাফুল আর নবেম্বরে মাশরাফি। কিন্তু আশরাফুল ধারাবাহিকভাবে ব্যাটিংয়ে রান না পেলেও খেলেছেন অনেক ম্যাচ। সবার আগে ১৫০ ওয়ানডে খেলার গৌরব অর্জন করেছেন বাংলাদেশের পক্ষে। সর্বাধিক ১৭৫ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। আশরাফুল-মাশরাফির অনেক পরে ওয়ানডে যাত্রা শুরু করেছিলেন, ২০০৪ সালের জুলাইয়ে। কিন্তু মাশরাফিকে ছাড়িয়ে গেছেন অনেক আগেই একসময়ের অপরিহার্য সদস্য রাজ্জাক। তিনি খেলেছেন ১৫৩ ওয়ানডে। মাশরাফি বাংলাদেশের পেস বিভাগের অন্যতম ভরসা হওয়ার পরেও এ দু’জনের চেয়ে ম্যাচ খেলেছেন অনেক কম। এর কারণ ক্যারিয়ারে বার বার ইনজুরির ধাক্কা। অভিষেক হওয়ার পর থেকে কখনও ফর্মের কারণে দল থেকে বাদ পড়েননি মাশরাফি। তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে ইনজুরির কারণে। ৭/৮ বার বড় ধরনের ইনজুরিতে পড়েছেন এবং অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছে বেশ কয়েকবার। সবমিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন বছর তাকে থাকতে হয়েছে দলের বাইরে ইনজুরির কারণেই। সে কারণে দীর্ঘপরিসরের ক্রিকেট টেস্টে এখন পর্যন্ত ফিরতেই পারেননি। সেই মাশরাফি রবিবার খেলে ফেললেন ক্যারিয়ারের ১৫০ ওয়ানডে। অবশ্য এর মধ্যে ১৪৮ ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশের জার্সিতে আর ২০০৭ সালে এশিয়া একাদশের হয়ে খেলেছেন দুটি ওয়ানডে। বাংলাদেশের জয়ের পেছনে মুখ্য ভূমিকা রেখে ১০ বার হয়েছেন ম্যাচসেরা এবং দুইবার হয়েছেন সিরিজসেরা। আগের ১৪৯ ওয়ানডে থেকে ১৪.৭৭ গড়ে ১৩৭৪ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ৩০.৭১ গড়ে ১৯০ উইকেট। রাজ্জাক সর্বাধিক ২০৭ এবং সাকিব আল হাসান ১৯৫ উইকেট নিয়েছেন। ১৫০ ওয়ানডে খেলার মাইলফল ছোঁয়ার খুব নিকটেই আছেন সাকিব (১৪৯) ও মুশফিকুর রহীম (১৪৮)। তবে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে সফল বলা যেতে পারে মাশরাফিকেই। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগ পর্যন্ত দলকে ১৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ১১টিতেই জিতিয়েছেন। সাফল্যের হার ৬৪.৭০।
×