ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডিজিটাল প্রচার চট্টগ্রামে

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২০ এপ্রিল ২০১৫

ডিজিটাল প্রচার চট্টগ্রামে

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ অন্য সময়ের নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনী প্রচার অনেকটা আধুনিক। মহাজোট সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় অনেকাংশে পূরণ হয়েছে এবারের নির্বাচনী প্রচারে। ডিজিটালের ছোঁয়া লাগায় ম্যানুয়েল ক্যানভাসাররা অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। প্রচার চলছে মোবাইল রেকর্ড আর মাইক্রোফোনের ব্যবহারে। তবে প্রার্থীরা যেসব এলাকায় জনসংযোগ করছেন শুধুমাত্র সেখানেই মুখের ব্যবহার চলছে নেতাকর্মী ও প্রার্থীর। ডিজিটালের ছোঁয়া লাগাতে গিয়ে আগেভাগেই ভয়েস রেকর্ড করা হয়েছে প্রচারের প্রয়োজনে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই পুরোদমে প্রচারণা চলছে ডিজিটাল প্রযুক্তির অবয়বে। তবে পিছিয়ে নেই পোস্টারের ব্যবহার। সেখানেও ডিজিটাল ব্যানার ব্যবহার করে প্রচার চলছে মূল সড়ক থেকে অলিগলি পর্যন্ত। গত ২৯ মার্চ প্রার্থীরা নমিনেশন জমা দেয়ার পর থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রচার চালিয়েছে এনালগ পদ্ধতিতে। অর্থাৎ, মৌখিকভাবে ও ঘরোয়াভাবে এ প্রচার চলেছে এলাকাভিত্তিক। গত ১০ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার চলছে জোরেশোরে। তবে ডিজিটাল পদ্ধতির এ যুগে এসে ক্যানভাসাররা তাদের ভয়েস রেকর্ড করে নিয়েছে মেমোরি কার্ডে। সে মেমোরি কার্ড মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবহার হচ্ছে মাইক্রোফোনে। ডিজিটালের আবির্ভাবে চলছে হরদম ভয়েস রেকর্ড। এক গাড়িতে এখন আর ১০ জনের প্রয়োজন নেই। একজনই একশ’ জনের ভূমিকা পালন করছে ডিজিটালের ছোঁয়ায়। নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহুরুল আলম জসিম তার প্রচারে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুধু নিজেই নয়, তার কর্মী সমর্থকদের কাজে লাগিয়েছেন ডিজিটাল প্রচারে মাধ্যমে। নির্বাচনী স্লোগান দেয়া হচ্ছে ‘দক্ষ দেখে পক্ষ নিন, যোগ্য দেখে ভোট দিন’। চসিক নির্বাচনে সংরক্ষিত মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা সকলেই রাস্তার মোড়ে মোড়ে, গাছের ডালে, বিভিন্ন ভবনের ফাঁকা জায়গায় রশি টাঙ্গিয়ে নিজেদের প্রচার চালাচ্ছেন পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনের মাধ্যমে। পোস্টারকে টেকসই করতে স্বচ্ছ পলিথিনে আবৃত করা হয়েছে। তবে রবিবার ভোরের দিকে নগরীতেই মুষলধারে বৃষ্টি নামায় প্রার্থীদের প্রচারে অনেকটা ক্ষতি হয়েছে। পুনরায় সাঁটানো হয়েছে এসব পোস্টার। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের দেয়ালে পোস্টার সাঁটানো নিষিদ্ধ করায় বাধ্য হয়ে প্রার্থীরা রশিতে টাঙ্গিয়েছে। ভোটারদের পক্ষ থেকে জানা গেছে, উন্নয়নের বুলি দিয়ে এর আগেও অনেক প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন বাদ দিয়ে নিজের উন্নয়নে অর্থ লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। আবারও সেই মানুষ যখন ভোটের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে, প্রশ্ন উঠেছে ভোটের ঝুলি পূর্ণ করতে পারবে কিনা। প্রার্থীর পক্ষে আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে সমর্থক পর্যন্ত সকলেই ঘুরছে ভোটে তার প্রার্থীকে নির্বাচিত করার অনুনয় বিনয় করে। কিন্তু এ সময় আর মনে রাখতে পারেন না প্রার্থীরা। জয়ী হলেই কেল্লাফতে।
×