ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘আমাদের সিরিজ জেতার সামর্থ্য রয়েছে’

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৫

‘আমাদের সিরিজ জেতার সামর্থ্য রয়েছে’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘আমরাই ফেবারিট।’ এ একটি কথা বলেই যেন পাকিস্তান ক্রিকেটারদের চাপে ফেলে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সেই চাপ সামলে উঠতেই পারল না পাকিস্তান। তাইতো প্রথম ওয়ানডেতে ৭৯ রানে জিতল বাংলাদেশই। এখন সামনে সিরিজ জেতার হাতছানি। বাকি থাকা সিরিজের দুটি ওয়ানডের একটিতে জিতলেই হয়ে যাবে বাংলাদেশের সিরিজ জয়। যে পাকিস্তানকে দীর্ঘ ১৬ বছর হারানোই যায়নি, সেই পাকিস্তানের বিপক্ষে এখন সিরিজ জয়ের স্বপ্নই দেখা হচ্ছে। তাইতো বাংলাদেশের অলরাউন্ডার বলেই দিয়েছেন, ‘আমাদের সিরিজ জেতার ক্ষমতা আছে।’ দলের সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজা স্লো ওভার রেটের জন্য এক ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকায় সাকিব নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগটি পান। সুযোগ পেয়েই ১৯৯৯ সালের পর যে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের খরায় ভুগছিল বাংলাদেশ, তা দূর করেন। তাঁর অধিনায়কত্বে ১৬ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ জেতার পরই সাকিব আবার সিরিজ জেতার সঙ্গে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ করার স্বপ্নও কিন্তু দেখেছেন। জানিয়েছেন দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করার পর ৩-০ ব্যবধান করতে চান। সাকিব বলেছেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সামনের ম্যাচ (দ্বিতীয় ওয়ানডে)। আমরা চেষ্টা করব ওই ম্যাচটি জিততে। আমরা যদি ওটা জিততে পারি তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করব শেষ ম্যাচটি জিততে। আমাদের প্রথম টার্গেট সিরিজ জেতা আর দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেলে ৩-০ এর চিন্তা করব।’ ম্যাচ জেতার পর কেমন লাগছে? এমন প্রশ্নে সাকিব বলেছেন, ‘জয়ের পর তো অবশ্যই ভাল লাগছে। বিশেষ করে এতদিন পর পাকিস্তানের সঙ্গে জিততে পেরেছি। এটা দলের জন্য বড় বিষয়। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সিরিজ জেতার ক্ষমতা আছে। আর মাত্র দুটি ম্যাচ। একটি ম্যাচ জিতলেই আমরা সিরিজ জিতব। আমাদের আত্মবিশ্বাস এখন অনেক।’ তবে শেষ দুটি ম্যাচ যে কঠিন হবে তাও বুঝতে পারছেন সাকিব, ‘শেষ দুটি ম্যাচ সহজ হবে না। আমাদের সেরা খেলা খেলতে হবে, যেটা আমরা প্রথম ওয়ানডেতে খেলেছি। আমরা যদি এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারি তাহলে রেজাল্ট আমাদের পক্ষেই আসবে।’ অনেক জয়ই পেয়েছেন, এই জয়টাকে কোথায় রাখবেন? সাকিব বলেছেন, ‘জয়টা অবশ্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১৬ বছরে তিন ফরম্যাটের কোনটিতেই আমরা পাকিস্তানকে হারাতে পারিনি। এটা অনেক দীর্ঘ সময়। আমরা যেভাবে খেলেছি তাতে আমরা খুশি। আমরা দল হিসেবে খেলেছি। আমরা যেভাবে ব্যাটিং করেছি তাতে পেশাদারিত্ব ছিল। যেভাবে বোলিং ও ফিল্ডিং করেছি, দুটিই বেশ ভাল হয়েছে।’ বিশ্বকাপ থেকেই সাত ব্যাটসম্যান ও চার বোলার নিয়ে খেলার একটা প্রবণতা তৈরি হয়ে গেছে। তাতে সাফল্যও মিলছে। সেটিই কি বজায় থাকবে? সাকিব বলেছেন, ‘সাতজন ব্যাটসম্যান ছিল। তবে আমাদের বোলারও অনেক ছিল। আমার মনে হয় আরও দুজন বোলার ছিল; তারা বোলিং করেনি। এটা খুব ভাল দিক অধিনায়কের জন্য। অনেকগুলো অপশন থাকলে সহজেই বোলিংয়ে পরিবর্তন আনা যায়।’ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করেছেন সাকিব। কিন্তু সেই ম্যাচে হেরেছেন। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সুযোগ পেয়ে অধিনায়কত্ব করেই জিতেছেন। বিশ্বকাপে একবারের পর আবার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন, কোনটাকে এগিয়ে রাখবেন? সাকিবকে এমন প্রশ্ন ছুড়তেই বলেন, ‘দুটোই কঠিন। অধিনায়কত্ব খুব সহজ কাজ নয়। কোন সিদ্ধান্ত যখন পক্ষে আসবে তখন সবাই বলবে ভাল হয়েছে আর বিপক্ষে গেলে সবাই বলবে খারাপ হয়েছে। এটা অনেক কঠিন কাজ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের জন্য ভাল চিন্তা করা, ইতিবাচক চিন্তা করা এবং ওটা ঠিকমতো করতে পারলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব।’ সাকিব নেতৃত্ব দিয়ে প্রথম ওয়ানডেতে দলকে জেতান, এখন মাশরাফির পালা। বাকি থাকা দুটি ওয়ানডের যে কোন একটিতে জিতলে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। আর তিনটিতেই যদি জিতে যায়, তাহলে পাকিস্তান বাংলাওয়াশ হবে। আগে অবশ্য সিরিজ জেতার দিকেই মনোযোগী সাকিব।
×