ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেখ রাসেল ১- ঢাকা মোহামেডান

রাসেলের কষ্টার্জিত জয়

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ১৮ এপ্রিল ২০১৫

রাসেলের কষ্টার্জিত জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে শুক্রবারের দ্বিতীয় খেলায় ‘বেঙ্গল ব্লুজ’ খ্যাত শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড কুড়িয়ে নিয়েছে ঘাম ঝরানো কষ্টের জয়। গত লীগের চতুর্থ স্থান অর্জনকারী ও ‘সাদা-কালো’ খ্যাত ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডকে তারা হারায় ১-০ গোলে। ডিফেন্ডার রেজাউল করিম জয়ী দলের পক্ষে গোল করেন। প্রথমার্ধে ম্যাচের স্কোর ছিল ০-০। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এটা রাসেলের দলটির টানা দ্বিতীয় জয়। প্রথম ম্যাচে তারা ব্রাদার্সকে হারিয়েছিল ২-১ গোলে। ২ খেলায় তাদের পয়েন্ট ৬। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ থেকে একধাপ উন্নীত হয়ে পঞ্চম অবস্থানে চলে এলো তারা। মোহামেডানের এটা প্রথম হার। পয়েন্ট ৬। অবস্থান আগের মতোই চতুর্থ। রাসেলের সমান পয়েন্ট হলেও রাসেলের চেয়ে তাদের গোল বেশি। এ জন্য শুক্রবারের ম্যাচে হারলেও রাসেলের চেয়ে একধাপ ওপরেই থেকে গেল তারা। পক্ষান্তরে মোহামেডান তাদের প্রথম ম্যাচে ৫-০ গোলে হারায় চট্টগ্রাম আবাহনীকে, দ্বিতীয় ম্যাচে টিম বিজেএমসিকে ২-০ গোলে হারায়। এ ম্যাচে দেখা গেছে, মোহামেডানের সমর্থকরা রাসেলের ওপর বেজায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে। গ্যালারি থেকে তারা ইচ্ছামত গালিগালাজ করেছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছেÑ রাসেলের পাঁচ ফুটবলার গত মৌসুমে মোহামেডানে খেলেছিলেন। মূলত তাদের ওপরই জিদ করেন সাদা-কালো ফ্যানরা। তারা হলেন গোলরক্ষক মামুন খান, ডিফেন্ডার তপু বর্মণ, মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, উইঙ্গার জাহিদ হোসেন ও ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলি। ম্যাচের শুরু থেকেই সমানে সমানে লড়াই করে যাচ্ছিল দুই দল। মাঝ মাঠের দখল পেতে মরিয়া ছিল রাসের। তবে এ ক্ষেত্রে কোন ধরনের ছাড় দিতে প্রস্তুত ছিল না মোহামডোনও। প্রথমার্ধ জুড়ে শেখ রাসেল বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ করলেও শেষ পর্যন্ত ফরোয়ার্ডদের কারণে আলোর মুখ দেখেনি। ম্যাচের ৪৩ মোহামেডানের ইব্রাহিমের শট বার ছুঁয়ে চলে যায় মাঠের বাইরে। আর প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে শেখ রাসেলের নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড কিংসলে চিগোজি একটি সুবর্ণ সুযোগ মিস করে। মোহামেডানের গোলরক্ষক মোঃ নেহালকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। তাই প্রথমার্ধের খেলা শেষে গোলশূন্যভাবেই বিরতিতে যায় দুই দল। ৫২ মিনিটে আরেকটি সুযোগ মিস করে মোহামেডানের ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ। ডি বক্সের মধ্যে থাকা বলটিতে পা ছোঁয়ালেই গোল পেয়ে যেত সাদা-কালো শিবিরি। কিন্তু সবুজ পা ছোঁয়াবার আগেই বলটি ক্লিয়ার করে রাসেলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়। ৬০ মিনিটে রাসেলের জাহিদ হোসেনের বাড়িয়ে দেয়া বলে শট করেন পল এমিল। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে দলকে রক্ষা করে মোহামডোনের গোলরক্ষক, ফলে কর্নার পায় শেখ রাসেল। আর জাহিদ হোসেনের কর্নার থেকে হেড করে গোল করেন রাসেলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় রেজাউল করিম (১-০)। ৬৮ মিনিটে রাসেলের আতিকুর রহমান মিশুর ক্রস বারে লাগে ফিরে আসে। আর ফিরতি বলে জাহিদ হাসান এমিলি হেড করে গোল করেন। কিন্তু অফ সাইডের কারণে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। এরপর সুযোগ আসে মোহামেডানের। ৭০ মিনিটে জুয়েল রানা বাড়িয়ে দেয়া বলে শট করেন ইসমাইল বাঙ্গুরা, কিন্তু শেষ রাসেলের গোলরক্ষক কোন মতে প্রতিহত করেন। নির্ধারিত সময় শেষে আর কোন গোল না হওয়ার ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দ্রাগান দুকানোভিচের শিষ্যরা।
×