ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লরিয়াস এ্যাওয়ার্ড জয় জোকোভিচ-দিবাবার

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১৭ এপ্রিল ২০১৫

লরিয়াস এ্যাওয়ার্ড জয় জোকোভিচ-দিবাবার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অসাধারণ পারফর্মেন্সের জন্য লরিয়াস এ্যাওয়ার্ড জিতলেন টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ এবং ইথিওপিয়ান এ্যাথলেট গেনজিব দিবাবা। বুধবার সাংহাইয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জোকোভিচ-দিবাবা ছাড়াও ব্রাজিল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতায় বর্ষসেরা দল হিসেবে নির্বাচিত হয় জার্মানি। চীনের টেনিস তারকা লি নাকে দেয়া হয় বিশেষ সম্মাননা। এশিয়ার অন্যতম সেরা টেনিস তারকা লি না। গত বছরই টেনিসকে বিদায় বলেন তিনি। চীনের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দুটি গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট জয়ের অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়েন লি না। বিশেষ সম্মাননা পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি। চীনের সাবেক এনবিএ সুপারস্টার ইয়াও মিং জিতে নেন স্পিরিট অব স্পোর্ট। এছাড়া বুধবারের রাতটাকে আলো ঝলমলে করে তুলে ২০০৪ সালের অলিম্পিকে হার্ডলিং চ্যাম্পিয়ন লিও জিয়াং। যিনি এ মাসেই অবসরের ঘোষণা করেন। সার্বিয়ার নোভাক জোকোভিচ বর্তমানে মন্টে কার্লো মাস্টার্সে পারফর্মেন্স করছেন। চলতি বছরে ক্লে কোর্টে এটাই তার প্রথম পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষায় জয় দিয়েই শুরু করেছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের নাম্বার ওয়ান এই তারকা ৬-১ এবং ৬-৪ গেমে হারান আলবার্ট রামোস-ভিনোলাসকে। এই জয়ের ফলে দারুণ উচ্ছ্বসিত সার্বিয়ার এই টেনিস তারকা। এ বিষয়ে নোভাক জোকোভিচ বলেন, ‘ক্লে কোর্টে প্রথম ম্যাচ, এটা স্বাভাবিকভাবেই আনন্দের। দারুণভাবে শুরু করতে পেরে আমি খুবই সন্তুষ্ট।’ তবে এই জয়ের জন্য যে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে সেটাও স্বীকার করেছেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের অন্যতম সেরা এই তারকা। এ বিষয়ে গত মৌসুমের সেমিফাইনালিস্ট জোকোভিচ বলেন, ‘ক্লে কোর্টে ভাল খেলার জন্য অনেক কঠোর অনুশীলন করতে হয়। তাছাড়া আমি আগে থেকেই জানতাম যে প্রতিপক্ষ হিসেবে সে ছিল শক্তিশালী। তাই তার বিপক্ষে জিতে আমি খুবই আনন্দিত। মন্টে কার্লোতে তার মতো একজনের বিপক্ষে খেলার অনুভূতিটা অন্যরকম।’ দ্বিতীয় এ্যাথলেট হিসেবে বিশেষ সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত হন লি না। তার আগে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছিলেন আমেরিকান জলদানব মাইকেল ফেলপস। তবে বুধবার বিশেষ এই এ্যাওয়ার্ড জিতে দারুণ উচ্ছ্বসিত লি না। পুরস্কার নিতে এসেও সেই বিদায় বেলার স্মৃতিতে ডুবে যান তিনি। তবে ২০১৪ সালটাই যে তার ক্যারিয়ারের শেষ মৌসুম হতে তা কখনই কল্পনা করতে পারেননি লি না, ‘আমি কখনই চিন্তা করতে পারিনি যে ২০১৪ সালটাই হবে আমার ক্যারিয়ারের শেষ বছর। এটা ছিল আমার জন্য কঠিন একটা সময় সেইসঙ্গে আমার দলেরও। আমি আমার কাজটাকে ভালবাসতাম কিন্তু ব্যথার কারণে তা আর চালিয়ে নিতে পারছিলাম না।’ ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানি ১-০ গোলে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দুই যুগ পর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এদিন জার্মানির পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন টিম ম্যানেজার অলিভার বিয়েরহফ। এ সময় তিনি বলেন এই পুরস্কারের জন্য আবারও আসতে প্রস্তুত জার্মানির খেলোয়াড়রা, ‘আমাদের দলে অসংখ্য প্রতিভাবান খেলোয়াড় ছিল।
×