ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিটি নির্বাচনে মিছিল বা জনসভা করলে প্রার্থিতা বাতিল

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৬ এপ্রিল ২০১৫

সিটি নির্বাচনে মিছিল বা জনসভা করলে প্রার্থিতা বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের কোন প্রকার মিছিল ও জনসভা আয়োজন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে মিছিল বা জনসভায় করার প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার মোঃ শাহনেওয়াজ বলেন, প্রার্থীদের মিছিল বা জনসভা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলতে বাধ্য করতে রিটার্নিং তাদের আর কঠোর হতে বলা হয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান। তিনি বলেন, মিছিল করে কোন প্রার্থী যেন নির্বাচনী প্রচার না চালায়। এ বিষয়ে নির্দেশের পরও কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে কোন ব্যক্তি মিছিল করে প্রচার চালালে তার বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের জরিমানা করা হবে। এছাড়াও কোন প্রার্থী অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করলে প্রার্থিতা বাতিল করার জন্য প্রস্তুত আছে ইসি। সে নির্দেশ রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেয়া আছে। সবাইকে সাবধান করে দিতে চাই। কেউ যেন মিছিল না করেন। কোন প্রার্থী যেন অতিরিক্ত যানবাহন নিয়ে প্রচারের চেষ্টা না করেন। তিনি বলেন, বিধি অনুযায়ী প্রার্থীরা দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মাইকে প্রচার চালাতে পারবে। প্রচারের জন্য প্রতি ওয়ার্ডে একটি ও পথসভায় আরও একটি মাইক ব্যবহার করতে পারবেন। কোন প্রার্থী একাধিক মাইক ব্যবহার করে প্রচার চালালে অথবা সময়ের আগে মাইকে প্রচার শুরু করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবশ্যই বিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচনী ক্যাম্পের বিষয়ে বলেন, আচরণবিধি অনুযায়ী প্রত্যেক মেয়র প্রার্থী প্রতি থানায় একটির বেশি ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন না। এছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতিটা ওয়ার্ডে তিনটি করে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন। কোন প্রার্থী যদি এর চেয়ে বেশি ব্যবহার করেন আচরণবিধির বরখেলাপ হবে। অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচনী ক্যাম্প অফিসে টেলিভিশন-ভিসিআর-ভিসিডি ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন না। সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের প্রতীক বরাদ্দ বিষয়ে বলেন, এই প্রথম কমিশন সব নির্বাচনের জন্য আলাদা প্রতীক নির্ধারণ করেছি। এ কারণে কিছু প্রতীক বাড়াতে হয়েছে। সংরক্ষিত পদের প্রতীক নিয়ে প্রার্থীরা আপত্তি তুলেছেন। আসলে প্রতীক দেয়া হয় চিহ্নিত করার জন্য, কাউকে ঘরে ঢুকানো বা ছোট করার জন্য না। তার পরও যদি কোন প্রার্থী প্রতীকের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন তাহলে আমরা বিবেচনা কর হবে। তিনি বলেন, সংরক্ষিত প্রার্থীদের জন্য এবার বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এবার নির্বাচনের দিনে গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন যা আগে ছিল না। এ ছাড়া তাদের জামানত ১০ হাজার টাকায় নিয়ে এসেছি। আগে অনেক বেশি ছিল উল্লেখ করেন।
×