ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্ট্রাইকরেট বাড়াতে চান মুমিনুল

আজহার-মিসবাহদের মোকাবেলায় প্রস্তুত টাইগাররা

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ১৪ এপ্রিল ২০১৫

আজহার-মিসবাহদের মোকাবেলায়  প্রস্তুত টাইগাররা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দারুণ এক বিশ্বকাপ শেষ করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে খেলেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। সে জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে গণসংবর্ধনাও পেয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজারা। এবার সে সব অতীত। নতুন উদ্যমে নতুন এক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। সে জন্য বেশ ভাল অনুশীলন হয়েছে বাংলাদেশ দলের। বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ (বিসিএল) ওয়ানডে টুর্নামেন্টে ম্যাচ খেলে নিজেদের বেশ ভালভাবেই ঝালিয়ে নিয়েছেন ক্রিকেটাররা। এরপর সোমবার থেকেই আবার অনুশীলনেও নেমে পড়েছে মাশরাফির দল। টেস্টে নিয়মিত একাদশে খেললেও টপঅর্ডার মুমিনুল হক ওয়ানডেতে নিয়মিত হতে পারছেন না। যদিও ওয়ানডের স্কোয়াডে ঠিকই জায়গা রয়েছে তার। এ কারণে এখন স্ট্রাইকরেট বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হয়েছেন এ তরুণ। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ২০১১ সালের পর আবার দ্বিপাক্ষিক কোন সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সেবার দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডের সিরিজে বাংলাদেশ দলকে হোয়াইটওয়াশ করে দেশে ফিরে গিয়েছিল পাকিস্তান দল। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্নতর। গত বছরটা একেবারেই বাজেভাবে কাটলেও শেষদিকে জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে ঘরোয়া সিরিজে নিজেদের ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ দল। জিম্বাবুইয়েকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পর আবার বিশ্বকাপেও দারুণ সাফল্য পেয়েছে। নতুন করে উজ্জীবিত হয়েছে টাইগাররা। তাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অতীত রেকর্ড একেবারেই বাজে হলেও এবার দারুণ কিছু করার প্রত্যাশা বাংলাদেশ দলের। সে জন্য অবশ্য প্রস্তুতিটাও আগের চেয়ে অনেক ভাল হয়েছে দলের। কারণ, ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। বিসিএল আসর প্রথমবারের মতো ওয়ানডে টুর্নামেন্ট হিসেবে খেলা হয়ে গেছে। অন্তত তিন করে ম্যাচ খেলতে পেরেছেন দলের সবাই। আর ফাইনাল খেলেছেন যারা তাদের সুযোগ হয়েছে আরেকটি ম্যাচ খেলার। এ টুর্নামেন্ট থেকে সবচেয়ে বড় পাওয়া ছিল রান খরার মধ্যে থাকা নাসির হোসেনের দুর্দান্তভাবে ফেরা। টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন এ অলরাউন্ডার। প্রাথমিক পর্বের ম্যাচে ভাল করতে না পারলেও ফাইনালে দুর্দান্ত একটি ইনিংস উপহার দিয়েছেন মুমিনুল। বরাবরই তাকে ওয়ানডের চেয়ে টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সে কারণে স্কোয়াডে থাকলেও নিয়মিত একাদশে খেলার সুযোগ হয় না তার। এ কারণে এখন নিজের ব্যাটিংয়ে অন্যরকমভাবে মনোযোগী হয়েছেন তিনি। মুমিনুল বলেন, ‘আমার সমস্যগুলো নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে কাজ করছি, কোচও কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। ইনশা-আল্লাহ যখন আমি উন্নতি করতে পারব তখন আপনারাই বুঝতে পারবেন।’ বিসিএল ফাইনালে ৭৭ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলার পর নতুন করে মুমিনুলের দিকে নজর পড়েছে সবার। নিজের আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘টুর্নামেন্টটা খুব ভাল ছিল। সবসময় ভাল ইনিংস খুব আত্মবিশ্বাস যোগায়। আমার কাছে এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ইনিংসটা ভাল হওয়ায় আমার আত্মবিশ্বাসটা খুব বেড়েছে।’ ব্যাটিংয়ের ধরণে যে পরিবর্তন এসেছে মুমিনুলের সেটা ফাইনালে তার খেলা ইনিংসটি দেখেই পরিষ্কার বোঝা গেছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটু আক্রমণাত্মক থাকার চেষ্টা করেছি। ওয়ানডে যেভাবে খেলতে হয়; স্ট্রাইকরেটটা একটু বাড়িয়ে নেয়ার জন্য। ?ওই পরিকল্পনায় ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছি। অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালে কোচ আমাকে আগেও বলেছিলেন এমনটা করার জন্য। মানুষের একটু খারাপ সময় যেতেই পারে; আমার হয় তো এখন যাচ্ছে।
×